বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : সরকার দেশের কৃষি খাতের চাহিদা মেটাতে সৌদি আরব থেকে ৩০ হাজার মেট্রিক টন ইউরিয়া সার আমদানির উদ্যোগ নিয়েছে। এজন্য ব্যয় হবে ১৬৭ কোটি টাকা।
শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বাংলাদেশ কেমিকাল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশন (বিসিআইসি) থেকে ক্রয় প্রস্তাবটি ৭ জুলাই মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়।
কৃষি মন্ত্রণালয় ২০২২-২০২৩ অর্থবছরের জন্য ইউরিয়া সারের চাহিদা ২৬ লাখ মেট্রিক টন এবং নিরাপত্তা মজুদ কমপক্ষে ৮ লাখ মেট্রিক টনসহ মোট ৩৪ লাখ মেট্রিক টন নির্ধারণ করে। এই চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে বিসিআইসি থেকে প্রণীত ২০২২-২০২৩ অর্থবছরের বার্ষিক সংগ্রহ পরিকল্পনা গত ২২ মে মন্ত্রণালয় থেকে অনুমোদিত হয়।
২০২২-২৩ অর্থবছরে সৌদি আরবের এগ্রি-নিউট্রিয়েন্টস কোম্পানি থেকে ৪ লাখ ৮০ হাজার মেট্রিক টন এবং আপৎকালীন ও জরুরি পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য ১ লাখ ৮০ হাজার মেট্রিক টনসহ মোট ৬ লাখ ৬০ হাজার মেট্রিক ইউরিয়া সার আমদানির পরিকল্পনা গ্রহণ করে।
গত ৪ এপ্রিল অনুষ্ঠিত অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির অনুমোদনক্রমে ২০২২-২০২৩ অর্থবছরে সার আমদানির জন্য সৌদি কোম্পানির চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। ওই চুক্তির মেয়াদ ২০২২ সালের ৩১ মে থেকে ২০২৩ সালের ১ জুন পর্যন্ত বলবৎ আছে।
২০২২-২০২৩ অর্থবছরে ইউরিয়া সারের সংগ্রহ পরিকল্পনার মধ্যে কাফকো থেকে ৬ লখ মেট্রিক টন, কাতার থেকে ৪ লাখ ৫০ হাজার মেট্রিক টন, সৌদি আরব থেকে ৪ লাখ ৮০ হাজার মেট্রিক টন এবং সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে ২ লাখ ৪০ হাজার মেট্রিক টন কেনার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।
২০২২-২০২৩ অর্থবছরে সৌদি আরব থেকে ২০২২ সালের ১ জুন থেকে ২০২৩ সালের ৩১ মে সময়ে ৩০ হাজার মেট্রিক টনের ১৬টি লটে ৪ লাখ ৮০ হাজার মেট্রিক টন ইউরিয়া সার আমদানি করা হবে। সৌদি আরবের সঙ্গে পারস্পরিক আলোচনা ও সমঝোতার ভিত্তিতে ২০২২-২০২৩ অর্থবছরে দ্বিতীয় লটে ৩০ হাজার মেট্রিক টন বাল্ক গ্র্যানুলার ইউরিয়া সার আমদানির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সারের দাম নির্ধারণে আন্তর্জাতিক পদ্ধতি অনুসরণ করা হয়। সে অনুযায়ী প্রতি মেট্রিক টন সারের দাম পড়বে ৫৯৭ দশমিক ৫০ ডলার।
বিজনেস আওয়ার/১৯ জুলাই, ২০২২/কমা