ঢাকা , শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নির্দোষ কাউকে হয়রানি করা হচ্ছে নাঃ হারুন

  • পোস্ট হয়েছে : ০৪:৪২ অপরাহ্ন, সোমবার, ১ অগাস্ট ২০২২
  • 2

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদকঃ রাজধানীর শাহজাহানপুরে আওয়ামী লীগ নেতা জাহিদুল ইসলাম টিপু এবং শিক্ষার্থী সামিয়া আফরান প্রীতি হত্যার ঘটনায় নির্দোষ কাউকে অন্যায়ভাবে গ্রেপ্তার কিংবা হয়রানি করা হচ্ছে না বলে দাবি করেছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন গোয়েন্দা পুলিশের প্রধান অতিরিক্ত কমিশনার হারুন-অর রশিদ।

তিনি বলেন, পারিপার্শ্বিকতা, সাক্ষ্যপ্রমাণ ও আগে গ্রেপ্তারদের তথ্য বিশ্লেষণ করে যাদের বিরুদ্ধে সুস্পষ্ট প্রমাণ পেয়েছি শুধু তাদেরকেই গ্রেপ্তার করেছি।

সোমবার (১ আগস্ট) দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি করেন তিনি।

রাজধানীর শাহজাহানপুর আওয়ামী লীগ নেতা জাহিদুল ইসলাম টিপু ও শিক্ষার্থী সামিয়া আফরান প্রীতি হত্যার ঘটনায় জড়িত ৬ জনকে গত ২৪ ঘণ্টায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

গ্রেপ্তার ছয় জনের টিপু হত্যায় কার কী ধরনের সম্পৃক্ততা ছিল, এমন প্রশ্নের জবাবে হারুন-অর রশিদ বলেন, এটি একটি স্পর্শকাতর ঘটনা। সেখানে জড়িত অনেকেই গ্রেপ্তার হয়েছে।

আমরা পারিপার্শ্বিকতা, সাক্ষ্যপ্রমাণও কথা বলে যাদের বিরুদ্ধে সুস্পষ্ট প্রমাণ পেয়েছি তাদেরকে গ্রেপ্তার করেছি। আমি মনে করি অন্যায়ভাবে কাউকেই হয়রানি করা হচ্ছে না। যাদের বিরুদ্ধে সুস্পষ্ট প্রমাণ ও আগে গ্রেপ্তারদের সঙ্গে কথা বলে যে তথ্য পেয়েছি সে অনুযায়ী তাদেরকে গ্রেপ্তার করেছি।

রোববার (৩১ জুলাই) রাতে গ্রেপ্তার দুজনের (মাস্টারমাইন্ড সোহেল শাহরিয়ার ওরফে শর্টগান সোহেল ও হত্যায় ব্যবহৃত অস্ত্র সরবরাহকারী মারুফ রেজা সাগর) বিরুদ্ধে অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে হারুন বলেন, আমরা বিভিন্ন জায়গা থেকে তথ্য সংগ্রহ করেছি।

বিভিন্ন ধরনের প্রমাণ পেয়েছি তার ভিত্তিতেই তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের রিমান্ডের আবেদন করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। তাদের সঙ্গে কথা বলে রিমান্ড শেষে বিস্তারিত বলা যাবে।

গত ২৪ মার্চ রাতে শাহজাহানপুরের আমতলা মসজিদ এলাকায় এলোপাথাড়ি গুলিতে মতিঝিল থানা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম নিহত হন।

সে সময় ঘটনাস্থলে রিকশায় বসে থাকা কলেজছাত্রী সামিয়া আফরিন ওরফে প্রীতিও (২২) গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। দুই খুনের ঘটনায় সর্বশেষ দুজনসহ মোট ২২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পাশাপাশি আরও ৪/৫ জন গোয়েন্দা নজরদারিতে রয়েছেন।

বিজনেস আওয়ার/ ১ আগস্ট, ২০২২/ এস এইচ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

নির্দোষ কাউকে হয়রানি করা হচ্ছে নাঃ হারুন

পোস্ট হয়েছে : ০৪:৪২ অপরাহ্ন, সোমবার, ১ অগাস্ট ২০২২

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদকঃ রাজধানীর শাহজাহানপুরে আওয়ামী লীগ নেতা জাহিদুল ইসলাম টিপু এবং শিক্ষার্থী সামিয়া আফরান প্রীতি হত্যার ঘটনায় নির্দোষ কাউকে অন্যায়ভাবে গ্রেপ্তার কিংবা হয়রানি করা হচ্ছে না বলে দাবি করেছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন গোয়েন্দা পুলিশের প্রধান অতিরিক্ত কমিশনার হারুন-অর রশিদ।

তিনি বলেন, পারিপার্শ্বিকতা, সাক্ষ্যপ্রমাণ ও আগে গ্রেপ্তারদের তথ্য বিশ্লেষণ করে যাদের বিরুদ্ধে সুস্পষ্ট প্রমাণ পেয়েছি শুধু তাদেরকেই গ্রেপ্তার করেছি।

সোমবার (১ আগস্ট) দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি করেন তিনি।

রাজধানীর শাহজাহানপুর আওয়ামী লীগ নেতা জাহিদুল ইসলাম টিপু ও শিক্ষার্থী সামিয়া আফরান প্রীতি হত্যার ঘটনায় জড়িত ৬ জনকে গত ২৪ ঘণ্টায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

গ্রেপ্তার ছয় জনের টিপু হত্যায় কার কী ধরনের সম্পৃক্ততা ছিল, এমন প্রশ্নের জবাবে হারুন-অর রশিদ বলেন, এটি একটি স্পর্শকাতর ঘটনা। সেখানে জড়িত অনেকেই গ্রেপ্তার হয়েছে।

আমরা পারিপার্শ্বিকতা, সাক্ষ্যপ্রমাণও কথা বলে যাদের বিরুদ্ধে সুস্পষ্ট প্রমাণ পেয়েছি তাদেরকে গ্রেপ্তার করেছি। আমি মনে করি অন্যায়ভাবে কাউকেই হয়রানি করা হচ্ছে না। যাদের বিরুদ্ধে সুস্পষ্ট প্রমাণ ও আগে গ্রেপ্তারদের সঙ্গে কথা বলে যে তথ্য পেয়েছি সে অনুযায়ী তাদেরকে গ্রেপ্তার করেছি।

রোববার (৩১ জুলাই) রাতে গ্রেপ্তার দুজনের (মাস্টারমাইন্ড সোহেল শাহরিয়ার ওরফে শর্টগান সোহেল ও হত্যায় ব্যবহৃত অস্ত্র সরবরাহকারী মারুফ রেজা সাগর) বিরুদ্ধে অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে হারুন বলেন, আমরা বিভিন্ন জায়গা থেকে তথ্য সংগ্রহ করেছি।

বিভিন্ন ধরনের প্রমাণ পেয়েছি তার ভিত্তিতেই তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের রিমান্ডের আবেদন করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। তাদের সঙ্গে কথা বলে রিমান্ড শেষে বিস্তারিত বলা যাবে।

গত ২৪ মার্চ রাতে শাহজাহানপুরের আমতলা মসজিদ এলাকায় এলোপাথাড়ি গুলিতে মতিঝিল থানা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম নিহত হন।

সে সময় ঘটনাস্থলে রিকশায় বসে থাকা কলেজছাত্রী সামিয়া আফরিন ওরফে প্রীতিও (২২) গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। দুই খুনের ঘটনায় সর্বশেষ দুজনসহ মোট ২২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পাশাপাশি আরও ৪/৫ জন গোয়েন্দা নজরদারিতে রয়েছেন।

বিজনেস আওয়ার/ ১ আগস্ট, ২০২২/ এস এইচ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: