ঢাকা , শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

টি টোয়েন্টিতে জিম্বাবুয়ের সিরিজ জয়

  • পোস্ট হয়েছে : ১০:২৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩ অগাস্ট ২০২২
  • 5

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : মঙ্গলবার হারারেতে সিরিজ নির্ধারণী তৃতীয় ম্যাচে ১০ রানে জিতে বাংলাদেশের বিপক্ষে এই প্রথম টি ২০ সিরিজ জয়ের আনন্দে ভাসল জিম্বাবুয়ে।

১৫৬ রান তাড়ায় আট উইকেটে ১৪৬ রানে থামে বাংলাদেশ। প্রথম ম্যাচে ১৭ রানে হারার পর দ্বিতীয়টি সাত উইকেটে জিতেছিল বাংলাদেশ। এবার তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে মুখোমুখি হবে দুই দল।

১৫৬ রান তাড়া করতে নেমে বাংলাদেশ গড়তে পারেনি তেমন কোনো জুটি। প্রথম পাঁচ ব্যাটারের কেউ দায়িত্ব নিয়ে এগিয়ে নিতে পারেননি দলকে। শেষ পর্যন্ত চেষ্টা করেছিলেন আফিফ হোসেন। কিন্তু ২৭ বলে তার অপরাজিত ৩৯ রানের ইনিংস জয়ের জন্য যথেষ্ট ছিল না।

শেষ ওভারে ১৯ রানের সমীকরণ মেলাতে পারেননি আফিফ। নুরুল হাসানের চোটে দলে ফেরা মাহমুদউল্লাহ ২৭ বলে করেন ২৭ রান। এছাড়া মেহেদি হাসানের ব্যাট থেকে আসে ১৭ বলে ২২ রান।

এর আগে টসে জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় জিম্বাবুয়ে। স্বাগতিকরা শুরু ভালোই করে। ইনিংসের প্রথম বলেই মোস্তাফিজকে বাউন্ডারি হাঁকান চাকাভা। বাংলাদেশকে প্রথম ব্রেক থ্রু এনে দেন নাসুম আহমেদ। চতুর্থ ওভারের প্রথম বলে এই বাঁ-হাতি লেগ-স্পিনার চাকাভাকে (১৭) ফেরান আফিফ হোসেনের ক্যাচ বানিয়ে।

ষষ্ঠ ওভারের দ্বিতীয় ও তৃতীয় বলে যথাক্রমে ওয়েসলি মাধেভেরে ও সিকান্দার রাজাকে ফিরিয়ে দিয়ে হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনা জাগিয়ে তোলেন ডান-হাতি অফ-স্পিনার মেহেদি হাসান। প্রথম দুই ম্যাচের হাফ সেঞ্চুরিয়ান সিকান্দার রাজা প্রথম বলেই শর্ট ফাইন লেগে মোস্তাফিজের ক্যাচে পরিণত হন। মেহেদিকে হ্যাটট্রিক বঞ্চিত করেন শন উইলিয়ামস।

তিনিও বেশিক্ষণ থিতু হতে পারেননি। আট বলে দুই রান করে ডিপ মিড-উইকেটে ক্যাচ দেন নাজমুল হোসেন শান্তকে। বোলার ছিলেন মোস্তাফিজ। জিম্বাবুয়ে চতুর্থ উইকেট হারায় ৫৪ রানে।

সেখান থেকে তাদের অর্ধেক ব্যাটার সাজঘরে ফেরেন ইনিংসের মাঝামাঝিতে। পঞ্চম উইকেটের রূপে বাইশ গজ ছাড়েন ক্রেগ আরভিন। নিজের প্রথম বলেই তাকে বড়শিতে গেঁথে নেন চোটে ছিটকে পড়া অধিনায়ক নুরুল হাসানের বদলে খেলতে নামা মাহমুদউল্লাহ। ২৭ বলে ২৪ রান করে স্টাম্পিংয়ের শিকার হন জিম্বাবুয়ের অধিনায়ক।

স্বাগতিকদের উইকেট-বৃষ্টি অব্যাহত থাকে। ১৩ ওভার শেষে তারা ৬/৬৭। এবার মোস্তাফিজের শিকারে পরিণত হন মিল্টন শুম্বা। অফ-স্টাম্পের বাইরের বলে খোঁচা দিয়ে উইকেটের পেছনে ক্যাচ। কিপার এনামুল হক অনেকটা ফুটবলের গোলরক্ষকের স্টাইলে বাঁ দিকে ঝাঁপিয়ে দুর্দান্ত ক্যাচ নেন। ১১ বলে চার রান করেন শুম্বা। লুক জংওয়েকে তুলে নেন হাসান মাহমুদ। ২০ বলে ৩৫ রান করে জংওয়ে কভারে ক্যাচ দেন মোসাদ্দেককে।

তার আগে ১৫তম ওভারে নাসুমকে অসহায় বানিয়ে রায়ান বার্ল এক ওভারে ৩৪ রান নেন। পাঁচটি ছয় ও একটি চার।

বিজনেস আওয়ার/০৩ আগস্ট, ২০২২/কমা

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

টি টোয়েন্টিতে জিম্বাবুয়ের সিরিজ জয়

পোস্ট হয়েছে : ১০:২৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩ অগাস্ট ২০২২

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : মঙ্গলবার হারারেতে সিরিজ নির্ধারণী তৃতীয় ম্যাচে ১০ রানে জিতে বাংলাদেশের বিপক্ষে এই প্রথম টি ২০ সিরিজ জয়ের আনন্দে ভাসল জিম্বাবুয়ে।

১৫৬ রান তাড়ায় আট উইকেটে ১৪৬ রানে থামে বাংলাদেশ। প্রথম ম্যাচে ১৭ রানে হারার পর দ্বিতীয়টি সাত উইকেটে জিতেছিল বাংলাদেশ। এবার তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে মুখোমুখি হবে দুই দল।

১৫৬ রান তাড়া করতে নেমে বাংলাদেশ গড়তে পারেনি তেমন কোনো জুটি। প্রথম পাঁচ ব্যাটারের কেউ দায়িত্ব নিয়ে এগিয়ে নিতে পারেননি দলকে। শেষ পর্যন্ত চেষ্টা করেছিলেন আফিফ হোসেন। কিন্তু ২৭ বলে তার অপরাজিত ৩৯ রানের ইনিংস জয়ের জন্য যথেষ্ট ছিল না।

শেষ ওভারে ১৯ রানের সমীকরণ মেলাতে পারেননি আফিফ। নুরুল হাসানের চোটে দলে ফেরা মাহমুদউল্লাহ ২৭ বলে করেন ২৭ রান। এছাড়া মেহেদি হাসানের ব্যাট থেকে আসে ১৭ বলে ২২ রান।

এর আগে টসে জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় জিম্বাবুয়ে। স্বাগতিকরা শুরু ভালোই করে। ইনিংসের প্রথম বলেই মোস্তাফিজকে বাউন্ডারি হাঁকান চাকাভা। বাংলাদেশকে প্রথম ব্রেক থ্রু এনে দেন নাসুম আহমেদ। চতুর্থ ওভারের প্রথম বলে এই বাঁ-হাতি লেগ-স্পিনার চাকাভাকে (১৭) ফেরান আফিফ হোসেনের ক্যাচ বানিয়ে।

ষষ্ঠ ওভারের দ্বিতীয় ও তৃতীয় বলে যথাক্রমে ওয়েসলি মাধেভেরে ও সিকান্দার রাজাকে ফিরিয়ে দিয়ে হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনা জাগিয়ে তোলেন ডান-হাতি অফ-স্পিনার মেহেদি হাসান। প্রথম দুই ম্যাচের হাফ সেঞ্চুরিয়ান সিকান্দার রাজা প্রথম বলেই শর্ট ফাইন লেগে মোস্তাফিজের ক্যাচে পরিণত হন। মেহেদিকে হ্যাটট্রিক বঞ্চিত করেন শন উইলিয়ামস।

তিনিও বেশিক্ষণ থিতু হতে পারেননি। আট বলে দুই রান করে ডিপ মিড-উইকেটে ক্যাচ দেন নাজমুল হোসেন শান্তকে। বোলার ছিলেন মোস্তাফিজ। জিম্বাবুয়ে চতুর্থ উইকেট হারায় ৫৪ রানে।

সেখান থেকে তাদের অর্ধেক ব্যাটার সাজঘরে ফেরেন ইনিংসের মাঝামাঝিতে। পঞ্চম উইকেটের রূপে বাইশ গজ ছাড়েন ক্রেগ আরভিন। নিজের প্রথম বলেই তাকে বড়শিতে গেঁথে নেন চোটে ছিটকে পড়া অধিনায়ক নুরুল হাসানের বদলে খেলতে নামা মাহমুদউল্লাহ। ২৭ বলে ২৪ রান করে স্টাম্পিংয়ের শিকার হন জিম্বাবুয়ের অধিনায়ক।

স্বাগতিকদের উইকেট-বৃষ্টি অব্যাহত থাকে। ১৩ ওভার শেষে তারা ৬/৬৭। এবার মোস্তাফিজের শিকারে পরিণত হন মিল্টন শুম্বা। অফ-স্টাম্পের বাইরের বলে খোঁচা দিয়ে উইকেটের পেছনে ক্যাচ। কিপার এনামুল হক অনেকটা ফুটবলের গোলরক্ষকের স্টাইলে বাঁ দিকে ঝাঁপিয়ে দুর্দান্ত ক্যাচ নেন। ১১ বলে চার রান করেন শুম্বা। লুক জংওয়েকে তুলে নেন হাসান মাহমুদ। ২০ বলে ৩৫ রান করে জংওয়ে কভারে ক্যাচ দেন মোসাদ্দেককে।

তার আগে ১৫তম ওভারে নাসুমকে অসহায় বানিয়ে রায়ান বার্ল এক ওভারে ৩৪ রান নেন। পাঁচটি ছয় ও একটি চার।

বিজনেস আওয়ার/০৩ আগস্ট, ২০২২/কমা

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: