বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : মুসলিম জাতির পিতা হজরত ইবরাহিমের (আ.) দেখানো পথে ত্যাগের মহিমা ও উৎসর্গের আনন্দ নিয়ে শনিবার (১ আগস্ট) সারাদেশে ধর্মীয় ভাব-গাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে উদযাপিত হচ্ছে মুসলিমদের দ্বীতিয় প্রধান ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপিত হচ্ছে।
‘আল্লাহু আকবার. আল্লাহু আকবার, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু, আল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার, ওয়া লিল্লাহিল হামদ’ তাকবির ধ্বনি দিতে দিতে ঈদ জামাতে হাজির হন মুসল্লিরা। করোনা ও বন্যা পরিস্থিতির মধ্যেও শনিবার (১ আগস্ট) মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের আশায় সামর্থ্যবান মুসলমানেরা ত্যাগের মহিমায় নামাজের পর পরই পশু কোরবানি শুরু করেছেন।
ঈদুল আজহা হজরত ইব্রাহিম (আ.) ও তার পুত্র হজরত ইসমাইলের (আ.) সঙ্গে সম্পর্কিত। হজরত ইব্রাহিম (আ.) স্বপ্নে মহান আল্লাহর আদেশে পুত্র ইসমাইলকে আল্লাহর উদ্দেশে কোরবানি করতে গিয়েছিলেন। আল্লাহর পক্ষ থেকে এ আদেশ ছিল হজরত ইব্রাহিমের জন্য পরীক্ষা।
তিনি পুত্রকে আল্লাহর নির্দেশে জবাই করার সব প্রস্তুতি নিয়ে সেই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। ইসলামে বর্ণিত আছে, নিজের চোখ বেঁধে পুত্র ইসমাইলকে ভেবে যখন জবেহ সম্পন্ন করেন, তখন চোখ খুলে দেখেন ইসমাইলের পরিবর্তে পশু কোরবানি হয়েছে, যা এসেছিল আল্লাহর তরফ থেকে।
সেই ঐতিহাসিক ঘটনার স্মৃতি ধারণ করেই হজরত ইব্রাহিমের (আ.) সুন্নত হিসেবে পশু জবাইয়ের মধ্য দিয়ে কোরবানির বিধান এসেছে ইসলামি শরিয়তে। সেই মোতাবেক প্রত্যেক সামর্থ্যবান মুসলমানের জন্য পশু কোরবানি করা ওয়াজিব বা কারো কারো মতে সুন্নত।
মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) এর সুন্নত হিসেবে কোরবানির মাংস তিন ভাগের এক ভাগ গরিবের হক ও এক ভাগ আত্মীয়ের হক হিসেবে বণ্টন করা হয়। বাকি এক ভাগ নিজেদের জন্য রাখা হয়। এ নিয়মটি উত্তম হলেও কোরবানি যিনি দিচ্ছেন, তিনি চাইলে পুরো বা আংশিক মাংস নিজেদের জন্য রাখতে পারেন বা বিলিয়েও দিতে পারেন।
কাকডাকা ভোরে ঘুম ভেঙে পশুকে কোরবানি করার জন্য গোসল করিয়ে প্রস্তুত করে রাখা হয়েছে। সকাল ৭টা থেকে সাড়ে ৭টার মধ্যে নামাজ শেষ করেই পশু কোরবানি শুরু করা হয়েছে। পাড়া মহল্লার গলির মধ্যে, আবার কারও বাড়ির গ্যারেজে চলছে পশু কোরবানি। পশু জবাই দিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন মসজিদের ইমাম-মোয়াজ্জেনরা।
বিজনেস আওয়ার/০১ আগস্ট, ২০২০/এ