ঢাকা , শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বর্জ্য অপসারণে প্রস্তুত ঢাকার দুই সিটির ১৭ হাজার কর্মী

  • পোস্ট হয়েছে : ১০:৪৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১ অগাস্ট ২০২০
  • 2

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : কোরবানির বর্জ্য অপসারণে প্রস্তুত রয়েছে ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশনের ১৭ হাজার কর্মী। তারা ২৪ ঘণ্টায় এসব বর্জ্য অপসারণ করবেন বলে প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে দুই সিটি কর্পোরেশন। কুরবানীর বর্জ্য অপসারণের জন্য ২৫৬টি নির্ধারিত স্থান চিহ্নিত করেছে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন (ডিএনসিসি)।

এ বিষয়ে ডিএনসিসি মেয়র আতিকুল ইসলাম গণমাধ্যমে বলেন, প্রতি বছরের মতো এ বছরও ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কোরবানির বর্জ্য অপসারণ করা হবে। কোরবানির পশুর বর্জ্য সুষ্ঠুভাবে অপসারণে মাঠ পর্যায়ে ডিএনসিসির নিজস্ব, আউটসোর্সিং এবং প্রাইমারি ওয়েস্ট কালেকশন সার্ভিস প্রোভাইডার (পিডব্লিউসিএসপি) কর্মীসহ ১১ হাজার ৫০৮ জন পরিচ্ছন্নতা কর্মী প্রস্তুত থাকবে।

তিনি বলেন, ডিএনসিসির সর্বস্তরের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। কোরবানি পশু জবাইয়ের জন্য ২৫৬টি স্থান নির্ধারণ করা হয়েছে। এরইমধ্যে পশুর বর্জ্য ফেলতে বিশেষ ধরনের ব্যাগ দেয়া হয়েছে।বর্জ্য অপসারণে ভারী ও হালকা মিলে ৪৩০টি যানবাহন প্রস্তুত রাখা হয়েছে। ১১টি পানির গাড়ির মাধ্যমে স্যাভলন ও ব্লিচিং মিশ্রিত পানি ছিটিয়ে কোরবানির স্থান দূষণমুক্ত করা হবে।

অপরদিকে, ডিএসসিসি থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, কোরবানির বর্জ্য সুষ্ঠু তদারকিতে নগর ভবনে একটি মনিটরিং কন্ট্রোল রুম স্থাপন করা হয়েছে। এছাড়া বর্জ্য অপসারণ সংক্রান্ত তথ্য জানাতে কন্ট্রোল রুমে হটলাইন চালু করা হয়েছে।

এতে ডিএসসিসির বিভাগীয় প্রধানরা ছাড়াও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বিভিন্ন পরিক্রমায় দায়িত্ব পালন করবেন। একইসঙ্গে মাঠ পর্যায়ের বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রম সচিত্র মনিটরিংয়ের জন্য কর্মকর্তা-কর্মচারী সহকারে আরেকটি টিম গঠন করা হয়েছে। যারা ৭৫টি ওয়ার্ডে সরেজমিনে সচিত্র বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রম তদারকি করবেন।

ডিএসসিসি আরো জানিয়েছে, কোরবানির বর্জ্য সংরক্ষণের জন্য ডিএসসিসি থেকে প্রায় এক লাখ বিশেষ ধরনের ব্যাগ বিতরণ করা হয়েছে। ডিএসসিসির ৭৫টি ওয়ার্ডের ৭৫টি নির্দিষ্ট স্থানে পশু জবাই করা হবে। এজন্য জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে এক লাখ লিফলেট বিতরণ করা হয়েছে।

মাঠ পর্যায়ে ডিএসসিসির নিজস্ব, আউটসোর্সিং এবং প্রাইমারি ওয়েস্ট কালেকশন সার্ভিস প্রোভাইডার (পিডব্লিউসিএসপি) কর্মীসহ মোট ৬ হাজার জন পরিচ্ছন্নতা কর্মীও কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োজিত থাকবে। প্রতিদিনের সৃষ্ট বর্জ্য পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অপসারণ করা হবে। বর্জ্য অপসারণের জন্য ভারী ও হালকাসহ তিন শতাধিক যানবাহন প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

এছাড়া ১২টি পানির গাড়ির মাধ্যমে স্যাভলন ও ব্লিচিং মিশ্রিত পানি ছিটিয়ে কোরবানির স্থান দূষণমুক্ত করা হবে। পরিবেশ সুরক্ষা ও দূষণমুক্ত রাখাতে ৪২ টন ব্লিচিং পাউডার ও ১৮০০ লিটার তরল জীবাণুনাশক ছিটানো হবে।

বিজনেস আওয়ার/০১ আগস্ট, ২০২০/এ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

বর্জ্য অপসারণে প্রস্তুত ঢাকার দুই সিটির ১৭ হাজার কর্মী

পোস্ট হয়েছে : ১০:৪৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১ অগাস্ট ২০২০

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : কোরবানির বর্জ্য অপসারণে প্রস্তুত রয়েছে ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশনের ১৭ হাজার কর্মী। তারা ২৪ ঘণ্টায় এসব বর্জ্য অপসারণ করবেন বলে প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে দুই সিটি কর্পোরেশন। কুরবানীর বর্জ্য অপসারণের জন্য ২৫৬টি নির্ধারিত স্থান চিহ্নিত করেছে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন (ডিএনসিসি)।

এ বিষয়ে ডিএনসিসি মেয়র আতিকুল ইসলাম গণমাধ্যমে বলেন, প্রতি বছরের মতো এ বছরও ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কোরবানির বর্জ্য অপসারণ করা হবে। কোরবানির পশুর বর্জ্য সুষ্ঠুভাবে অপসারণে মাঠ পর্যায়ে ডিএনসিসির নিজস্ব, আউটসোর্সিং এবং প্রাইমারি ওয়েস্ট কালেকশন সার্ভিস প্রোভাইডার (পিডব্লিউসিএসপি) কর্মীসহ ১১ হাজার ৫০৮ জন পরিচ্ছন্নতা কর্মী প্রস্তুত থাকবে।

তিনি বলেন, ডিএনসিসির সর্বস্তরের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। কোরবানি পশু জবাইয়ের জন্য ২৫৬টি স্থান নির্ধারণ করা হয়েছে। এরইমধ্যে পশুর বর্জ্য ফেলতে বিশেষ ধরনের ব্যাগ দেয়া হয়েছে।বর্জ্য অপসারণে ভারী ও হালকা মিলে ৪৩০টি যানবাহন প্রস্তুত রাখা হয়েছে। ১১টি পানির গাড়ির মাধ্যমে স্যাভলন ও ব্লিচিং মিশ্রিত পানি ছিটিয়ে কোরবানির স্থান দূষণমুক্ত করা হবে।

অপরদিকে, ডিএসসিসি থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, কোরবানির বর্জ্য সুষ্ঠু তদারকিতে নগর ভবনে একটি মনিটরিং কন্ট্রোল রুম স্থাপন করা হয়েছে। এছাড়া বর্জ্য অপসারণ সংক্রান্ত তথ্য জানাতে কন্ট্রোল রুমে হটলাইন চালু করা হয়েছে।

এতে ডিএসসিসির বিভাগীয় প্রধানরা ছাড়াও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বিভিন্ন পরিক্রমায় দায়িত্ব পালন করবেন। একইসঙ্গে মাঠ পর্যায়ের বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রম সচিত্র মনিটরিংয়ের জন্য কর্মকর্তা-কর্মচারী সহকারে আরেকটি টিম গঠন করা হয়েছে। যারা ৭৫টি ওয়ার্ডে সরেজমিনে সচিত্র বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রম তদারকি করবেন।

ডিএসসিসি আরো জানিয়েছে, কোরবানির বর্জ্য সংরক্ষণের জন্য ডিএসসিসি থেকে প্রায় এক লাখ বিশেষ ধরনের ব্যাগ বিতরণ করা হয়েছে। ডিএসসিসির ৭৫টি ওয়ার্ডের ৭৫টি নির্দিষ্ট স্থানে পশু জবাই করা হবে। এজন্য জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে এক লাখ লিফলেট বিতরণ করা হয়েছে।

মাঠ পর্যায়ে ডিএসসিসির নিজস্ব, আউটসোর্সিং এবং প্রাইমারি ওয়েস্ট কালেকশন সার্ভিস প্রোভাইডার (পিডব্লিউসিএসপি) কর্মীসহ মোট ৬ হাজার জন পরিচ্ছন্নতা কর্মীও কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োজিত থাকবে। প্রতিদিনের সৃষ্ট বর্জ্য পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অপসারণ করা হবে। বর্জ্য অপসারণের জন্য ভারী ও হালকাসহ তিন শতাধিক যানবাহন প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

এছাড়া ১২টি পানির গাড়ির মাধ্যমে স্যাভলন ও ব্লিচিং মিশ্রিত পানি ছিটিয়ে কোরবানির স্থান দূষণমুক্ত করা হবে। পরিবেশ সুরক্ষা ও দূষণমুক্ত রাখাতে ৪২ টন ব্লিচিং পাউডার ও ১৮০০ লিটার তরল জীবাণুনাশক ছিটানো হবে।

বিজনেস আওয়ার/০১ আগস্ট, ২০২০/এ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: