নিজস্ব প্রতিবেদকঃ ডলার কারসাজির সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে দেশি-বিদেশি ৬টি ব্যাংকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এসব ব্যাংকের ট্রেজারি বিভাগের প্রধানকে অপসারণ করতে চিঠি দেওয়া হয়েছে।
সোমবার (৮ আগস্ট) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. সিরাজুল ইসলাম।
তিনি জানান, ট্রেজারি অপারেশনে ডলারে অতিরিক্ত মুনাফা করায় দেশি পাঁচটি এবং বিদেশি একটি ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। তবে তিনি ব্যাংকগুলোর নাম জানাননি।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র জানিয়েছে, ডলার কারচুপিতে সাউথইস্ট ব্যাংক, প্রাইম ব্যাংক, ব্র্যাক ব্যাংক, সিটি ব্যাংক, ডাচ-বাংলা ব্যাংক এবং স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেছে।
এদিকে, সোমবার (৮ আগস্ট) ব্যাংকগুলোর নিকট সর্বশেষ ৯৪.৯৫ টাকা দরে ডলার বিক্রি করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। রবিবার ডলারের দাম ছিল ৯৪.৭০ টাকা। একদিনের ব্যবধানে টাকার মান কমলো ০.২৫ টাকা। অপরদিকে গতকাল দিনের শুরুতে খোলাবাজারে প্রতি ডলার ১১১ টাকা থেকে ১১২ টাকায় বিক্রি হলেও দিন শেষে তা ১১৫ টাকায় বিক্রি হয়েছে।
তিন মাসের মধ্যে ১৯ দফা বাড়ানো হয়েছে ডলারের দাম। আলোচ্য সময়ে টাকার মান কমেছে ৮.৫০ টাকা। এর আগে গত ২৯ মে দেশে ডলারের এক রেট ৮৯ টাকা বেঁধে দিয়েছিল কেন্দ্রীয় ব্যাংক। কিন্তু পরবর্তীতে এই রেট উঠিয়ে দিয়ে ডলারের দর বাজারের ওপর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। আর বাজারের উপর ছেড়ে দেওয়ার পরই দুয়েকদিন পরপরই বাড়ছে ডলারের দাম।
ডলারের দাম পর্যালোচনায় দেখা গেছে, ২০২০ সালের জুলাই থেকে গত বছরের আগস্ট পর্যন্ত আন্তঃব্যাংক মুদ্রাবাজারে ডলারের দাম ৮৪ টাকা ৮০ পয়সায় স্থিতিশীল ছিল। কিন্তু এরপর থেকে বড় ধরনের আমদানি ব্যয় পরিশোধ করতে গিয়ে ডলার সংকট শুরু হয়। যা এখন পর্যন্ত অব্যাহত আছে। ২০২১ সালের আগস্টের শুরুতেও আন্তঃব্যাংকে প্রতি ডলারের মূল্য একই ছিল। ৩ আগস্ট থেকে দু’এক পয়সা করে বাড়তে বাড়তে গত বছরের ২২ আগস্ট প্রথমবারের মতো ডলারের দাম ৮৫ টাকা ছাড়ায়।
বিজনেস আওয়ার/০৯ আগস্ট,২০২২/ এস এইচ