ঢাকা , রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মেয়েরা আত্মহত্যার পথ যেসব কারণে বেছে নেয়

  • পোস্ট হয়েছে : ০৪:১৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৫ অগাস্ট ২০২২
  • 58

নিজস্ব প্রতিবেদক: আত্মহত্যা এমন এক ভয়্ঙ্কর ব্যধি যার কোনো প্রতিশেধক নেই। এই ব্যধির চুড়ান্ত ফলাফল মৃত্যু। সমীক্ষায় দেখা যায় ছেলেদের তুলনায় মেয়েরা নানা কারণে এই মৃৃত্যুর পথ বেছে নেয়। সাম্প্রতিক ঘটে যাওয়া কয়েকটি আত্মহত্যার ঘটনায় খুঁজ করে জানা গেল আত্মহত্যার নৈপথ্যে যত কারণ।

১। মেয়ের সাথে মা-বাবার সমন্বয়হীনতা

আত্মহত্যার কয়েকটি কারণের মধ্যে অন্যতম কারণ হলো পরিবারের সদস্যদের আচরণ। বিশেষ করে মা-বাবার সমন্বয়হীনতা এর পেছনে চরম আকারে দায়ী। মেয়ে হয়তো নিজের মতো স্বাধীনতা খুজেঁ কিন্তু প্রতিটি মা-বাবাই সন্তানের কল্যাণের কথা চিন্তা করে তাতে হস্তক্ষেপ করে। যাতে দিন দিন একাককিত্ববোধ করতে থাকে মেয়ে। আর এই একাককিত্ববোধ থেকেই সে আত্মহত্যা পথে ধাবিত হয়।

২। সম্পর্কের টানাপোড়ন

মেয়েদের আত্মহত্যার পেছনে সম্পর্কের টানাপোড়ন বিশেষ একটি কারণ।পৃথিবীতে প্রেমের সম্পর্ক একটি মেয়েকে ভিন্ন একটি জগৎে রূপান্তর করে। প্রেমিককে নিয়ে স্বপ্ন দেখে আমৃত্যু এক সাথে বেচেঁ থাকার। সম্পর্ককে গভীর করতে বিলিয়ে দেয় জীবন যৌবন। কিন্তু হঠাৎ সম্পর্কের টানাপোড়নে আত্মমর্যাদার ভয়ে ভেঙ্গে পড়ে। নিজের সম্মানহানীর ভয়ে বেছে নেয় আত্মহত্যার পথ।

৩। মাত্রাতিরিক্ত জেদ

মেয়েদের আত্মহত্যার নৈপথ্যে ভয়ঙ্কর একটি কারণ হলো অতিরিক্ত রাগ। সাধারণত মেয়েদের ধৈর্য্যধারণের সক্ষমতা খুব কম। মাত্রাতিরিক্ত জেদের কারণে আত্মহত্যা করে। সম্প্রতি ঘটে যাওয়া আলোচিত নারী পুলিশ কর্মকর্তা লাবনীর আত্মহত্যার খবর ছড়িয়ে পরে দেশ ব্যাপি। তাতে ঔ কর্মকর্তার বাবা জানান, মেয়েটা খুব জেদি ছিল। যা বলতো, তাই ছিল শেষকথা। যদি বলতো হবে না, তা কোনোভাবেই হতো না। রেগে গেলে থামানো যেতো না। আমার মনে হচ্ছে, পারিবারিক বিষয় নিয়ে স্বামীর সঙ্গে ঝগড়া করে আত্মহত্যা করেছে।

৪। স্বামী ও শশুরবাড়ীর নির্যাতন

মেয়েরা বাবার বাড়ির পর নিজের আশ্রয়স্থল হিসেবে বেছে নেয় শ্বশুর বাড়ি। চাওয়া পাওয়া সব কিছুতেই নির্ভর করে স্বামীর পরিবারের সদস্যদের ওপর। কিন্তু এমনও পরিবার আছে যারা পরের মেয়ে বলে ছেলে বউয়ের উপর চরম আকারে চড়াও হোন এমনকি মারধরও করেন। অনেক স্বামীও স্ত্রী সাথে এমন করে থাকে। তাতে অনেক মেয়েরাই এ অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়।

এছাড়াও আত্মহত্যার পেছনে আরোও ভিন্ন ভিন্ন কারণ থাকতে পারে। আমরা শুধু কয়েকটি বিষয় তুলে ধরে কারণ জানার চেষ্টা করেছি।

বিজনেস আওয়ার/ ১৫ আগস্ট,২০২২/ এস এইচ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

মেয়েরা আত্মহত্যার পথ যেসব কারণে বেছে নেয়

পোস্ট হয়েছে : ০৪:১৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৫ অগাস্ট ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক: আত্মহত্যা এমন এক ভয়্ঙ্কর ব্যধি যার কোনো প্রতিশেধক নেই। এই ব্যধির চুড়ান্ত ফলাফল মৃত্যু। সমীক্ষায় দেখা যায় ছেলেদের তুলনায় মেয়েরা নানা কারণে এই মৃৃত্যুর পথ বেছে নেয়। সাম্প্রতিক ঘটে যাওয়া কয়েকটি আত্মহত্যার ঘটনায় খুঁজ করে জানা গেল আত্মহত্যার নৈপথ্যে যত কারণ।

১। মেয়ের সাথে মা-বাবার সমন্বয়হীনতা

আত্মহত্যার কয়েকটি কারণের মধ্যে অন্যতম কারণ হলো পরিবারের সদস্যদের আচরণ। বিশেষ করে মা-বাবার সমন্বয়হীনতা এর পেছনে চরম আকারে দায়ী। মেয়ে হয়তো নিজের মতো স্বাধীনতা খুজেঁ কিন্তু প্রতিটি মা-বাবাই সন্তানের কল্যাণের কথা চিন্তা করে তাতে হস্তক্ষেপ করে। যাতে দিন দিন একাককিত্ববোধ করতে থাকে মেয়ে। আর এই একাককিত্ববোধ থেকেই সে আত্মহত্যা পথে ধাবিত হয়।

২। সম্পর্কের টানাপোড়ন

মেয়েদের আত্মহত্যার পেছনে সম্পর্কের টানাপোড়ন বিশেষ একটি কারণ।পৃথিবীতে প্রেমের সম্পর্ক একটি মেয়েকে ভিন্ন একটি জগৎে রূপান্তর করে। প্রেমিককে নিয়ে স্বপ্ন দেখে আমৃত্যু এক সাথে বেচেঁ থাকার। সম্পর্ককে গভীর করতে বিলিয়ে দেয় জীবন যৌবন। কিন্তু হঠাৎ সম্পর্কের টানাপোড়নে আত্মমর্যাদার ভয়ে ভেঙ্গে পড়ে। নিজের সম্মানহানীর ভয়ে বেছে নেয় আত্মহত্যার পথ।

৩। মাত্রাতিরিক্ত জেদ

মেয়েদের আত্মহত্যার নৈপথ্যে ভয়ঙ্কর একটি কারণ হলো অতিরিক্ত রাগ। সাধারণত মেয়েদের ধৈর্য্যধারণের সক্ষমতা খুব কম। মাত্রাতিরিক্ত জেদের কারণে আত্মহত্যা করে। সম্প্রতি ঘটে যাওয়া আলোচিত নারী পুলিশ কর্মকর্তা লাবনীর আত্মহত্যার খবর ছড়িয়ে পরে দেশ ব্যাপি। তাতে ঔ কর্মকর্তার বাবা জানান, মেয়েটা খুব জেদি ছিল। যা বলতো, তাই ছিল শেষকথা। যদি বলতো হবে না, তা কোনোভাবেই হতো না। রেগে গেলে থামানো যেতো না। আমার মনে হচ্ছে, পারিবারিক বিষয় নিয়ে স্বামীর সঙ্গে ঝগড়া করে আত্মহত্যা করেছে।

৪। স্বামী ও শশুরবাড়ীর নির্যাতন

মেয়েরা বাবার বাড়ির পর নিজের আশ্রয়স্থল হিসেবে বেছে নেয় শ্বশুর বাড়ি। চাওয়া পাওয়া সব কিছুতেই নির্ভর করে স্বামীর পরিবারের সদস্যদের ওপর। কিন্তু এমনও পরিবার আছে যারা পরের মেয়ে বলে ছেলে বউয়ের উপর চরম আকারে চড়াও হোন এমনকি মারধরও করেন। অনেক স্বামীও স্ত্রী সাথে এমন করে থাকে। তাতে অনেক মেয়েরাই এ অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়।

এছাড়াও আত্মহত্যার পেছনে আরোও ভিন্ন ভিন্ন কারণ থাকতে পারে। আমরা শুধু কয়েকটি বিষয় তুলে ধরে কারণ জানার চেষ্টা করেছি।

বিজনেস আওয়ার/ ১৫ আগস্ট,২০২২/ এস এইচ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: