ঢাকা , শনিবার, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

হবিগঞ্জে চা শ্রমিকদের ধর্মঘট অব্যাহত

  • পোস্ট হয়েছে : ০১:১১ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৭ অগাস্ট ২০২২
  • 69

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক: মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে হবিগঞ্জ জেলার চা বাগানগুলোতে শ্রমিকদের ধর্মঘট এখনো অব্যাহত রয়েছে।

শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলতে মঙ্গলবার (১৬ আগস্ট) শ্রীমঙ্গলে আসেন শ্রম অধিদপ্তরের মহাপরিচালক খালেদ মামুন চৌধুরী। তিনি ধর্মঘট স্থগিত করে আলোচনায় বসার আহ্বান জানালেও চা শ্রমিক ইউনিয়ন তা প্রত্যাখান করে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেয়।

আজ বুধবার (১৭ আগস্ট) বিকেলে ঢাকায় মজুরি বিষয়ে সরকার, মালিক ও শ্রমিক পক্ষের বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে।

এদিকে, হবিগঞ্জ জেলার ৪১টি চা বাগানে শ্রমিকরা ধর্মঘট অব্যাহত রেখেছেন। তাদের দাবি- শ্রমের মজুরি দৈনিক ৩০০ টাকা দিতে হবে, না হলে তারা ঘরে ফিরে যাবে না। শ্রমিক ধর্মঘটে চা বাগানের উৎপাদন বন্ধ আছে। এতে লাখ লাখ টাকার পাতার ক্ষতি হচ্ছে। এ অবস্থায় অচল হয়ে পড়েছে চা বাগানগুলো।

শ্রমিক নেতারা বলেন, দীর্ঘ ১৯ মাস থেকে তাদের মজুরি বাড়ানোর বিষয়ে মালিকপক্ষ কথা বলতে রাজি হচ্ছে না। দুই বছর পরপর মজুরি বৃদ্ধির করার কথা।

জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে দৈনিক ১২০ টাকা মজুরিতে কাজ করছেন জেলার চা বাগানগুলোর শ্রমিকরা। বর্তমান দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির বাজারে এ টাকা অত্যন্ত অপ্রতুল। তাই মজুরি ৩০০ টাকা করার দাবিতে ৯ থেকে ১১ আগস্ট পর্যন্ত তারা দৈনিক দুই ঘণ্টা করে কর্মবিরতি পালন করেন।

চা বাগান সূত্রে জানা গেছে, হবিগঞ্জ জেলার নবীগঞ্জ, বাহুবল, চুনারুঘাট, মাধবপুর উপজেলার পাহাড়ি অঞ্চলের প্রায় ১৫ হাজার ৭০৩.২৪ হেক্টর জমিতে ২৫টি ফ্যাক্টরিযুক্ত চা বাগান রয়েছে। এছাড়া ফাঁড়িসহ প্রায় ৪১টি বাগানের প্রায় প্রতি হেক্টর জমিতে ২২-২৫ শ কেজি চা পাতা উৎপাদন হয়। এসব বাগানে বছরে ১ কোটি ৩০ লাখ কেজি চা উৎপাদন হয়ে থাকে।

বিজনেস আওয়ার/ ১৮ আগস্ট,২০২২/ এস এইচ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

হবিগঞ্জে চা শ্রমিকদের ধর্মঘট অব্যাহত

পোস্ট হয়েছে : ০১:১১ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৭ অগাস্ট ২০২২

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক: মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে হবিগঞ্জ জেলার চা বাগানগুলোতে শ্রমিকদের ধর্মঘট এখনো অব্যাহত রয়েছে।

শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলতে মঙ্গলবার (১৬ আগস্ট) শ্রীমঙ্গলে আসেন শ্রম অধিদপ্তরের মহাপরিচালক খালেদ মামুন চৌধুরী। তিনি ধর্মঘট স্থগিত করে আলোচনায় বসার আহ্বান জানালেও চা শ্রমিক ইউনিয়ন তা প্রত্যাখান করে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেয়।

আজ বুধবার (১৭ আগস্ট) বিকেলে ঢাকায় মজুরি বিষয়ে সরকার, মালিক ও শ্রমিক পক্ষের বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে।

এদিকে, হবিগঞ্জ জেলার ৪১টি চা বাগানে শ্রমিকরা ধর্মঘট অব্যাহত রেখেছেন। তাদের দাবি- শ্রমের মজুরি দৈনিক ৩০০ টাকা দিতে হবে, না হলে তারা ঘরে ফিরে যাবে না। শ্রমিক ধর্মঘটে চা বাগানের উৎপাদন বন্ধ আছে। এতে লাখ লাখ টাকার পাতার ক্ষতি হচ্ছে। এ অবস্থায় অচল হয়ে পড়েছে চা বাগানগুলো।

শ্রমিক নেতারা বলেন, দীর্ঘ ১৯ মাস থেকে তাদের মজুরি বাড়ানোর বিষয়ে মালিকপক্ষ কথা বলতে রাজি হচ্ছে না। দুই বছর পরপর মজুরি বৃদ্ধির করার কথা।

জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে দৈনিক ১২০ টাকা মজুরিতে কাজ করছেন জেলার চা বাগানগুলোর শ্রমিকরা। বর্তমান দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির বাজারে এ টাকা অত্যন্ত অপ্রতুল। তাই মজুরি ৩০০ টাকা করার দাবিতে ৯ থেকে ১১ আগস্ট পর্যন্ত তারা দৈনিক দুই ঘণ্টা করে কর্মবিরতি পালন করেন।

চা বাগান সূত্রে জানা গেছে, হবিগঞ্জ জেলার নবীগঞ্জ, বাহুবল, চুনারুঘাট, মাধবপুর উপজেলার পাহাড়ি অঞ্চলের প্রায় ১৫ হাজার ৭০৩.২৪ হেক্টর জমিতে ২৫টি ফ্যাক্টরিযুক্ত চা বাগান রয়েছে। এছাড়া ফাঁড়িসহ প্রায় ৪১টি বাগানের প্রায় প্রতি হেক্টর জমিতে ২২-২৫ শ কেজি চা পাতা উৎপাদন হয়। এসব বাগানে বছরে ১ কোটি ৩০ লাখ কেজি চা উৎপাদন হয়ে থাকে।

বিজনেস আওয়ার/ ১৮ আগস্ট,২০২২/ এস এইচ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: