বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : বর্তমানে সরকারের ঋণের স্থিতি মার্চ পর্যন্ত দাঁড়িয়েছে ১২ লাখ ৪৯ হাজার ২৬৫ কোটি টাকা। এর আগে ২০২০-২০২১ অর্থবছর শেষে বা ২০২১ সালের জুন শেষে সরকারের পুঞ্জিভূত ঋণস্থিতি ছিল ১১ লাখ ৪২ হাজার ৯৪৮ কোটি টাকা। অর্থাৎ গত নয় মাসে সরকারের পুঞ্জিভূত ঋণ বেড়েছে এক লাখ ৬ হাজার ৩১৭ কোটি টাকা। অর্থ বিভাগের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশ পেয়েছে।
অর্থ বিভাগের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, সমাপ্ত ২০২১-২০২২ অর্থবছরের প্রথম নয় মাসে (গত মার্চ) সরকারের মোট ঋণস্থিতি (অভ্যন্তরীণ ও বৈদেশিক) দাঁড়িয়েছে ১২ লাখ ৪৯ হাজার ২৬৫ কোটি টাকা। এটি মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি)-এর ৩১ দশমিক ৪২ শতাংশ। এর আগে ২০২০-২০২১ অর্থবছর শেষে বা ২০২১ সালের জুন শেষে সরকারের পুঞ্জিভূত ঋণস্থিতি ছিল ১১ লাখ ৪২ হাজার ৯৪৮ কোটি টাকা। এটি ছিল জিডিপির ৩২ দশমিক ৩৮ শতাংশ। সে হিসাবে নয় মাসের ব্যবধানে সরকারের ঋণস্থিতি বেড়েছে এক লাখ ৬ হাজার ৩১৭ কোটি টাকা।
তবে টাকার অঙ্কে ঋণ স্থিতি বাড়লেও জিডিপির অনুপাতে ঋণস্থিতি কমেছে প্রায় ১ শতাংশ। কারণ এবার নতুন ভিত্তি বছর হিসেবে জিডিপির আকার অনেকখানি বেড়েছে বলে এ ঋণের স্থিতি কমেছে।
অর্থ বিভাগের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, সরকারের মোট পুঞ্জিভূত ঋণের মধ্যে অভ্যন্তরীণ ঋণের স্থিতি হচ্ছে ৭ লাখ ৭৭ হাজার ৩৬২ কোটি টাকা (এটি মোট পুঞ্জিভূত ঋণের ৬২ শতাংশ) এবং বৈদেশিক ঋণের স্থিতি হচ্ছে ৪ লাখ ৭১ হাজার ৯০৩ কোটি টাকা (এটি মোট পুঞ্জিভূত ঋণের ৩৮ শতাংশ)। গত ২০২০-২০২১ অর্থবছর শেষে অর্থাৎ ২০২১ সালের জুন শেষে সরকারের অভ্যন্তরীণ ও বৈদেশিক ঋণের পুঞ্জিভূত স্থিতি ছিল যথাক্রমে ৭ লাখ ২২ হাজার ৫৯১ কোটি টাকা এবং চার লাখ ২০ হাজার ৩৫৮ কোটি টাকা।
বিজনেস আওয়ার/২৫ আগস্ট, ২০২২/কমা