বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : ওষুধ খাতের দূর্বল কোম্পানির ন্যায় মুনাফা করে ওরিয়ন ইনফিউশন। কিন্তু শেয়ার দর ভালো মুনাফা করা কোম্পানির থেকেও বেশি। যার পেছনে সক্রিয় ভূমিকা রেখেছেন একটি কারসাজি চক্র। যারা শেয়ারটিকে অস্বাভাবিক দরে এনে সাধারন বিনিয়োগকারীদের হাতে দিয়ে মুনাফা নিয়ে কেটে পড়তে চায়। এতে সাধারন বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগ ঝুঁকিতে পড়েছে।
দেখা গেছে, ২০২১-২২ অর্থবছরের ৯ মাসে (জুলাই ২১-মার্চ ২২) ওরিয়ন ইনফিউশনসের বিক্রি মূল্য থেকে পরিচালন ব্যয়, সুদজনিত ব্যয় ও কর সঞ্চিতি বিয়োগ এবং অন্যান্য আয় যোগ শেষে নিট মুনাফা দাঁড়িয়েছে ২ কোটি ৯১ লাখ টাকা বা শেয়ারপ্রতি ১.৪৩ টাকায়। যা ওষুধ খাতের দূর্বল কোম্পানির সমতূল্য।
মুনাফায় দূর্বল কোম্পানির কাতারে থাকা এই ওরিয়ন ইনফিউশনের শেয়ার দর অস্বাভাবিক উত্থানে রয়েছে। এর মাধ্যমে কোম্পানিটির দর এখন মৌলভিত্তিসম্পন্ন স্কয়ার ফার্মাকে ছাড়িয়ে গেছে। অথচ ওরিয়ন ইনফিউশনের থেকে কয়েকগুণ বেশি ইপিএস হয় স্কয়ার ফার্মার।

দেখা গেছে, ৩ মাস আগে ওরিয়ন ইনফিউশনের শেয়ার দর ছিল ৭৭.৪০ টাকা। যে শেয়ারটিকে কৃত্রিমভাবে গত ২০ জুলাই থেকে টানা উত্থানে রাখা হয়েছে। এরমাধ্যমে ২৪ আগস্ট ২০০ টাকায় উঠে এসেছে। এমনকি আজ সর্বোচ্চ সীমা ২২০ টাকায় শেয়ারটি হল্টেড হয়ে পড়েছে।

ব্যবসা দূর্বল সত্ত্বেও ওরিয়ন ইনফিউশনের দর বৃদ্ধিতে সক্রিয় ভূমিকা রেখেছে কারসাজি চক্র। যারা এখন সাধারন বিনিয়োগকারীদের হাতে উচ্চ দরের শেয়ারটি ধরিয়ে দিতে চায়।
দূর্বল মুনাফার ওরিয়ন ইনফিউশনকে কারসাজির হাতিয়ার হিসেবে বেছে নেওয়ার পেছনে বড় কারন হিসেবে রয়েছে স্বল্পমূলধনীর কোম্পানি। এই কোম্পানির পরিশোধিত মূলধন ২০ কোটি ৩৬ লাখ টাকা। এ হিসেবে শেয়ার সংখ্যা আড়াই কোটির মতো। এরমধ্যে আবার উদ্যোক্তা/পরিচালকদের প্রায় ৪১ শতাংশ রয়েছে। বাকি থাকে ১ কোটি ২১ লাখ শেয়ার। এই অল্প শেয়ারের কারনে গেম্বলাররা সহজেই শেয়ারটিতে সংকট তৈরী করতে পেরেছে। যাতে করে অস্বাভাবিক দর বেড়েছে।
বিজনেস আওয়ার/২৫ আগস্ট, ২০২২/আরএ