ঢাকা , রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রাতে যে ৫ কাজ করবেন না

  • পোস্ট হয়েছে : ০৬:১১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ অগাস্ট ২০২২
  • 78

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক: আমাদের সুস্থতার জন্য অনেকাংশে কাজ করে আমাদের অভ্যাসগুলো। কিছু অভ্যাস আপনার মন ভালো রাখবে, কিছু ভালো রাখবে শরীর। এদিকে কিছু অভ্যাস আবার আপনাকে ঠেলে দিতে পারে ঝুঁকির মুখে। ভালো অভ্যাস অসুখ-বিসুখ দূরে রাখে, খারাপ অভ্যাস অসুস্থ করে দিতে পারে। খাওয়া, ঘুম, গোসলের মতো বিষয়গুলো রুটিন মেনে করতে হবে। রাতের কিছু অভ্যাস আপনাকে অসুস্থ করে দিতে পারে। তাই রাতের বেলায় এই ৫ কাজ থেকে বিরত থাকবেন-

১.​মধ্যরাত পর্যন্ত জেগে থাকা

আমাদের ঘুমাতে যাওয়ার জন্য সবচেয়ে ভালো সময় হলো রাত ১০টা। রাত ১০টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত প্রাইম টাইম, অর্থাৎ এই সময়ে আপনার মেটাবলিজম থাকে সর্বোচ্চ পর্যায়ে। সন্ধ্যা ৭-৭.৩০ এর মধ্যে রাতের খাবার খেয়ে তাড়াতাড়ি ঘুমাতে যাওয়ার অভ্যাস সবচেয়ে ভালো। এটি হজম প্রক্রিয়া সহজ রাখে। স্বাস্থ্যকর এই অভ্যাস আপনার লিভারকে ডিটক্স করে। যে কারণে ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে, কমে শর্করার মাত্রা। এছাড়াও খাদ্য থেকে পুষ্টি শোষণ করার ক্ষমতা বজায় থাকে শরীরে। আপনি যদি প্রতি রাতে দেরি করে ঘুমান তবে তা হতে পারে মানসিক সমস্যা, ভিটামিনের অভাব, অন্ত্রের স্বাস্থ্য খারাপ হওয়ার মতো সমস্যার জন্য দায়ী।

২. বেশি রাতে খাওয়া

রাতের খাবার আগেভাগে খেয়ে নেওয়া সবচেয়ে ভালো। সূর্যাস্তের আগে বা সূর্যাস্তের ঘণ্টা খানেকের মধ্যে রাতের খাবার খেয়ে নেওয়া ভালো। আপনি চেষ্টা করবেন রাত ৮টার মধ্যেই খেয়ে নিতে। রাত ৯টার পর খাবার খেলে তা বিপাক, লিভার ডিটক্স এবং ঘুমের ব্যাঘাত ঘটায়। রাতের খাবার দেরি করে খাওয়ার অভ্যাস ডায়াবেটিস, কোলেস্টেরল, স্থূলতা, কার্ডিওভাসকুলার সমস্যার জন্য দায়ী হতে পারে।

৩. ক্ষুধা না পেলেও খাওয়া

অনেক সময় ‘চোখের ক্ষুধা’য় আমরা এটা-সেটা খেয়ে ফেলি। আগে খাওয়া খাবার ভালোভাবে হজম হলেই কেবল আপনার ক্ষুধা লাগবে। আপনি যদি ক্ষুধার্ত না হয়েও খাবার খান তখন সেটি লিভারের ওপর অতিরিক্ত চাপ দেয়। তাই বিশেষজ্ঞরা কেবল ক্ষুধা পেলেই খাওয়ার পরামর্শ দেন। ক্ষুধা পেলে না খাওয়া বা ক্ষুধা না পেলেও খাওয়া এই দুই অভ্যাস আপনার বিপাক ক্রিয়া খারাপ করে দিতে পারে।

৪.অতিরিক্ত ব্যায়াম

বিশেষজ্ঞরা মতে, কারও ক্ষমতার বাইরে ব্যায়াম করা উচিত নয়। বেশি ব্যায়াম করলে তা আপনাকে ক্লান্ত করে তুলতে পারে। সেখান থেকে রক্তপাতের ব্যাধি, ডাইস্টোনিয়া, কাশি, জ্বর, অতিরিক্ত তৃষ্ণা সেইসঙ্গে বমিও হতে পারে। ঘাম না হওয়া পর্যন্ত ব্যায়াম করা স্বাস্থ্যকর। পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ না করে আপনার শরীরের ক্ষমতার বাইরে ব্যায়াম করলে তা মারাত্মক ক্ষতির কারণ হতে পারে। রাতের বেলা অতিরিক্ত ব্যায়াম থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা।

​৫. মাল্টি টাস্কিং

​রাতের বেলা মাল্টি টাস্কিং বা একসঙ্গে একাধিক কাজ করা থেকে বিরত থাকুন। কারণ এটি আমাদের শরীরে অতিরিক্ত কর্টিসল (স্ট্রেস হরমোন) বাড়িয়ে দেয়। এটি অটোইমিউন এবং লাইফস্টাইল ডিসঅর্ডারের প্রবণতা বাড়াতে পারে। মননশীলতার সঙ্গে এক সময়ে একটি জিনিস করা কার্যক্ষমতা উন্নত করে, কমায় মানসিক চাপ। এতে মন প্রশান্ত থাকে।

বিজনেস আওয়ার/ ২৫ আগস্ট, ২০২২/ এস এইচ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

রাতে যে ৫ কাজ করবেন না

পোস্ট হয়েছে : ০৬:১১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ অগাস্ট ২০২২

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক: আমাদের সুস্থতার জন্য অনেকাংশে কাজ করে আমাদের অভ্যাসগুলো। কিছু অভ্যাস আপনার মন ভালো রাখবে, কিছু ভালো রাখবে শরীর। এদিকে কিছু অভ্যাস আবার আপনাকে ঠেলে দিতে পারে ঝুঁকির মুখে। ভালো অভ্যাস অসুখ-বিসুখ দূরে রাখে, খারাপ অভ্যাস অসুস্থ করে দিতে পারে। খাওয়া, ঘুম, গোসলের মতো বিষয়গুলো রুটিন মেনে করতে হবে। রাতের কিছু অভ্যাস আপনাকে অসুস্থ করে দিতে পারে। তাই রাতের বেলায় এই ৫ কাজ থেকে বিরত থাকবেন-

১.​মধ্যরাত পর্যন্ত জেগে থাকা

আমাদের ঘুমাতে যাওয়ার জন্য সবচেয়ে ভালো সময় হলো রাত ১০টা। রাত ১০টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত প্রাইম টাইম, অর্থাৎ এই সময়ে আপনার মেটাবলিজম থাকে সর্বোচ্চ পর্যায়ে। সন্ধ্যা ৭-৭.৩০ এর মধ্যে রাতের খাবার খেয়ে তাড়াতাড়ি ঘুমাতে যাওয়ার অভ্যাস সবচেয়ে ভালো। এটি হজম প্রক্রিয়া সহজ রাখে। স্বাস্থ্যকর এই অভ্যাস আপনার লিভারকে ডিটক্স করে। যে কারণে ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে, কমে শর্করার মাত্রা। এছাড়াও খাদ্য থেকে পুষ্টি শোষণ করার ক্ষমতা বজায় থাকে শরীরে। আপনি যদি প্রতি রাতে দেরি করে ঘুমান তবে তা হতে পারে মানসিক সমস্যা, ভিটামিনের অভাব, অন্ত্রের স্বাস্থ্য খারাপ হওয়ার মতো সমস্যার জন্য দায়ী।

২. বেশি রাতে খাওয়া

রাতের খাবার আগেভাগে খেয়ে নেওয়া সবচেয়ে ভালো। সূর্যাস্তের আগে বা সূর্যাস্তের ঘণ্টা খানেকের মধ্যে রাতের খাবার খেয়ে নেওয়া ভালো। আপনি চেষ্টা করবেন রাত ৮টার মধ্যেই খেয়ে নিতে। রাত ৯টার পর খাবার খেলে তা বিপাক, লিভার ডিটক্স এবং ঘুমের ব্যাঘাত ঘটায়। রাতের খাবার দেরি করে খাওয়ার অভ্যাস ডায়াবেটিস, কোলেস্টেরল, স্থূলতা, কার্ডিওভাসকুলার সমস্যার জন্য দায়ী হতে পারে।

৩. ক্ষুধা না পেলেও খাওয়া

অনেক সময় ‘চোখের ক্ষুধা’য় আমরা এটা-সেটা খেয়ে ফেলি। আগে খাওয়া খাবার ভালোভাবে হজম হলেই কেবল আপনার ক্ষুধা লাগবে। আপনি যদি ক্ষুধার্ত না হয়েও খাবার খান তখন সেটি লিভারের ওপর অতিরিক্ত চাপ দেয়। তাই বিশেষজ্ঞরা কেবল ক্ষুধা পেলেই খাওয়ার পরামর্শ দেন। ক্ষুধা পেলে না খাওয়া বা ক্ষুধা না পেলেও খাওয়া এই দুই অভ্যাস আপনার বিপাক ক্রিয়া খারাপ করে দিতে পারে।

৪.অতিরিক্ত ব্যায়াম

বিশেষজ্ঞরা মতে, কারও ক্ষমতার বাইরে ব্যায়াম করা উচিত নয়। বেশি ব্যায়াম করলে তা আপনাকে ক্লান্ত করে তুলতে পারে। সেখান থেকে রক্তপাতের ব্যাধি, ডাইস্টোনিয়া, কাশি, জ্বর, অতিরিক্ত তৃষ্ণা সেইসঙ্গে বমিও হতে পারে। ঘাম না হওয়া পর্যন্ত ব্যায়াম করা স্বাস্থ্যকর। পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ না করে আপনার শরীরের ক্ষমতার বাইরে ব্যায়াম করলে তা মারাত্মক ক্ষতির কারণ হতে পারে। রাতের বেলা অতিরিক্ত ব্যায়াম থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা।

​৫. মাল্টি টাস্কিং

​রাতের বেলা মাল্টি টাস্কিং বা একসঙ্গে একাধিক কাজ করা থেকে বিরত থাকুন। কারণ এটি আমাদের শরীরে অতিরিক্ত কর্টিসল (স্ট্রেস হরমোন) বাড়িয়ে দেয়। এটি অটোইমিউন এবং লাইফস্টাইল ডিসঅর্ডারের প্রবণতা বাড়াতে পারে। মননশীলতার সঙ্গে এক সময়ে একটি জিনিস করা কার্যক্ষমতা উন্নত করে, কমায় মানসিক চাপ। এতে মন প্রশান্ত থাকে।

বিজনেস আওয়ার/ ২৫ আগস্ট, ২০২২/ এস এইচ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: