ঢাকা , শনিবার, ২৪ মে ২০২৫, ১০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনে ভারত বড় ভূমিকা রাখতে পারে

  • পোস্ট হয়েছে : ০২:৫৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ৪ সেপ্টেম্বর ২০২২
  • 56

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন নিশ্চিতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছে বাংলাদেশ। এ সমস্যা সমাধানে ভারত বড় ভূমিকা রাখতে পারে বলে মনে করেন তিনি।

ভারতে চার দিনের রাষ্ট্রীয় সফরের আগে তিনি মাল্টিমিডিয়া নিউজ এজেন্সি-এশিয়ান নিউজ ইন্টারন্যাশনালে (এএনআই) দেওয়া এক সাক্ষাতকারে এ কথা বলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশে লাখো রোহিঙ্গার উপস্থিতি তাঁর সরকারের জন্য চ্যালেঞ্জ তৈরি করেছে। বাংলাদেশে ১১ লাখ রোহিঙ্গা আছে। বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ও প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে আলোচনা করছে, রোহিঙ্গারা যাতে নিজ দেশে ফিরে যেতে পারে, সে জন্য তাদেরও কিছু পদক্ষেপ নেওয়া উচিত।

তাঁর সরকার মানবিক দিক বিবেচনায় বাস্তুচ্যুত সম্প্রদায়টির দেখভালের চেষ্টা করে আসছে বলে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন,‘এই রোহিঙ্গা,…মানবিক কারণে আমরা তাঁদের আশ্রয় দিই। তাঁদের সব কিছু দিচ্ছি। এই করোনাকালে আমরা সব রোহিঙ্গাকে টিকা দিয়েছি। কিন্তু তারা কত দিন এখানে থাকবে?’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গা শিবির এলাকায় পরিবেশগত ঝুঁকি তৈরি হয়েছে। সেখানে কেউ মাদক কারবারি, কেউ সশস্ত্র সংঘাত, কেউ নারী পাচারে জড়িয়ে পড়েছে। দিন দিন তা বেড়েই চলেছে। তাই তারা যত তাড়াতাড়ি দেশে ফিরবে, তা বাংলাদেশের জন্য মঙ্গল, মিয়ানমারের জন্যও মঙ্গল। তাই তাঁরা তাদের বোঝানোর যথাসাধ্য চেষ্টা করছেন। তাঁরা তাদের সঙ্গে, আসিয়ান-ইউএনসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে আলোচনা করছেন। বিভিন্ন দেশের সঙ্গে আলোচনা করছেন।

রোহিঙ্গারা যখন অনেক সমস্যার মুখোমুখি হয়েছিল, তখন তাদের আশ্রয় দিয়েছিল বাংলাদেশ। কিন্তু এখন তাদের দেশে ফিরে যাওয়া উচিত উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ভারত প্রতিবেশী দেশ হিসেবে এ বিষয়ে বড় ভূমিকা রাখতে পারে।

তিস্তার পানি বণ্টন চুক্তি মূলত ভারতের ওপর নির্ভর করছ উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, পূর্বের আলোচনার কথা স্মরণ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত বছরের মার্চে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে তার বৈঠকের সময় তিস্তা নদীর পানি বণ্টন সংক্রান্ত অন্তর্বর্তী চুক্তি শেষ করার জন্য বাংলাদেশের দীর্ঘদিনের অমীমাংসিত অনুরোধ পুনর্ব্যক্ত করেছিলেন।

তিনি তিস্তা নদীর অববাহিকায় নির্ভরশীল লাখ লাখ মানুষের দুর্ভোগ লাঘব এবং জীবিকা বাঁচাতে জোর দিয়েছিলেন, ২০১১ সালের যৌথ বিবৃতি অনুযায়ী, তিস্তার পানির ন্যায্য অংশ বাংলাদেশ পেতে পারে, ২০২১ যার খসড়া চুক্তিটি ইতোমধ্যে উভয় সরকার সম্মত হয়েছে।

বিজনেস আওয়ার/০৪ সেপ্টেম্বর, ২০২২/কমা

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনে ভারত বড় ভূমিকা রাখতে পারে

পোস্ট হয়েছে : ০২:৫৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ৪ সেপ্টেম্বর ২০২২

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন নিশ্চিতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছে বাংলাদেশ। এ সমস্যা সমাধানে ভারত বড় ভূমিকা রাখতে পারে বলে মনে করেন তিনি।

ভারতে চার দিনের রাষ্ট্রীয় সফরের আগে তিনি মাল্টিমিডিয়া নিউজ এজেন্সি-এশিয়ান নিউজ ইন্টারন্যাশনালে (এএনআই) দেওয়া এক সাক্ষাতকারে এ কথা বলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশে লাখো রোহিঙ্গার উপস্থিতি তাঁর সরকারের জন্য চ্যালেঞ্জ তৈরি করেছে। বাংলাদেশে ১১ লাখ রোহিঙ্গা আছে। বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ও প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে আলোচনা করছে, রোহিঙ্গারা যাতে নিজ দেশে ফিরে যেতে পারে, সে জন্য তাদেরও কিছু পদক্ষেপ নেওয়া উচিত।

তাঁর সরকার মানবিক দিক বিবেচনায় বাস্তুচ্যুত সম্প্রদায়টির দেখভালের চেষ্টা করে আসছে বলে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন,‘এই রোহিঙ্গা,…মানবিক কারণে আমরা তাঁদের আশ্রয় দিই। তাঁদের সব কিছু দিচ্ছি। এই করোনাকালে আমরা সব রোহিঙ্গাকে টিকা দিয়েছি। কিন্তু তারা কত দিন এখানে থাকবে?’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গা শিবির এলাকায় পরিবেশগত ঝুঁকি তৈরি হয়েছে। সেখানে কেউ মাদক কারবারি, কেউ সশস্ত্র সংঘাত, কেউ নারী পাচারে জড়িয়ে পড়েছে। দিন দিন তা বেড়েই চলেছে। তাই তারা যত তাড়াতাড়ি দেশে ফিরবে, তা বাংলাদেশের জন্য মঙ্গল, মিয়ানমারের জন্যও মঙ্গল। তাই তাঁরা তাদের বোঝানোর যথাসাধ্য চেষ্টা করছেন। তাঁরা তাদের সঙ্গে, আসিয়ান-ইউএনসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে আলোচনা করছেন। বিভিন্ন দেশের সঙ্গে আলোচনা করছেন।

রোহিঙ্গারা যখন অনেক সমস্যার মুখোমুখি হয়েছিল, তখন তাদের আশ্রয় দিয়েছিল বাংলাদেশ। কিন্তু এখন তাদের দেশে ফিরে যাওয়া উচিত উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ভারত প্রতিবেশী দেশ হিসেবে এ বিষয়ে বড় ভূমিকা রাখতে পারে।

তিস্তার পানি বণ্টন চুক্তি মূলত ভারতের ওপর নির্ভর করছ উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, পূর্বের আলোচনার কথা স্মরণ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত বছরের মার্চে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে তার বৈঠকের সময় তিস্তা নদীর পানি বণ্টন সংক্রান্ত অন্তর্বর্তী চুক্তি শেষ করার জন্য বাংলাদেশের দীর্ঘদিনের অমীমাংসিত অনুরোধ পুনর্ব্যক্ত করেছিলেন।

তিনি তিস্তা নদীর অববাহিকায় নির্ভরশীল লাখ লাখ মানুষের দুর্ভোগ লাঘব এবং জীবিকা বাঁচাতে জোর দিয়েছিলেন, ২০১১ সালের যৌথ বিবৃতি অনুযায়ী, তিস্তার পানির ন্যায্য অংশ বাংলাদেশ পেতে পারে, ২০২১ যার খসড়া চুক্তিটি ইতোমধ্যে উভয় সরকার সম্মত হয়েছে।

বিজনেস আওয়ার/০৪ সেপ্টেম্বর, ২০২২/কমা

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: