বিনোদন ডেস্ক: নায়কের মৃত্যু আছে, কিন্তু অভিনেতা আমৃত্যু কাজ করে যেতে পারেন। তাই ‘হিরো’ হতে নয় বরং ‘অভিনেতা’ হিসেবেই কাজ করে যেতে চান জনপ্রিয় অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী। শুক্রবার ভারতীয় এক গণমাধ্যমে সাক্ষাতকার দেবার সময় তিনি এ কথা বলেন।
ছোট খোঁচা খোঁচা চুল, কঙ্কালসার চেহারায় চটের তৈরি কয়েদিদের পোশাক, ভাঙা গাল— চঞ্চল চৌধুরীর এই চেহারাই এখন ভাসছে নেট দুনিয়ায়। ‘কারাগার’ সিরিজের প্রথম কিস্তিতেই অভিনয় দিয়ে বাজিমাত করছেনএই গুণী অভিনেতা।
আলোচনার এক পর্যায়ে তাকে প্রশ্ন করায় হয়, যাঁর অভিনয়ে সকলে মুগ্ধ, তাঁর ঝুলিতে মোট ছবির সংখ্যা কিন্তু খুব একটা বেশি নয়। কারণ তিনি ছবি বাছাই নিয়ে খুবই খুঁতখুঁতে। পরিচালক দেখেন, গল্প দেখেন, সহ-অভিনেতা কারা, তা-ও দেখেন। সব মনোমতো হলে তবেই কোনও ছবি করতে রাজি হন। কিন্তু এত খুঁতখুঁতে হলে কি ছবির নায়ক হওয়া সম্ভব? বাকি অভিনেতাদের মতো তাঁর কি কোনও রকম বাসনা নেই ‘হিরো’ হওয়ার?
উত্তরে তিনি জানান, এমন বাসনা তাঁর কখনওই ছিল না। তিনি বলেন, ‘‘আমি যে অভিনয় করব, সেটাই কখনও ভাবিনি। চারুকলায় পড়াশোনা করেছি। সেকেন্ড ইয়ারে পড়ার সময় মামন রসিদের ‘আরণ্যক’ নাট্যদলে আমি নাট্যকর্মী হিসাবে মঞ্চের পিছনে কাজ শুরু করি। আর্ট কলেজে পড়তাম বলে মঞ্চের সেট ডিজাইন, আলো, প্রপ্সের মতো দিকগুলো নিয়ে দীর্ঘ দিন কাজ করতাম। মঞ্চের সামনে অভিনয় করার কথা স্বপ্নেও ভাবিনি। কিন্তু যখন শুরু করলাম, তখন ছোট পর্দা বা বিজ্ঞাপনের কিছু কাজ খুব জনপ্রিয় হল। তার পর যখন সিনেমা শুরু করলাম, তখন ছোট পর্দার কাজ কমে গেল। ‘মনপুরা’ ছবিতে অভিনয় করেছিলাম, যা বাংলাদেশে বিপুল হিট হয়েছিল। বহু বছর পর দর্শক হলে গিয়েছিলেন। তার পর থেকে দেখা গেল আমি ক্যামেরার সামনের মানুষই হয়ে গেলাম।
বিজনেস আওয়ার/ ০৪ সেপ্টেম্বর,২০২২/ এস এইচ