ঢাকা , বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বাবুল আক্তারসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট

  • পোস্ট হয়েছে : ০৫:২৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২২
  • 40

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক: স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু হত্যা মামলায় স্বামী সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট জমা দিয়েছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।

মঙ্গলবার (১৩ সেপ্টেম্বর) বিকেলে পিবিআই চট্টগ্রাম মেট্রোর পরিদর্শক (ইন্সপেক্টর) আবু জাফর মোহাম্মদ ওমর ফারুক চট্টগ্রামের আদালতে এ চার্জশিট জমা দেন।

তিনি জানান, চার্জশিটে বাবুলকে প্রধান আসামি করা হয়েছে। তিনি ছিলেন এ মামলার বাদী। অভিযোগপত্রভুক্ত বাকি ছয় আসামি হলেন- মো. কামরুল ইসলাম শিকদার ওরফে মুসা, এহতেশামুল হক ওরফে ভোলা, মো. মোতালেব মিয়া ওরফে ওয়াসিম, মো. আনোয়ার হোসেন, মো. খাইরুল ইসলাম ওরফে কালু ও শাহজাহান মিয়া।

চার্জশিটভুক্ত সাত আসামির মধ্যে কারাগারে আছেন বাবুল, ওয়াসিম, শাহজাহান ও আনোয়ার। জামিনে আছেন এহতেশামুল। মুসা ও কালু পলাতক।

অন্যদিকে চারজনকে মামলা থেকে অব্যাহতির সুপারিশ করা হয়েছে অভিযোগপত্রে। তারা হলেন- সাইদুল ইসলাম শিকদার ওরফে সাক্কু, নুরুন্নবী, মো. রাশেদ ও আবু নাছের। এরমধ্যে রাশেদ ও নুরুন্নবী ঘটনার পরের সপ্তাহে পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হন।

মামলার তদারকি কর্মকর্তা পিবিআইয়ের পুলিশ সুপার নাইমা সুলতানা বলেন, মিতু হত্যা মামলার তদন্ত শেষ করে চার্জশিট আদালতে জমা দেওয়া হয়েছে। অভিযোগপত্রে বাবুল ছাড়া আরও ছয়জনকে আসামি করা হয়েছে। এতে সাক্ষী করা হয়েছে ৯৭ জনকে। সর্বোচ্চ পেশাদারিত্ব দিয়ে এ মামলার তদন্ত করা হয়েছে।

২০১৬ সালের ৫ জুন সকালে নগরীর পাঁচলাইশ থানার ও আর নিজাম রোডে ছেলেকে স্কুলবাসে তুলে দিতে যাওয়ার পথে বাসার কাছে গুলি ও ছুরিকাঘাত করে হত্যা করা হয় মাহমুদা খানম মিতুকে। স্ত্রীকে খুনের ঘটনায় পুলিশ সদর দফতরের তৎকালীন এসপি বাবুল আক্তার বাদী হয়ে নগরীর পাঁচলাইশ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

তদন্ত শেষে পিবিআই গত বছরের ১২ মে এ মামলায় চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেয়। একই দিন বাবুলের শ্বশুর সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা মোশাররফ বাদী হয়ে পাঁচলাইশ থানায় হত্যা মামলা করেন। এ মামলায় বাবুলসহ আটজনকে আসামি করা হয়।

মোশাররফের মামলায় পিবিআই চূড়ান্ত প্রতিবেদন দিলে, আদালত তা গ্রহণ করেন। অন্যদিকে বাবুলের করা মামলাটির চূড়ান্ত প্রতিবেদন আদালত গ্রহণ করেননি। আদালতের নির্দেশে মামলাটি তদন্ত শুরু করে পিবিআই। তদন্ত শেষে সেই মামলার চার্জশিট দিলো সংস্থাটি।

বিজনেস আওয়ার/১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২২/এএইচএ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

বাবুল আক্তারসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট

পোস্ট হয়েছে : ০৫:২৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২২

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক: স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু হত্যা মামলায় স্বামী সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট জমা দিয়েছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।

মঙ্গলবার (১৩ সেপ্টেম্বর) বিকেলে পিবিআই চট্টগ্রাম মেট্রোর পরিদর্শক (ইন্সপেক্টর) আবু জাফর মোহাম্মদ ওমর ফারুক চট্টগ্রামের আদালতে এ চার্জশিট জমা দেন।

তিনি জানান, চার্জশিটে বাবুলকে প্রধান আসামি করা হয়েছে। তিনি ছিলেন এ মামলার বাদী। অভিযোগপত্রভুক্ত বাকি ছয় আসামি হলেন- মো. কামরুল ইসলাম শিকদার ওরফে মুসা, এহতেশামুল হক ওরফে ভোলা, মো. মোতালেব মিয়া ওরফে ওয়াসিম, মো. আনোয়ার হোসেন, মো. খাইরুল ইসলাম ওরফে কালু ও শাহজাহান মিয়া।

চার্জশিটভুক্ত সাত আসামির মধ্যে কারাগারে আছেন বাবুল, ওয়াসিম, শাহজাহান ও আনোয়ার। জামিনে আছেন এহতেশামুল। মুসা ও কালু পলাতক।

অন্যদিকে চারজনকে মামলা থেকে অব্যাহতির সুপারিশ করা হয়েছে অভিযোগপত্রে। তারা হলেন- সাইদুল ইসলাম শিকদার ওরফে সাক্কু, নুরুন্নবী, মো. রাশেদ ও আবু নাছের। এরমধ্যে রাশেদ ও নুরুন্নবী ঘটনার পরের সপ্তাহে পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হন।

মামলার তদারকি কর্মকর্তা পিবিআইয়ের পুলিশ সুপার নাইমা সুলতানা বলেন, মিতু হত্যা মামলার তদন্ত শেষ করে চার্জশিট আদালতে জমা দেওয়া হয়েছে। অভিযোগপত্রে বাবুল ছাড়া আরও ছয়জনকে আসামি করা হয়েছে। এতে সাক্ষী করা হয়েছে ৯৭ জনকে। সর্বোচ্চ পেশাদারিত্ব দিয়ে এ মামলার তদন্ত করা হয়েছে।

২০১৬ সালের ৫ জুন সকালে নগরীর পাঁচলাইশ থানার ও আর নিজাম রোডে ছেলেকে স্কুলবাসে তুলে দিতে যাওয়ার পথে বাসার কাছে গুলি ও ছুরিকাঘাত করে হত্যা করা হয় মাহমুদা খানম মিতুকে। স্ত্রীকে খুনের ঘটনায় পুলিশ সদর দফতরের তৎকালীন এসপি বাবুল আক্তার বাদী হয়ে নগরীর পাঁচলাইশ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

তদন্ত শেষে পিবিআই গত বছরের ১২ মে এ মামলায় চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেয়। একই দিন বাবুলের শ্বশুর সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা মোশাররফ বাদী হয়ে পাঁচলাইশ থানায় হত্যা মামলা করেন। এ মামলায় বাবুলসহ আটজনকে আসামি করা হয়।

মোশাররফের মামলায় পিবিআই চূড়ান্ত প্রতিবেদন দিলে, আদালত তা গ্রহণ করেন। অন্যদিকে বাবুলের করা মামলাটির চূড়ান্ত প্রতিবেদন আদালত গ্রহণ করেননি। আদালতের নির্দেশে মামলাটি তদন্ত শুরু করে পিবিআই। তদন্ত শেষে সেই মামলার চার্জশিট দিলো সংস্থাটি।

বিজনেস আওয়ার/১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২২/এএইচএ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: