ঢাকা , মঙ্গলবার, ২২ জুলাই ২০২৫, ৬ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

দেশের হয়ে খেলতে চান বৃটিশ-বাংলাদেশি খেলোয়াড় হামজা

  • পোস্ট হয়েছে : ০৫:৪৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২২
  • 77

স্পোর্টস ডেস্ক: বৃটিশ-বাংলাদেশি খেলোয়াড় হামজা দেওয়ান চৌধুরীর জন্ম ইংল্যান্ডে হলেও বাংলাদেশের আলো বাতাস মিশে আছে তার শিরা উপশিরায়। তাই বাংলাদেশ জাতীয় দলের হয়ে খেলার কথা নিজেই বিবেচনা করছেন এ মিডফিল্ডার। সেটা সম্ভব হলে গর্বিত এবং সম্মানিত হবেন হামজা।

ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে খেলা একমাত্র বাংলাদেশি বংশোদ্ভুত তিনি। তাকে পাওয়ার চেষ্টা চালিয়েছে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা।

সম্প্রতি আনোয়ার উদ্দিন এমবিই’র সঙ্গে দেওয়া বিস্তৃত সাক্ষাত্কারে বাংলাদেশের হয়ে খেলতে ইচ্ছার কথা জানান হামজা। সেখানেই তিনি জানিয়েছেন, বাংলাদেশের হয়ে খেলতে পারলে নিজেকে ‘গর্বিত’ এবং ‘সম্মানিত’ মনে করবেন এ ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার।

ইংল্যান্ড অনূর্ধ্ব-২১ দলের হয়ে খেলেছেন হামজা। তবে বাংলাদেশের হয়ে খেলার সুযোগ হলে তা লুফে নিবেন কি-না জানতে চাইলে চৌধুরী বলেন, ‘হ্যাঁ, আমি তাই মনে করি, আমি অবশ্যই তাই মনে করি। আমি দেখতে চাই আগামী কয়েক বছরে আমি কতটা ভালো করতে পারি। তবে বাংলাদেশের হয়ে খেলতে পারলে নিজেকে গর্বিত, সম্মানিত হওয়ার চেয়েও বেশি কিছু মনে করব। সেখানে নিয়মিত খেলতে চাই এবং প্রায় পৌঁছতে পেরেছি।’

ওয়াটফোর্ডের ট্রেনিং গ্রাউন্ডে মুসলিম অ্যাথলেট গ্রুপ নুজুম স্পোর্টসের অ্যাম্বাসেডর হিসেবে যোগ দেওয়ার পর এক অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন হামজা। বাংলাদেশের সিলেট অঞ্চলের সঙ্গে দৃঢ় সংযোগ অনুভব করেন বলে জানান তিনি। এবং তার সন্তানদের দেশে কিছু সময় কাটানোর সুযোগ দেওয়ার জন্য মুখিয়ে আছেন তিনি।

তার প্রতি বাংলাদেশিদের ভালোবাসা দেখে আপ্লুত হামজা, ‘প্রথমে আমি অবাক হয়েছিলাম, আমার সাফল্যে বাংলাদেশ থেকে অনেক শুভকামনা পেয়েছি। তাদের কাছ থেকে আমি অনেক সমর্থন পেয়েছি। ভালো কিছু করলে দেশ থেকে সবাই সমর্থন জানাতো। আমার মা সারা রাত জেগে থাকতেন কারণ আমার খালা এবং কাজিনরা বাংলাদেশ থেকে ফোন করবে।’

দক্ষিণ এশিয়ার ফুটবলে অনেক সম্ভাবনা দেখেন বলে মনে করছেন হামজা, আমি একটি শক্তিশালী সংযোগ অনুভব করি এবং ব্যবহার করতে চাই। আমার অভিজ্ঞতাগুলো বাংলাদেশের ফুটবলে কাজে লাগাতে চাই।

আগামী নভেম্বর-ডিসেম্বরেই বাংলাদেশে আসতে পারেন এ মিডফিল্ডার, ‘হয়তো আমি শীতের ছুটিতে বাংলাদেশে ফিরে যাব, আমাকে দেখতে হবে কত দিন ছুটি পাব (কাতার বিশ্বকাপের কারণে)। আমি আমার বাচ্চাদের সেখানে নিয়ে যেতে চাই, কারণ আমি তাদের কিছুটা দিতে চাই। শৈশবে আমি প্রতি বছর বাংলাদেশে যেতাম। সেগুলো ছিল অন্যরকম এক আনন্দময় মুহূর্ত।’

ফুটবলার হামজা চৌধুরীর বাড়ি বাংলাদেশের হবিগঞ্জের বাহুবল থানার স্নানঘাট গ্রামে। হামজার মা রাফিয়া চৌধুরী একজন গ্রানাডিয়ান। বাবা গোলাম মোর্শেদ চৌধুরীর। জন্মের পর হামজার শৈশব-কৈশোর কেটেছে ইংল্যান্ডে। সেই সুবাদে খেলেছেন ইংল্যান্ড অনূর্ধ্ব-২১ দলে। ২৪ বছর বয়সী ফুটবলারের পেশাদার ক্যারিয়ার শুরু হয় ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের ক্লাব লিস্টার সিটি দিয়ে।

বিজনেস আওয়ার/১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২২/এএইচএ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

দেশের হয়ে খেলতে চান বৃটিশ-বাংলাদেশি খেলোয়াড় হামজা

পোস্ট হয়েছে : ০৫:৪৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২২

স্পোর্টস ডেস্ক: বৃটিশ-বাংলাদেশি খেলোয়াড় হামজা দেওয়ান চৌধুরীর জন্ম ইংল্যান্ডে হলেও বাংলাদেশের আলো বাতাস মিশে আছে তার শিরা উপশিরায়। তাই বাংলাদেশ জাতীয় দলের হয়ে খেলার কথা নিজেই বিবেচনা করছেন এ মিডফিল্ডার। সেটা সম্ভব হলে গর্বিত এবং সম্মানিত হবেন হামজা।

ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে খেলা একমাত্র বাংলাদেশি বংশোদ্ভুত তিনি। তাকে পাওয়ার চেষ্টা চালিয়েছে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা।

সম্প্রতি আনোয়ার উদ্দিন এমবিই’র সঙ্গে দেওয়া বিস্তৃত সাক্ষাত্কারে বাংলাদেশের হয়ে খেলতে ইচ্ছার কথা জানান হামজা। সেখানেই তিনি জানিয়েছেন, বাংলাদেশের হয়ে খেলতে পারলে নিজেকে ‘গর্বিত’ এবং ‘সম্মানিত’ মনে করবেন এ ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার।

ইংল্যান্ড অনূর্ধ্ব-২১ দলের হয়ে খেলেছেন হামজা। তবে বাংলাদেশের হয়ে খেলার সুযোগ হলে তা লুফে নিবেন কি-না জানতে চাইলে চৌধুরী বলেন, ‘হ্যাঁ, আমি তাই মনে করি, আমি অবশ্যই তাই মনে করি। আমি দেখতে চাই আগামী কয়েক বছরে আমি কতটা ভালো করতে পারি। তবে বাংলাদেশের হয়ে খেলতে পারলে নিজেকে গর্বিত, সম্মানিত হওয়ার চেয়েও বেশি কিছু মনে করব। সেখানে নিয়মিত খেলতে চাই এবং প্রায় পৌঁছতে পেরেছি।’

ওয়াটফোর্ডের ট্রেনিং গ্রাউন্ডে মুসলিম অ্যাথলেট গ্রুপ নুজুম স্পোর্টসের অ্যাম্বাসেডর হিসেবে যোগ দেওয়ার পর এক অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন হামজা। বাংলাদেশের সিলেট অঞ্চলের সঙ্গে দৃঢ় সংযোগ অনুভব করেন বলে জানান তিনি। এবং তার সন্তানদের দেশে কিছু সময় কাটানোর সুযোগ দেওয়ার জন্য মুখিয়ে আছেন তিনি।

তার প্রতি বাংলাদেশিদের ভালোবাসা দেখে আপ্লুত হামজা, ‘প্রথমে আমি অবাক হয়েছিলাম, আমার সাফল্যে বাংলাদেশ থেকে অনেক শুভকামনা পেয়েছি। তাদের কাছ থেকে আমি অনেক সমর্থন পেয়েছি। ভালো কিছু করলে দেশ থেকে সবাই সমর্থন জানাতো। আমার মা সারা রাত জেগে থাকতেন কারণ আমার খালা এবং কাজিনরা বাংলাদেশ থেকে ফোন করবে।’

দক্ষিণ এশিয়ার ফুটবলে অনেক সম্ভাবনা দেখেন বলে মনে করছেন হামজা, আমি একটি শক্তিশালী সংযোগ অনুভব করি এবং ব্যবহার করতে চাই। আমার অভিজ্ঞতাগুলো বাংলাদেশের ফুটবলে কাজে লাগাতে চাই।

আগামী নভেম্বর-ডিসেম্বরেই বাংলাদেশে আসতে পারেন এ মিডফিল্ডার, ‘হয়তো আমি শীতের ছুটিতে বাংলাদেশে ফিরে যাব, আমাকে দেখতে হবে কত দিন ছুটি পাব (কাতার বিশ্বকাপের কারণে)। আমি আমার বাচ্চাদের সেখানে নিয়ে যেতে চাই, কারণ আমি তাদের কিছুটা দিতে চাই। শৈশবে আমি প্রতি বছর বাংলাদেশে যেতাম। সেগুলো ছিল অন্যরকম এক আনন্দময় মুহূর্ত।’

ফুটবলার হামজা চৌধুরীর বাড়ি বাংলাদেশের হবিগঞ্জের বাহুবল থানার স্নানঘাট গ্রামে। হামজার মা রাফিয়া চৌধুরী একজন গ্রানাডিয়ান। বাবা গোলাম মোর্শেদ চৌধুরীর। জন্মের পর হামজার শৈশব-কৈশোর কেটেছে ইংল্যান্ডে। সেই সুবাদে খেলেছেন ইংল্যান্ড অনূর্ধ্ব-২১ দলে। ২৪ বছর বয়সী ফুটবলারের পেশাদার ক্যারিয়ার শুরু হয় ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের ক্লাব লিস্টার সিটি দিয়ে।

বিজনেস আওয়ার/১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২২/এএইচএ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: