ঢাকা , শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বাড়তি দামেই বিক্রি হচ্ছে গরম মসলা

  • পোস্ট হয়েছে : ০৩:৫৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৪ মে ২০২০
  • 143

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদকঃ অস্বাভাবিক দাম বাড়ার প্রেক্ষিতে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশির সঙ্গে বৈঠক করে গরম মসলার দাম ১০ থেকে ২৫ শতাংশ কমানোর কথা দিয়েছিলেন ব্যবসায়ীরা। তবে ব্যবসায়ীরা তাদের সেই কথা রাখেননি। ফলে বাধ্য হয়েই বাড়তি দামে সব ধরনের মসলা কিনতে হচ্ছে ভোক্তাদের।

করোনাভাইরাসের কারণে নানা সমস্যা দেখিয়ে এপ্রিল মাস থেকে দফায় দফায় বিভিন্ন মসলার দাম বাড়াতে থাকেন ব্যবসায়ীরা। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে ১৩ মে গরম মসলার পাইকারি ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠক করেন বাণিজ্যমন্ত্রী। ওই বৈঠকে বাংলাদেশ পাইকারি গরম মসলা ব্যবসায়ী সমিতি মসলার দাম ১০ থেকে ২৫ ভাগ কমানোর কথা দেয়।

এরপর একে একে ১১ দিন কেটে গেছে। কিন্তু ব্যবসায়ীরা তাদের সেই কথা রাখেননি। ফলে রোজার আগেই দাম বেড় যাওয়া মসলা ঈদের আগের দিনও বাড়তি দামে কিনতে হচ্ছে। এমনকি রোজার মাসে জিরা, এলাচ, শুকনা মরিচসহ বিভিন্ন মসলার দাম আরও বেড়েছে।

খুচরা ব্যবসায়ী ও ভোক্তারা বলছেন, পাইকারি ব্যবসায়ীরা মসলার দাম কমানোর ঘোষণা দেয়ার পর বাজারে কোনো পক্ষই নজরদারি করেনি। ফলে ব্যবসায়ীদের মসলার দাম কমানো ঘোষণার মধ্যে সীমাবদ্ধ থেকেছে। বাস্তবে তার সুফল পাওয়া যায়নি।

কেউ কেউ বলছেন, অস্বাভাবিক দাম নিয়ন্ত্রণে কয়েক বছর ধরেই জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর বেশি কার্যকর ভূমিকা রেখেছে। কিন্তু সম্প্রতি অধিদফতরটির বেশি কয়েকজন কর্মকর্তা করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। সে কারণেই হয়তো কিছুদিন ধরে অধিদফতরটির অভিযান বন্ধ রয়েছে। অসাধু ব্যবসায়ীরা তারই সুযোগ নিচ্ছে। ফলে অধিদফতরের অভিযানে যেসব পণ্যের দাম কমেছিল এখন আবার সেসব পণ্যের দাম বড়ে গেছে।

মসলার দাম বাড়ার তথ্য উঠে এসেছে সরকারি প্রতিষ্ঠান ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) প্রতিবেদনেও। টিসিবির তথ্য অনুযায়ী, এক মাসের ব্যবধানে জিরার দাম বেড়েছে ৩৩ দশমিক ৩৩ শতাংশ। এছাড়া দারুচিনির ২ দশমিক ২৭ শতাংশ, এলাচ ২ দশমিক ৬৩ শতাংশ, ধনে ৭ দশমিক ৬৯ শতাংশ, হলুদ ৫ দশমিক ২৬ শতাংশ, শুকনা মরিচ ২২ দশমিক ২২ শতাংশ, রসুন ৬ দশমিক ৬৭ শতাংশ বেড়েছে। আর সপ্তাহের ব্যবধানে রসুনের ১৪ দশমিক ২৯ শতাংশ, পেঁয়াজের ৫ দশমিক ৫৬ শতাংশ এবং আদার ২৮ দশমিক ৫৭ শতাংশ পর্যন্ত দাম বেড়েছে।

বিজনেস আওয়ার/ ২৪ মে,২০২০/ কমা

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

বাড়তি দামেই বিক্রি হচ্ছে গরম মসলা

পোস্ট হয়েছে : ০৩:৫৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৪ মে ২০২০

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদকঃ অস্বাভাবিক দাম বাড়ার প্রেক্ষিতে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশির সঙ্গে বৈঠক করে গরম মসলার দাম ১০ থেকে ২৫ শতাংশ কমানোর কথা দিয়েছিলেন ব্যবসায়ীরা। তবে ব্যবসায়ীরা তাদের সেই কথা রাখেননি। ফলে বাধ্য হয়েই বাড়তি দামে সব ধরনের মসলা কিনতে হচ্ছে ভোক্তাদের।

করোনাভাইরাসের কারণে নানা সমস্যা দেখিয়ে এপ্রিল মাস থেকে দফায় দফায় বিভিন্ন মসলার দাম বাড়াতে থাকেন ব্যবসায়ীরা। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে ১৩ মে গরম মসলার পাইকারি ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠক করেন বাণিজ্যমন্ত্রী। ওই বৈঠকে বাংলাদেশ পাইকারি গরম মসলা ব্যবসায়ী সমিতি মসলার দাম ১০ থেকে ২৫ ভাগ কমানোর কথা দেয়।

এরপর একে একে ১১ দিন কেটে গেছে। কিন্তু ব্যবসায়ীরা তাদের সেই কথা রাখেননি। ফলে রোজার আগেই দাম বেড় যাওয়া মসলা ঈদের আগের দিনও বাড়তি দামে কিনতে হচ্ছে। এমনকি রোজার মাসে জিরা, এলাচ, শুকনা মরিচসহ বিভিন্ন মসলার দাম আরও বেড়েছে।

খুচরা ব্যবসায়ী ও ভোক্তারা বলছেন, পাইকারি ব্যবসায়ীরা মসলার দাম কমানোর ঘোষণা দেয়ার পর বাজারে কোনো পক্ষই নজরদারি করেনি। ফলে ব্যবসায়ীদের মসলার দাম কমানো ঘোষণার মধ্যে সীমাবদ্ধ থেকেছে। বাস্তবে তার সুফল পাওয়া যায়নি।

কেউ কেউ বলছেন, অস্বাভাবিক দাম নিয়ন্ত্রণে কয়েক বছর ধরেই জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর বেশি কার্যকর ভূমিকা রেখেছে। কিন্তু সম্প্রতি অধিদফতরটির বেশি কয়েকজন কর্মকর্তা করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। সে কারণেই হয়তো কিছুদিন ধরে অধিদফতরটির অভিযান বন্ধ রয়েছে। অসাধু ব্যবসায়ীরা তারই সুযোগ নিচ্ছে। ফলে অধিদফতরের অভিযানে যেসব পণ্যের দাম কমেছিল এখন আবার সেসব পণ্যের দাম বড়ে গেছে।

মসলার দাম বাড়ার তথ্য উঠে এসেছে সরকারি প্রতিষ্ঠান ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) প্রতিবেদনেও। টিসিবির তথ্য অনুযায়ী, এক মাসের ব্যবধানে জিরার দাম বেড়েছে ৩৩ দশমিক ৩৩ শতাংশ। এছাড়া দারুচিনির ২ দশমিক ২৭ শতাংশ, এলাচ ২ দশমিক ৬৩ শতাংশ, ধনে ৭ দশমিক ৬৯ শতাংশ, হলুদ ৫ দশমিক ২৬ শতাংশ, শুকনা মরিচ ২২ দশমিক ২২ শতাংশ, রসুন ৬ দশমিক ৬৭ শতাংশ বেড়েছে। আর সপ্তাহের ব্যবধানে রসুনের ১৪ দশমিক ২৯ শতাংশ, পেঁয়াজের ৫ দশমিক ৫৬ শতাংশ এবং আদার ২৮ দশমিক ৫৭ শতাংশ পর্যন্ত দাম বেড়েছে।

বিজনেস আওয়ার/ ২৪ মে,২০২০/ কমা

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: