ঢাকা , রবিবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৫ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সপ্তাহের ব্যবধানে শেয়ারবাজারে ফিরেছে সাড়ে ১৫ হাজার কোটি টাকা

  • পোস্ট হয়েছে : ১২:১২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৭ অগাস্ট ২০২০
  • 54

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : বিদায়ী সপ্তাহে বড়0উত্থানে শেষ হয়েছে শেয়ারাবাজারের লেনদেন। সপ্তাহজুড়ে উভয় শেয়ারবাজারের সব সূচক বেড়েছে। সপ্তাহটিতে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) লেনদেন ৩০ শতাংশ এবং চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) ৯২ শতাংশ বেড়েছে। সপ্তাহজুড়ে দুই শেয়ারবাজারে বাজার মূলধন ১৫ হাজার ৪০০ কোটি ৪০ লাখ ১২ হাজার টাকা বেড়েছে।

জানা গেছে, বিদায়ী সপ্তাহে ৪ কার্যদিবসে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ২ হাজার ৯০৩ কোটি ৯০ লাখ ৩৪ হাজার ২৫১ টাকার লেনদেন হয়েছে। যা আগের সপ্তাহ থেকে ৬৭০ কোটি ১৩ লাখ ৪০ হাজার ৬৭৫ টাকা বা ৩০ শতাংশ বেশি হয়েছে। আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ২ হাজার ২৩৩ কোটি ৭৬ লাখ ৯৩ হাজার ৫৭৬ টাকার ।

ডিএসইতে বিদায়ী সপ্তাহে গড় লেনদেন হয়েছে ৭২৫ কোটি ৯৭ লাখ ৫৮ হাজার ৫৬৩ টাকার। আগের সপ্তাহে গড় লেনদেন হয়েছিল ৪৪৬ কোটি ৭৫ লাখ ৩৮ হাজার ৭১৫ টাকার। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইতে গড় লেনদেন ২৭৯ কোটি ২২ লাখ ১৯ হাজার ৮৪৮ টাকা বেশি হয়েছে।

বিদায়ী সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস ডিএসইর বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৩ লাখ ৩৩ হাজার ৬৮৫ কোটি ৯৩ লাখ ৮৩ হাজার টাকায়। আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস বাজার মূলধন ছিল ৩ লাখ ২৫ হাজার ৭৩২ কোটি ৭৬ লাখ ১ হাজার টাকায়। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইর বাজার মূলধন ৭ হাজার ৯৫৩ কোটি ১৭ লাখ ৮২ হাজার টাকা বা ২.৪৪ শতাংশ বেড়েছে।

সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১৫০.৪০ পয়েন্ট বা ৩.৫৭ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪ হাজার ৩৬৪.৮৩ পয়েন্টে। অপর সূচকগুলোর মধ্যে শরিয়াহ সূচক ৩৪.৬১ পয়েন্ট বা ৩.৫৪ শতাংশ এবং ডিএসই-৩০ সূচক ৫৫.২৪ পয়েন্ট বা ৩.৮৯ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ১০১১.১১ পয়েন্টে এবং ১৪৭৫.৮৮ পয়েন্টে।

বিদায়ী সপ্তাহে ডিএসইতে মোট ৩৫৯টি প্রতিষ্ঠান শেয়ার ও ইউনিট লেনদেনে অংশ নিয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে দর বেড়েছে ২৬০টির বা ৭২.৪২ শতাংশের, কমেছে ৪২টির বা ১১.৬৯ শতাংশের এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৫৭টির বা ১৫.৮৭ শতাংশের শেয়ার ও ইউনিট দর।

অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) বিদায়ী সপ্তাহে টাকার পরিমাণে লেনদেন হয়েছে ৯৭ কোটি ২৭ লাখ ০১ হাজার ২১৮ টাকার। আর আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ৫০ কোটি ৬৬ লাখ ৮০ হাজার ৭২৪ টাকার। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে সিএসইতে লেনদেন ৪৬ কোটি ৬০ লাখ ২০ হাজার ৪৯৪ টাকা বা ৯১.৯৭ শতাংশ বেড়েছে।

সপ্তাহটিতে সিএসইর সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ৪৪৪.৮২ পয়েন্ট বা ৩.৭২ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১২ হাজার ৪০১.৮৮ পয়েন্টে। সিএসইর অপর সূচকগুলোর মধ্যে সিএসসিএক্স ২৬২.৫৭ পয়েন্ট বা ৩.৬২ শতাংশ, সিএসই-৩০ সূচক ৪০৫.৮৫৫ পয়েন্ট বা ৩.৯০ শতাংশ, সিএসই-৫০ সূচক ৩০.৬৪ পয়েন্ট বা ৩.৫৭ শতাংশ এবং সিএসআই ২৭.৭২ পয়েন্ট বা ৩.৫৭ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ৭ হাজার ৫১২.৭২ পয়েন্টে, ১০ হাজার ৭৯৫.১৪ পয়েন্টে, ৮৮৮.৪৬ পয়েন্টে এবং ৮০৫.০১ পয়েন্টে।

সপ্তাহজুড়ে সিএসইতে ২৯৯টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট লেনদেনে অংশ নিয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ২০৮টির বা ৬৯.৫৬ শতাংশের দর বেড়েছে, ৩৪টির বা ১১.৩৭ শতাংশের কমেছে এবং ৫৭টির বা ১৯.০৬ শতাংশের দর অপরিবর্তিত রয়েছে।

সপ্তাহটিতে সিএসইর বাজার মূলধন ৭ হাজার ৪৪৭ কোটি ২২ লাখ ৩০ হাজার টাকা বা ২.৮৯ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ লাখ ৬৪ হাজার ৭২৩ কোটি ৩৯ লাখ টাকায়। আগের সপ্তাহে সিএসইর বাজার মূলধন ছিল ২ লাখ ৫৭ হাজার ২৭৬ কোটি ১৬ লাখ ৭০ হাজার টাকায়।

বিজনেস আওয়ার/০৭ আগস্ট, ২০২০/এস

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

সপ্তাহের ব্যবধানে শেয়ারবাজারে ফিরেছে সাড়ে ১৫ হাজার কোটি টাকা

পোস্ট হয়েছে : ১২:১২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৭ অগাস্ট ২০২০

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : বিদায়ী সপ্তাহে বড়0উত্থানে শেষ হয়েছে শেয়ারাবাজারের লেনদেন। সপ্তাহজুড়ে উভয় শেয়ারবাজারের সব সূচক বেড়েছে। সপ্তাহটিতে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) লেনদেন ৩০ শতাংশ এবং চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) ৯২ শতাংশ বেড়েছে। সপ্তাহজুড়ে দুই শেয়ারবাজারে বাজার মূলধন ১৫ হাজার ৪০০ কোটি ৪০ লাখ ১২ হাজার টাকা বেড়েছে।

জানা গেছে, বিদায়ী সপ্তাহে ৪ কার্যদিবসে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ২ হাজার ৯০৩ কোটি ৯০ লাখ ৩৪ হাজার ২৫১ টাকার লেনদেন হয়েছে। যা আগের সপ্তাহ থেকে ৬৭০ কোটি ১৩ লাখ ৪০ হাজার ৬৭৫ টাকা বা ৩০ শতাংশ বেশি হয়েছে। আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ২ হাজার ২৩৩ কোটি ৭৬ লাখ ৯৩ হাজার ৫৭৬ টাকার ।

ডিএসইতে বিদায়ী সপ্তাহে গড় লেনদেন হয়েছে ৭২৫ কোটি ৯৭ লাখ ৫৮ হাজার ৫৬৩ টাকার। আগের সপ্তাহে গড় লেনদেন হয়েছিল ৪৪৬ কোটি ৭৫ লাখ ৩৮ হাজার ৭১৫ টাকার। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইতে গড় লেনদেন ২৭৯ কোটি ২২ লাখ ১৯ হাজার ৮৪৮ টাকা বেশি হয়েছে।

বিদায়ী সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস ডিএসইর বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৩ লাখ ৩৩ হাজার ৬৮৫ কোটি ৯৩ লাখ ৮৩ হাজার টাকায়। আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস বাজার মূলধন ছিল ৩ লাখ ২৫ হাজার ৭৩২ কোটি ৭৬ লাখ ১ হাজার টাকায়। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইর বাজার মূলধন ৭ হাজার ৯৫৩ কোটি ১৭ লাখ ৮২ হাজার টাকা বা ২.৪৪ শতাংশ বেড়েছে।

সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১৫০.৪০ পয়েন্ট বা ৩.৫৭ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪ হাজার ৩৬৪.৮৩ পয়েন্টে। অপর সূচকগুলোর মধ্যে শরিয়াহ সূচক ৩৪.৬১ পয়েন্ট বা ৩.৫৪ শতাংশ এবং ডিএসই-৩০ সূচক ৫৫.২৪ পয়েন্ট বা ৩.৮৯ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ১০১১.১১ পয়েন্টে এবং ১৪৭৫.৮৮ পয়েন্টে।

বিদায়ী সপ্তাহে ডিএসইতে মোট ৩৫৯টি প্রতিষ্ঠান শেয়ার ও ইউনিট লেনদেনে অংশ নিয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে দর বেড়েছে ২৬০টির বা ৭২.৪২ শতাংশের, কমেছে ৪২টির বা ১১.৬৯ শতাংশের এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৫৭টির বা ১৫.৮৭ শতাংশের শেয়ার ও ইউনিট দর।

অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) বিদায়ী সপ্তাহে টাকার পরিমাণে লেনদেন হয়েছে ৯৭ কোটি ২৭ লাখ ০১ হাজার ২১৮ টাকার। আর আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ৫০ কোটি ৬৬ লাখ ৮০ হাজার ৭২৪ টাকার। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে সিএসইতে লেনদেন ৪৬ কোটি ৬০ লাখ ২০ হাজার ৪৯৪ টাকা বা ৯১.৯৭ শতাংশ বেড়েছে।

সপ্তাহটিতে সিএসইর সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ৪৪৪.৮২ পয়েন্ট বা ৩.৭২ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১২ হাজার ৪০১.৮৮ পয়েন্টে। সিএসইর অপর সূচকগুলোর মধ্যে সিএসসিএক্স ২৬২.৫৭ পয়েন্ট বা ৩.৬২ শতাংশ, সিএসই-৩০ সূচক ৪০৫.৮৫৫ পয়েন্ট বা ৩.৯০ শতাংশ, সিএসই-৫০ সূচক ৩০.৬৪ পয়েন্ট বা ৩.৫৭ শতাংশ এবং সিএসআই ২৭.৭২ পয়েন্ট বা ৩.৫৭ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ৭ হাজার ৫১২.৭২ পয়েন্টে, ১০ হাজার ৭৯৫.১৪ পয়েন্টে, ৮৮৮.৪৬ পয়েন্টে এবং ৮০৫.০১ পয়েন্টে।

সপ্তাহজুড়ে সিএসইতে ২৯৯টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট লেনদেনে অংশ নিয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ২০৮টির বা ৬৯.৫৬ শতাংশের দর বেড়েছে, ৩৪টির বা ১১.৩৭ শতাংশের কমেছে এবং ৫৭টির বা ১৯.০৬ শতাংশের দর অপরিবর্তিত রয়েছে।

সপ্তাহটিতে সিএসইর বাজার মূলধন ৭ হাজার ৪৪৭ কোটি ২২ লাখ ৩০ হাজার টাকা বা ২.৮৯ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ লাখ ৬৪ হাজার ৭২৩ কোটি ৩৯ লাখ টাকায়। আগের সপ্তাহে সিএসইর বাজার মূলধন ছিল ২ লাখ ৫৭ হাজার ২৭৬ কোটি ১৬ লাখ ৭০ হাজার টাকায়।

বিজনেস আওয়ার/০৭ আগস্ট, ২০২০/এস

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: