ঢাকা , বুধবার, ০৮ জানুয়ারী ২০২৫, ২৫ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

যে কারণে ধর্ষিত কিশোরীকে ৫ বছরের জেল

  • পোস্ট হয়েছে : ১০:৪৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২২
  • 48

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ধর্ষক জাচারি ব্রুকসকে ছুরিকাঘাত করে নৃশংসভাবে হত্যার অভিযোগে এক মার্কিন কিশোরীকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে দেশটির আদালত।

২০২০ সালের জুনে যুক্তরাষ্ট্রের আইওয়া অঙ্গরাজ্যের ডেস মইনসে ধর্ষণের শিকার ১৫ বছর বয়সি ‘পিপার লুইস’ অভিযুক্ত ব্যক্তিকে ছুরিকাঘাত করেছিলেন।

অনিচ্ছাকৃত হত্যাকাণ্ড এবং ইচ্ছাকৃত আঘাতের জন্য দোষ স্বীকার করে লুইস। উভয় অভিযোগেই ১০ বছর পর্যন্ত জেল হতে পারতো কিন্তু লুইসের পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয় এবং ব্রুকসের পরিবারকে দেড় লাখ মার্কিন ডলার ক্ষতিপূরণ প্রদানের আদেশ দিয়েছে দেশটির একটি আদালত।

৩৭ বছর বয়সি ধর্ষক জাচারি ব্রুকসকে নৃশংসভাবে হত্যার জন্য প্রাথমিকভাবে তাকে অভিযুক্ত করে যুক্তরাষ্ট্রের পোল্ক কাউন্টি জেলা জজ ডেভিড এম পোর্টার গত মঙ্গলবার এই রায় ঘোষণা করেন। খবর বিবিসির।

আদালত বলেছেন, যদি লুইস এই আদেশ অমান্য করে তাহলে তার ২০ বছরের সাজা হতে পারে।

জানা গেছে, ব্রুকসকে ৩০ বারের বেশি ছুরিকাঘাত করেছিলেন লুইস। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, লুইস তাকে দত্তক নেওয়া মায়ের সঙ্গে কথাকাটির পর বাড়ি থেকে পালিয়ে যান।

পাচারের শিকার হওয়ার আগে ডেস মইনস ভবনের হলওয়েতে ঘুমাচ্ছিল লুইস। তখন ২৮ বছর বয়সি একটি লোক তাকে নিয়ে যান এবং যৌনতার জন্য জোর করে অন্য একজনের কাছে পাচার করেন।

লুইস বলেছে, হত্যার আগের সপ্তাহগুলোতে ব্রুকস তাকে একাধিকবার ধর্ষণ করেছেন। ২৮ বছর বয়সি লোকটি লুইসকে ছুরি দেখিয়ে ব্রুকসের অ্যাপার্টমেন্টে যেতে বাধ্য করেছিলেন।

লুইস জানিয়েছিল, তাকে বারবার ধর্ষণ করার কারণে তিনি ক্ষিপ্ত ছিলেন। তাই বিছানার পাশের টেবিল থেকে একটি ছুরি নিয়ে ব্রুকসকে আঘাত করেন তিনি।

জানা গেছে, পুলিশ এবং বিচারকরা লুইসকে যৌন হয়রানি বা পাচার করার ব্যাপারে কোনো কথা বলেননি।

বিচারকরা যুক্তি দিয়েছেন, ছুরিকাঘাত করার সময় ব্রুকস ঘুমিয়ে ছিলেন। তাই তাৎক্ষণিকভাবে লুইসের কোনো বিপদ ছিল না।

এ ছাড়া ব্রুকসকে হত্যার কারণে তার বাচ্চারা পিতৃহীন হয়েছে। লুইস যেমন নিজেকে ভুক্তভোগী দাবি করছে তেমনি বাচ্চাগুলোরও কাউকে দায়িত্ব নিতে হবে।

আইওয়া যুক্তরাষ্ট্রের এমন একটি রাজ্য যেখানে পাচারের শিকার ব্যক্তিদের সুরক্ষা দিতে কোনো নিরাপদ আশ্রয় আইন নেই।

বিজনেস আওয়ার/১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২২/এএইচএ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

যে কারণে ধর্ষিত কিশোরীকে ৫ বছরের জেল

পোস্ট হয়েছে : ১০:৪৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২২

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ধর্ষক জাচারি ব্রুকসকে ছুরিকাঘাত করে নৃশংসভাবে হত্যার অভিযোগে এক মার্কিন কিশোরীকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে দেশটির আদালত।

২০২০ সালের জুনে যুক্তরাষ্ট্রের আইওয়া অঙ্গরাজ্যের ডেস মইনসে ধর্ষণের শিকার ১৫ বছর বয়সি ‘পিপার লুইস’ অভিযুক্ত ব্যক্তিকে ছুরিকাঘাত করেছিলেন।

অনিচ্ছাকৃত হত্যাকাণ্ড এবং ইচ্ছাকৃত আঘাতের জন্য দোষ স্বীকার করে লুইস। উভয় অভিযোগেই ১০ বছর পর্যন্ত জেল হতে পারতো কিন্তু লুইসের পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয় এবং ব্রুকসের পরিবারকে দেড় লাখ মার্কিন ডলার ক্ষতিপূরণ প্রদানের আদেশ দিয়েছে দেশটির একটি আদালত।

৩৭ বছর বয়সি ধর্ষক জাচারি ব্রুকসকে নৃশংসভাবে হত্যার জন্য প্রাথমিকভাবে তাকে অভিযুক্ত করে যুক্তরাষ্ট্রের পোল্ক কাউন্টি জেলা জজ ডেভিড এম পোর্টার গত মঙ্গলবার এই রায় ঘোষণা করেন। খবর বিবিসির।

আদালত বলেছেন, যদি লুইস এই আদেশ অমান্য করে তাহলে তার ২০ বছরের সাজা হতে পারে।

জানা গেছে, ব্রুকসকে ৩০ বারের বেশি ছুরিকাঘাত করেছিলেন লুইস। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, লুইস তাকে দত্তক নেওয়া মায়ের সঙ্গে কথাকাটির পর বাড়ি থেকে পালিয়ে যান।

পাচারের শিকার হওয়ার আগে ডেস মইনস ভবনের হলওয়েতে ঘুমাচ্ছিল লুইস। তখন ২৮ বছর বয়সি একটি লোক তাকে নিয়ে যান এবং যৌনতার জন্য জোর করে অন্য একজনের কাছে পাচার করেন।

লুইস বলেছে, হত্যার আগের সপ্তাহগুলোতে ব্রুকস তাকে একাধিকবার ধর্ষণ করেছেন। ২৮ বছর বয়সি লোকটি লুইসকে ছুরি দেখিয়ে ব্রুকসের অ্যাপার্টমেন্টে যেতে বাধ্য করেছিলেন।

লুইস জানিয়েছিল, তাকে বারবার ধর্ষণ করার কারণে তিনি ক্ষিপ্ত ছিলেন। তাই বিছানার পাশের টেবিল থেকে একটি ছুরি নিয়ে ব্রুকসকে আঘাত করেন তিনি।

জানা গেছে, পুলিশ এবং বিচারকরা লুইসকে যৌন হয়রানি বা পাচার করার ব্যাপারে কোনো কথা বলেননি।

বিচারকরা যুক্তি দিয়েছেন, ছুরিকাঘাত করার সময় ব্রুকস ঘুমিয়ে ছিলেন। তাই তাৎক্ষণিকভাবে লুইসের কোনো বিপদ ছিল না।

এ ছাড়া ব্রুকসকে হত্যার কারণে তার বাচ্চারা পিতৃহীন হয়েছে। লুইস যেমন নিজেকে ভুক্তভোগী দাবি করছে তেমনি বাচ্চাগুলোরও কাউকে দায়িত্ব নিতে হবে।

আইওয়া যুক্তরাষ্ট্রের এমন একটি রাজ্য যেখানে পাচারের শিকার ব্যক্তিদের সুরক্ষা দিতে কোনো নিরাপদ আশ্রয় আইন নেই।

বিজনেস আওয়ার/১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২২/এএইচএ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: