বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক: চট্টগ্রাম নগরীর কর্ণফুলী এলাকায় একটি বাসার গুদামঘরের পানির নিচের মাটি খুঁড়ে ২ লাখ ২০ হাজার পিস ইয়াবা ও দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি আগ্নেয়াস্ত্র জব্দ করেছে র্যাব। এসময় ইয়াবার প্রধান কারবারি মো. আজম উদ্দিন চৌধুরীসহ তার সহযোগীকে গ্রেফতার করেছে র্যাব। জব্দ করা ইয়াবার আনুমানিক মূল্য ৬ কোটি ৬০ লাখ টাকা।
রোববার (১৮ সেপ্টেম্বর) চান্দগাঁও ক্যাম্পে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান র্যাব-৭ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল এম এ ইউসুফ।
তিনি বলেন, গ্রেপ্তার মো. আজম ৫-৬ বছর ধরে ইয়াবা কারবারির সঙ্গে যুক্ত রয়েছে। প্রথমে সে ইয়াবা সরবরাহের কাজ করত। গত ৭-৮ মাস ধরে ইয়াবার বড় চালান এনে বিক্রি করছিল।
টেকনাফে কয়েক দিন আগে ইয়াবার একটি চালান জব্দ করা হয়। এরপর সেখান থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে চট্টগ্রাম নগরীর ইয়াবা ডিলার সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে শনিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) কর্ণফুলী থানার শাহমিরপুর বাদামতল এলাকার একটি বসত বাড়িতে অভিযান চালানো হয়। এসময় চট্টগ্রামের মাদক সম্রাট মো. আজম উদ্দিন চৌধুরী (২৬) ও তার সহযোগী মো. ছৈয়দ নুর ওরফে রুবেল হোসেনকে আটক করা হয়।
পরে তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে বসত বাড়ির পাশে একটি গুদামঘরের মাটির নিচে লুকিয়ে রাখা অবস্থায় আনুমানিক ২ লাখ ২০ হাজার পিস ইয়াবা জব্দ করা হয়। এসময় পানির নিচে বিশেষ কায়দায় পলিব্যাগে করে লুকিয়ে রাখা অবস্থায় দুটি ওয়ান শুটারগান ও চার রাউন্ড কার্তুজ জব্দ করা হয়েছে।
র্যাব অধিনায়ক আরও বলেন, টেকনাফ থেকে ইয়াবার চালান এনে ঘরের মধ্যে মাটিতে গর্ত করে লুকিয়ে রাখত আজিম। পরে সেগুলো থেকে খুচরা ইয়াবা কারবারিদের কাছে ছোট ছোট প্যাকেটে করে চালান সরবরাহ করত। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামিরা জানিয়েছে, অস্ত্রগুলো তারা এলাকায় প্রভাব বিস্তার, প্রতিপক্ষকে ভয় দেখানো এবং ইয়াবা ক্রয়-বিক্রয় ও বহনে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ব্যবহার করত। অস্ত্র ও গোলাবারুদ তারা বাশঁখালীর অস্ত্র ব্যবসায়ী শহিদ এবং ছৈয়দের কাছ থেকে সংগ্রহ করত বলে জানা গেছে।
তিনি আরও বলেন, তারা দীর্ঘদিন ধরে সাগরপথে মিয়ানমার থেকে সরবরাহকারী সিন্ডিকেটের মাধ্যমে ইয়াবা সংগ্রহ করে পরে তা চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের মাদক ব্যবসায়ীদের কাছে খুচরা ও পাইকারিভাবে বিক্রি করে আসছিল।
বিজনেস আওয়ার/১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২২/এএইচএ