বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক: আতঙ্ক কাটছেই না বান্দরবানের ঘুমধুম সীমান্তবাসীর। জেলার নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম সীমান্তে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে গত ১ মাসের বেশি সময় ধরে গোলাগুলি, গোলাবর্ষণ চলমান রয়েছে। এরইমধ্যে এবার নতুন করে গোলাগুলি ও মর্টার শেলের বিকট শব্দ ভেসে আসছে উখিয়া সীমান্ত থেকে। এ নিয়ে সীমান্তের বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
উখিয়া সীমান্তে থেমে থেমে শোনা যাচ্ছে গোলাগুলির শব্দ। হঠাৎ হঠাৎ বিকট শব্দে কেঁপে উঠছে সীমান্ত অঞ্চলের মানুষ। এতে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে গোটা ঘুমধুম সীমান্তে। উদ্বেগ উৎকণ্ঠায় সীমান্ত অঞ্চলে বসবাসকারী বাংলাদেশিরা পার্শ্ববর্তী এলাকায় আত্মীয়স্বজনের বাসাবাড়িতে আশ্রয় নিচ্ছেন।
মঙ্গলবার (২০ সেপ্টেম্বর) সকালে উখিয়ার আঞ্জুমানপাড়া সীমান্তে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে এসব গোলাগুলি ও মর্টার শেলের বিকট শব্দ যাচ্ছে বলে জানান স্থানীয়রা।
৫নং পালংখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এম গফুর উদ্দিন চৌধুরী জানিয়েছেন, ‘মঙ্গলবার সকাল ৭ টা থেকে ৭টা ৪৫ মিনিট পর্যন্ত মিয়ানমারের অভ্যন্তরে একটানা গোলাগুলি ও মর্টারের গোলার বিকট শব্দ হচ্ছে। এসব গোলাগুলি ও মর্টারের গোলার শব্দে কেঁপে উঠছে উখিয়ার আঞ্জুমানপাড়ার সীমান্তবর্তী বসতিগুলো। যার কারণে সীমান্তের বাসিন্দারা আতঙ্কে রয়েছেন। সকালে ৪৫ মিনিট গোলাগুলির পর আর কোনো শব্দ পাইনি। গোলাগুলির বিষয়টি সংশ্লিষ্ট প্রশাসনকে অবহিত করা হয়েছে।
চেয়ারম্যান আরও বলেন, সীমান্তে শূন্যরেখার ৩০০ থেকে ৫০০ মিটারের মধ্যে বসবাসকারী বাসিন্দাদের সরিয়ে নিতে তালিকা তৈরি করার নির্দেশনা আসে। এরইমধ্যে জরিপ করে ঝুঁকিতে থাকা ১০০ পরিবারের তালিকা করা হয়েছে। যদি সীমান্তে কোনো ধরনের বিরূপ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়, তাহলে ঝুঁকিতে থাকা এসব পরিবারের লোকজনকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে আনতে সব ধরনের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। পালংখালী ইউনিয়নের ধামনখালী, পূর্ব জমিদার পাড়া ও পূর্ব বালুখালী সীমান্ত এলাকায় শতাধিক ঝুঁকিপূর্ণ পরিবারের তালিকা প্রশাসনের কাছে দেয়া হয়েছে।
কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশীদ বলেন, মিয়ানমারের অভ্যন্তরে গোলাগুলি বা গোলার শব্দ হচ্ছে। এটা যদি উখিয়া সীমান্তের কাছে বসবাসরত বাসিন্দা বা জনপ্রতিনিধিরা বলে থাকেন তাহলে সেটা ঠিক আছে। তবে আমরা সীমান্তের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষক করছি। আর সীমান্তে বিজিবি সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।
বিজনেস আওয়ার/ ২০ সেপ্টেম্বর,২০২২/ এএইচএ