ঢাকা , শনিবার, ০৯ অগাস্ট ২০২৫, ২৪ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ব্যানারে ‘বঙ্গবন্ধু-প্রধানমন্ত্রীর’ ছবি না থাকায় অনুষ্ঠান বর্জন করলেন এমপি

  • পোস্ট হয়েছে : ০৪:৫৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২২
  • 109

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক: নাটোর গুরুদাসপুরের শহীদ সামসুজ্জোহা সরকারি কলেজে এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের বিদায় অনুষ্ঠানের ব্যানারে ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার’ ছবি না থাকায় অনুষ্ঠান বর্জন করেছেন নাটোর-৪ আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. আব্দুল কুদ্দুস।

বৃহস্পতিবার (২২ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় অতিথি মঞ্চ ও সামিয়ানা অপসারণ করা হয়। এছাড়া কলেজ ছাত্রলীগ, পৌর ছাত্রলীগ ও উপজেলা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা বিক্ষোভ মিছিল শেষে কলেজ মাঠে অবস্থান নেয়।

শহীদ সামসুজ্জোহা সরকারি কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি সোহানুর রহমান সজিব বলেন, বৃহস্পতিবার বিলচলন শহীদ সামসুজ্জোহা সরকারি কলেজের এইচএসসি ২০২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের বিদায় অনুষ্ঠানের আয়োজন করে কলেজ কর্তৃপক্ষ। এতে কলেজের অধ্যক্ষ ড. মো. একরামুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে স্থানীয় সংসদ সদস্য অধ্যাপক আব্দুল কুদ্দুস, বিশেষ অতিথি হিসেবে নাটোরের জেলা প্রশাসক মো. শামীম আহমেদ ও নাটোর জেলা পুলিশ সুপার মো. সাইফুর রহমানের নাম ছিল ব্যানারে।

তিনি বলেন, সকাল সাড়ে ৯টার দিকে কলেজের বিদায় অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার জন্য আসেন সংসদ সদস্য আব্দুল কুদ্দুস। কিন্তু তিনি গাড়ি থেকে নেমে মঞ্চের ব্যানারে বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি না দেখতে পেয়ে ক্ষুব্ধ হন। পরে তিনি কলেজ প্রাঙ্গন ত্যাগ করে চলে যান। এ ঘটনার পর পরই ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা বিক্ষোভ সমাবেশ করে এবং প্রতিবাদ জানায়।

তিনি আরও জানান, জামায়াত বিএনপির এজেন্ডা বাস্তবায়ন করার জন্য কলেজে একদল শিক্ষক আছেন। তাদের প্ররোচনায় আজ বিদায় অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি নেই। এ কারণে সংসদ সদস্য অনুষ্ঠান বর্জন করেছেন।

কলেজের অধ্যক্ষ ড. মো. একরামুল হক বলেন, অনুষ্ঠানে কিছু ভুল-ভ্রান্তি ছিল। এ কারণে আজকের মতো অনুষ্ঠান বন্ধ করা হয়েছে। কিছু ভুল ইতোমধ্যে সংশোধন করা হয়েছে। ‘বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীকে তারা কোনো অসম্মান করেননি।’ নতুন করে ব্যানার তৈরি করা হয়েছে। আশা করছি, দুই-এক দিনের মধ্যে পুনরায় দিন তারিখ ঠিক করে অনুষ্ঠানটি করা হবে। আর জামায়াত বিএনপির এজেন্ডা বাস্তবায়নের অভিযোগটি সম্পূর্ণ মিথ্যা বলে দাবি করেন তিনি।

নাটোর-৪ (গুরুদাসপুর-বড়াইগ্রাম) আসনের সংসদ সদস্য অধ্যাপক মো. আব্দুল কুদ্দুস মুঠোফোনে বলেন, কলেজ কর্তৃপক্ষ বিদায় অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে আমাকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। বরাবরই আমি প্রতি অনুষ্ঠানে সময়ের আগে উপস্থিত হই। কলেজের অনুষ্ঠান শুরু হওয়ার কথা ছিল সকাল ১০টায়। আমি সাড়ে ৯টায় কলেজে উপস্থিত হয়েছিলাম। মঞ্চের দিকে এগিয়ে দেখি, ব্যানারে বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি নেই। এ কারণে আমি কলেজ ত্যাগ করে চলে আসি।

তিনি আরও বলেন, যে অনুষ্ঠানের ব্যানারে বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি থাকে না, সেখানে থাকার প্রশ্নই ওঠে না। তাই অনুষ্ঠান বর্জন করেছি।

বিজনেস আওয়ার/ ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০২২/ এএইচএ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

ব্যানারে ‘বঙ্গবন্ধু-প্রধানমন্ত্রীর’ ছবি না থাকায় অনুষ্ঠান বর্জন করলেন এমপি

পোস্ট হয়েছে : ০৪:৫৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২২

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক: নাটোর গুরুদাসপুরের শহীদ সামসুজ্জোহা সরকারি কলেজে এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের বিদায় অনুষ্ঠানের ব্যানারে ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার’ ছবি না থাকায় অনুষ্ঠান বর্জন করেছেন নাটোর-৪ আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. আব্দুল কুদ্দুস।

বৃহস্পতিবার (২২ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় অতিথি মঞ্চ ও সামিয়ানা অপসারণ করা হয়। এছাড়া কলেজ ছাত্রলীগ, পৌর ছাত্রলীগ ও উপজেলা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা বিক্ষোভ মিছিল শেষে কলেজ মাঠে অবস্থান নেয়।

শহীদ সামসুজ্জোহা সরকারি কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি সোহানুর রহমান সজিব বলেন, বৃহস্পতিবার বিলচলন শহীদ সামসুজ্জোহা সরকারি কলেজের এইচএসসি ২০২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের বিদায় অনুষ্ঠানের আয়োজন করে কলেজ কর্তৃপক্ষ। এতে কলেজের অধ্যক্ষ ড. মো. একরামুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে স্থানীয় সংসদ সদস্য অধ্যাপক আব্দুল কুদ্দুস, বিশেষ অতিথি হিসেবে নাটোরের জেলা প্রশাসক মো. শামীম আহমেদ ও নাটোর জেলা পুলিশ সুপার মো. সাইফুর রহমানের নাম ছিল ব্যানারে।

তিনি বলেন, সকাল সাড়ে ৯টার দিকে কলেজের বিদায় অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার জন্য আসেন সংসদ সদস্য আব্দুল কুদ্দুস। কিন্তু তিনি গাড়ি থেকে নেমে মঞ্চের ব্যানারে বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি না দেখতে পেয়ে ক্ষুব্ধ হন। পরে তিনি কলেজ প্রাঙ্গন ত্যাগ করে চলে যান। এ ঘটনার পর পরই ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা বিক্ষোভ সমাবেশ করে এবং প্রতিবাদ জানায়।

তিনি আরও জানান, জামায়াত বিএনপির এজেন্ডা বাস্তবায়ন করার জন্য কলেজে একদল শিক্ষক আছেন। তাদের প্ররোচনায় আজ বিদায় অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি নেই। এ কারণে সংসদ সদস্য অনুষ্ঠান বর্জন করেছেন।

কলেজের অধ্যক্ষ ড. মো. একরামুল হক বলেন, অনুষ্ঠানে কিছু ভুল-ভ্রান্তি ছিল। এ কারণে আজকের মতো অনুষ্ঠান বন্ধ করা হয়েছে। কিছু ভুল ইতোমধ্যে সংশোধন করা হয়েছে। ‘বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীকে তারা কোনো অসম্মান করেননি।’ নতুন করে ব্যানার তৈরি করা হয়েছে। আশা করছি, দুই-এক দিনের মধ্যে পুনরায় দিন তারিখ ঠিক করে অনুষ্ঠানটি করা হবে। আর জামায়াত বিএনপির এজেন্ডা বাস্তবায়নের অভিযোগটি সম্পূর্ণ মিথ্যা বলে দাবি করেন তিনি।

নাটোর-৪ (গুরুদাসপুর-বড়াইগ্রাম) আসনের সংসদ সদস্য অধ্যাপক মো. আব্দুল কুদ্দুস মুঠোফোনে বলেন, কলেজ কর্তৃপক্ষ বিদায় অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে আমাকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। বরাবরই আমি প্রতি অনুষ্ঠানে সময়ের আগে উপস্থিত হই। কলেজের অনুষ্ঠান শুরু হওয়ার কথা ছিল সকাল ১০টায়। আমি সাড়ে ৯টায় কলেজে উপস্থিত হয়েছিলাম। মঞ্চের দিকে এগিয়ে দেখি, ব্যানারে বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি নেই। এ কারণে আমি কলেজ ত্যাগ করে চলে আসি।

তিনি আরও বলেন, যে অনুষ্ঠানের ব্যানারে বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি থাকে না, সেখানে থাকার প্রশ্নই ওঠে না। তাই অনুষ্ঠান বর্জন করেছি।

বিজনেস আওয়ার/ ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০২২/ এএইচএ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: