বিজনেস আওয়ার ডেস্ক: মৃত কোষ, তৈলাক্ততা ইত্যাদি কারণে মাথার ত্বকে ব্রণ দেখা দিতে পারে। ব্রণ মূলত বয়ঃসন্ধিকালীন একটি সমস্যা। এটি যেকোনো ধরনের ত্বকেই দেখা দিতে পারে। তবে শুধু মুখের ত্বকে নয়, মাথার ত্বকেও ব্রণ দেখা যায়। যাকে ইংরেজিতে বলা হয় ‘স্ক্যাল্প পিম্পল’।
মুখের ত্বকে সাধারণত সেবাম বা মৃত ত্বকের কোষের কারণে ছিদ্রপথ আটকে গেলে ত্বকে ব্রণ হয়। মাথার ত্বকে এই একই কারণে ব্রণ হয়। এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে অনেকেই বাজার চলতি প্রসাধনীর উপর ভরসা রাখেন। তাতে ফল অনেক সময় হিতে বিপরীত হয়। ত্বক হোক বা মাথার ব্রণ, সারাতে ভরসা থাকুক ঘরোয়া উপায়ে।
১. সবার প্রথমে মাথার ত্বক পরিষ্কার রাখাটা ভীষণ জরুরি। সেই সঙ্গে চুলও। কোনও কারণে চুলে জেল, স্প্রে, ইত্যাদি ব্যবহার করলে বাড়ি ফিরে তা দ্রুত ধুয়ে ফেলতে ভুলবেন না।
২. টপিকাল রেটিনয়েড এবং বেনজয়িল পেরক্সইডের ব্যবহারে মাথার ত্বকের ব্রণ দ্রুত কমবে। এছাড়াও ফলিকুলাইটিসের চিকিৎসায় টপিকাল স্টেরয়েড ক্রিম এবং অ্যান্টিহিস্টামাইন ব্যবহার করতে পারেন।
৩. সালফার ও স্যালিসিলিক অ্যাসিড সমৃদ্ধ অ্যান্টিব্যাক্টেরিয়াল উপাদান দিয়ে তৈরি শ্যাম্পুও আপনি ব্যবহার করতে পারেন।
৪. চুলে অতিরিক্ত তেল দেওয়া বা চুল শুকানোর যন্ত্র বেশি ব্যবহার না করাই ভাল। চুল কৃত্রিম ভাবে সোজা করার যন্ত্র ব্যবহার করলেও একই রকম সমস্যা হতে পারে।
৫. তেল জাতীয় কন্ডিশনার বা শ্যাম্পুর ব্যবহার এড়িয়ে যাওয়াই ভালো। কারণ কন্ডিশনারে থাকা তেল মাথার ত্বকের ছিদ্রগুলো বন্ধ করে দেয়। এর ফলে বৃদ্ধি পায় ব্রণের প্রবণতা।
৬. সব ধরনের ব্রণের সমস্যা দূর করতে অ্যালো ভেরা কাজ করে। মাথার ত্বকের ব্রণ বা ক্ষত দূর করতেও অ্যালো ভেরা কার্যকর। আরোগ্য দান ও প্রদাহনাশের ক্ষমতা রয়েছে অ্যালো ভেরাতে; যা ত্বককে জ্বলুনি ও প্রদাহ থেকে রক্ষা করে।
পাতা থেকে অ্যালো ভেরার জেল আলাদা করে তা সরাসরি মাথার ত্বকে মাখিয়ে আধা ঘন্টা পর সাধারণ পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে দুবার ব্যবহারে ভালো ফলাফল পাওয়া যায়।
বিজনেস আওয়ার/২৫ সেপ্টম্বর,২০২২/এএইচএ