বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক: নড়াইল জেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রতীক বরাদ্দের সময়ে বিদ্রোহী প্রার্থীর সমর্থকদের ওপর হামলা চালিয়েছে আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকরা। একই সময়ে দুই সাধারণ সদস্য প্রার্থী ও তাদের সমর্থকদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।
সোমবার (২৬ সেপ্টেম্বর) বেলা ১২টার পর জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে প্রশাসনের লোকজনের উপস্থিতিতে প্রার্থী ও সমর্থকদের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. ফকরুল হাসান, সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. জসিম উদ্দিন, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী অ্যাডভোকেট সুবাস চন্দ্র বোস, সাবেক জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আওয়ামী নেতা অ্যাডভোকেট সোহবার হোসেনসহ আওয়ামী লীগের বিভিন্ন ইউনিটের নেতৃবৃন্দ। এদের সামনেই এ ঘটনা ঘটে।
জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন পেয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সুবাস চন্দ্র বোস। বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন লোহাগড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ ফয়জুল আমির এবং জেলা পরিষদের বর্তমান প্রশাসক শেখ মো. সুলতান মাহমুদ।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত কয়েকজন জানান, জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে প্রতীক বরাদ্দের সময়ে ২ নম্বর ওয়ার্ডের (নড়াইল সদর) সাধারণ সদস্য প্রার্থী খোকন কুমার সাহা ও মো. ওবায়দুর রহমানের সমর্থকদের মধ্যে তর্ক ও হাতাহাতি হয়। একই সময়ে আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান প্রার্থী সুবাস চন্দ্র বোসের সমর্থকরা বিদ্রোহী প্রার্থী সৈয়দ ফয়জুল আমিরের সমর্থকদের ওপর হামলা চালায়।
সৈয়দ ফয়জুল আমির অভিযোগ করে বলেন, প্রতীক বরাদ্দের সময়ে আমার সমর্থকদের ওপর সুবাস চন্দ্র বোসের সমর্থকেরা অতর্কিত হামলা চালায়। এ সময়ে হামলায় আমার অন্তত ১৫ জন সমর্থক আহত হয়েছেন। এর সুষ্ঠু বিচার চাই। আমাকে নির্বাচন থেকে সরে যাওয়ার জন্য ভয়ভীতি দেখানো হচ্ছে।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) ফকরুল হাসান বলেন, ‘যে ঘটনা ঘটেছে তা অত্যন্ত দুঃখজনক ও অনাকাঙ্ক্ষিত। আমরা ফুটেজ দেখে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব।’
দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘প্রতীক বরাদ্দ নিয়ে সামান্য অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেছে। তবে কেউ যদি লিখিত অভিযোগ দেন তাহলে আমরা আইনগত ব্যবস্থা নেব।’
বিজনেস আওয়ার/ ২৬ সেপ্টেম্বর,২০২২/এএইচএ