1. [email protected] : anjuman : anjuman
  2. [email protected] : user : user
  3. [email protected] : Admin : Admin
  4. [email protected] : Nayan Babu : Nayan Babu
ওসি প্রদীপের শতকোটি টাকার সম্পদের তথ্য পেয়েছে দুদক
শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৫:০২ অপরাহ্ন

ওসি প্রদীপের শতকোটি টাকার সম্পদের তথ্য পেয়েছে দুদক

  • পোস্ট হয়েছে : সোমবার, ১০ আগস্ট, ২০২০
print sharing button

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : ২০১৮ সাল থেকেই কক্সবাজারের টেকনাফ থানার সদ্য বরখাস্ত হওয়া ওসি প্রদীপ কুমার দাশের বিরুদ্ধে অঢেল সম্পদের অনুসন্ধান করে আসছে দুর্নীতি দমন কমিশোন (দুদক)। অনুসন্ধানে প্রদীপ কুমারের দেশ-বিদেশে শতকোটি টাকার সম্পদের তথ্য-উপাত্ত পেয়েছে সংস্থাটি।

প্রদীপ কুমারের জন্য পুলিশের চাকরিটি আলাদিনের চেরাগ হিসেবেই ধরা দিয়েছিল তার কাছে। চাকরির দুই যুগের মধ্যে প্রদীপ মানুষকে ক্রসফায়ারের ভয়, ঘুষ বাণিজ্য, দখলবাজিসহ বিভিন্ন অপরাধের মাধ্যমে সম্পদ গড়েছেন। দুদক কিংবা এনবিআরের চোখ ফাঁকি দিতে সব সম্পদ করেছেন স্ত্রী চুমকি দাশের নামে।

দুদকের অনুসন্ধানে উঠে এসেছে, জমি, ফ্ল্যাট, বাড়ি, গাড়ি, ৪৫ ভরি স্বর্ণসহ তার সম্পদের পরিমাণ শতকোটি টাকার ওপর। চট্টগ্রাম, কক্সবাজারসহ শুধু দেশের ভেতরেই নয়; অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, ভারতেও অর্থপাচারের মাধ্যমে সম্পদ গড়েছেন ওসি প্রদিপ।

দুদকের অনুসন্ধানে উঠে আসে চট্টগ্রামের পাথরঘাটায় নিরীহ মানুষের জমি দখল করে স্ত্রী চুমকির নামে বহুতল ভবন নির্মাণের পাশাপাশি চট্টগামের পাঁচলাইশ থানার ওসি থাকাকালে মুরাদপুরে ১০ কাঠা জমি দখল করেন। নগরীর লালখান বাজারে একটি ফ্ল্যাট, কক্সবাজারে দুটি হোটেলের মালিকানা, বেয়ালখালীতে স্ত্রী চুমকির নামে গড়েন কয়েক কোটি টাকার সম্পদ।

বোয়ালখালীতে স্ত্রীর নামে রয়েছে মৎস্য খামার; ভারতের আগরতলা ও অস্ট্রেলিয়ায় একাধিক ফ্ল্যাট, রেস্টুরেন্টসহ কোটি কোটি টাকার সম্পদেরও খোঁজ পাওয়া যায় দুদকের অনুসন্ধানে।

অনুসন্ধান শুরুর পর দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চট্টগ্রাম সমন্বয় কার্যালয়ের উপপরিচালক মাহাবুব আলম সম্পদ বিবরণীর তথ্য-উপাত্ত চেয়ে নোটিশ দেন প্রদীপ কুমার দাশকে। ওই নোটিশের পর প্রদীপ একটি সম্পদ বিবরণী দাখিলও করেন দুদকের চট্টগ্রাম কার্যালয়ে।

বিবরণীতে বলা হয়, স্ত্রী চুমকির (গৃহিণী) নামে বোয়ালখালীতে ১৩ লাখ ৫০ হাজার টাকার মৎস্য খামার রয়েছে। পাথরঘাটায় চার শতক জমি রয়েছে চুমকির নামে; যার মূল্য ৮৬ লাখ ৭৬ হাজার টাকা। ওই জমির ছয়তলা ভবনের বর্তমান মূল্য এক কোটি ৩০ লাখ ৫০ হাজার, পাঁচলাইশে ২০১৫-১৬ অর্থবছরে এক কোটি ২৯ লাখ ৯২ হাজার ৬০০ টাকার জমি কেনা হয়; ২০১৭-১৮ সালে কেনা হয় কক্সবাজারে ঝিলংজা মৌজায় ৭৪০ বর্গফুটের ফ্ল্যাট; যার দাম ১২ লাখ ৩২ হাজার টাকা।

কিন্তু দুদক কর্মকর্তারা বলছেন, সম্পদ বিবরণীতে ওসি প্রদীপ যে সম্পদ বিবরণী দাখিল করেছেন, সেই সম্পদের চেয়ে ৫০ গুণ বেশি সম্পদের মালিক তিনি ও তার স্ত্রী। নিজের নামে সামান্য কিছু সম্পদ করলেও বেশির ভাগই করেছেন স্ত্রী চুমকির নামে। শুধু অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগই নয়, বিভিন্ন মাধ্যমে দেশের টাকা বিদেশে পাচারও করেছেন প্রদীপ। বোয়ালখালীতে মাছের খামার থেকে তার আয় দেখানো হয়েছে কোটি টাকার বেশি।

অভিযোগ রয়েছে, ‘বন্দুকযুদ্ধ’ থেকে বাঁচাতে জনপ্রতি ৫-১০ লাখ টাকা আবার কারো কাছ থেকে এরও বেশি টাকা নিয়েছেন প্রদীপ। ক্রসফায়ার থেকে বাঁচতে টাকা দিলেও ওসি প্রদীপ টাকা পেয়ে যাওয়ার পর অনেককেই ক্রসফায়ারের নামে খুন করেছেন।

বিজনেস আওয়ার/১০ আগস্ট, ২০২০/এ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন

এ বিভাগের আরো সংবাদ