1. [email protected] : anjuman : anjuman
  2. [email protected] : user : user
  3. [email protected] : Admin : Admin
  4. [email protected] : Nayan Babu : Nayan Babu
‘সভা-সমাবেশে কোনো ধরণের লাঠিসোঁটা আনা যাবে না’
শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৫:৩৬ পূর্বাহ্ন

‘সভা-সমাবেশে কোনো ধরণের লাঠিসোঁটা আনা যাবে না’

  • পোস্ট হয়েছে : বুধবার, ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২২
print sharing button

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক: ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) এ কে এম হাফিজ আক্তার জানিয়েছেন, লাঠিসোঁটা পুলিশসহ সাধারণ মানুষের জন্য হুমকি স্বরূপ, রাজনৈতিক কর্মসূচিতে লাঠিসোঁটা আনার কোনো প্রয়োজন নেই। তাই রাজনৈতিক দলের মিছিল-মিটিংসহ কোনো সমাবেশে লাঠিসোঁটা বা দেশীয় অস্ত্র আনা যাবে না।

বুধবার (২৮ অক্টোবর) বিকেলে ডিএমপি মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে একথা বলেন তিনি।

হাফিজ আক্তার বলেন, আমরা দেখেছি বেশ কয়েকটা জায়গাতেই লাঠিসোঁটা কেন্দ্রিক সমস্যা হচ্ছে। তাই লাঠিসোঁটা নেওয়া যাবে না। কারণ কে কোন উদ্দেশ্যে নিয়ে আসছে তা তো বলা যায় না। এসব প্রোগ্রামে পুলিশ ফোর্সও থাকে। রাজনৈতিক সমাবেশে অন্য কারো ভিন্ন কোনো উদ্দেশ্য থাকতে পারে। এছাড়া রাজনৈতিক কর্মসূচি ছাড়াও অনেক সাধারণ মানুষও থাকে দিন রাত নানা কাজ করেন। তাদের নিরাপত্তার বিষয়টি তো থাকেই। তাদের কাজ যেন কোনোভাবে বাধাগ্রস্ত না হয়। রাজনৈতিক কর্মসূচিতে লাঠি আনার কোনো প্রয়োজন নেই। তারা সমাবেশ করবে, চলে যাবে। নিরাপত্তার স্বার্থে লাঠিসোঁটা নেওয়া যাবে না। এটা পুলিশের জন্য হুমকি স্বরূপ।

সম্প্রতি রাজনৈতিক কার্যক্রম কেন্দ্রিক সহিংসতা ও হত্যা বাড়ছে। ঢাকায় বিএনপি-আওয়ামী লীগ, ছাত্রদল-ছাত্রলীগের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটেছে। দুই পক্ষকে লাঠি-রড নিয়ে নামতে দেখা যাচ্ছে। এটা কতোটুকু নিরাপত্তা ঝুঁকি তৈরি করছে- এমনে প্রশ্নের জবাবে হাফিজ আক্তার বলেন, ডিএমপির পক্ষ থেকে সব ডিসিকে বলা হয়েছে, কোনো সভা-সমাবেশে লাঠিসোঁটা ও পতাকা যেন আনা না হয়। কারণ কোথাও পড়ে গেলে জাতীয় পতাকার অবমাননা হয়।

বিএনপির পক্ষ থেকে বারবার অভিযোগ করা হচ্ছে, সভা-সমাবেশের জন্য অনুমতি চাইলেও ডিএমপি অনুমতি দেয় না। সংঘর্ষ হলে পুলিশ আওয়ামী লীগের পক্ষ নিয়ে পেটায়- এমন প্রশ্নের জবাবে ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার বলেন, এ ধরনের অভিযোগ আমরা পাইনি। আমরা রাজনৈতিক ও অরাজনৈতিক গ্রোগ্রামের অনুমতি দিচ্ছি। আমরা যদি মনে করি, ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে তাহলে লোকাল ডিসিরা মতামত দেয়। দেখা গেল, কোনো এক জায়গায় একাধিক সংস্থা বা দল সমাবেশ ও সভার অনুমতির আবেদন করল। তখন আমরা নাগরিক সুরক্ষার জন্য এর অনুমতি বা অনুমোদন দেই না।

তিনি বলেন, প্রায় সব প্রোগ্রামেই পুলিশের নীরবতা থাকে। তবে দুই একটি ঘটনা ঘটেছে। প্রোগ্রাম কিন্তু প্রতিনিয়তই হচ্ছে।

রাজধানীর হাজারীবাগে ছাত্রদল-ছাত্রলীগ উভয়পক্ষের কাছে দেশীয় অস্ত্র দেখা গেছে। সেখানে আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের হাতে বেশি অস্ত্র দেখা গেছে। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন কেন্দ্রিক সংঘাতের আশঙ্কা থাকছে কিনা? ডিএমপির পক্ষ থেকে কী ভূমিকা থাকবে- জানতে চাইলে তিনি বলেন, পুলিশের কাজই হচ্ছে শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখা। আমরা চাই না ঢাকা শহরের কোথাও সংঘাত-সংঘর্ষ হোক। সেটা নিয়েই পুলিশ কাজ করে।

বিজনেস আওয়ার/ ২৮ সেপ্টেম্বর,২০২২/এএইচএ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন

এ বিভাগের আরো সংবাদ