ঢাকা , শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

গুলিতে নয়, ইটের আঘাতেই শাওনের মৃত্যু

  • পোস্ট হয়েছে : ০৬:০৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২২
  • 0

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক: মুন্সিগঞ্জে বিএনপি-পুলিশ সংঘর্ষে যুবদলকর্মী শহিদুল ইসলাম ওরফে শাওনের মৃত্যুর বিষয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মাদ মাহফুজুর রহমান আল মামুন।

সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানা, গুলিতে নয়, যুবদলকর্মীদের ছোড়া ইটে মাথায় আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে মারা গেছেন যুবদল কর্মী শাওন।

বুধবার (২৮ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে পুলিশ সুপার কার্যালয়ের সভাকক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে শাওনের মৃত্যুর ময়নাতদন্তের চূড়ান্ত প্রতিবেদনটি প্রকাশ করেন এসপি।

তিনি বলেন, ২১ সেপ্টেম্বর পুলিশের ওপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেন বিএনপির নেতাকর্মীরা। এর একপর্যায়ে পেছন থেকে ছোড়া ঢিলে যুবদল কর্মী শাওন ও তার সঙ্গে থাকা বিএনপির অপর এক কর্মী আঘাত পান। তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়। পরদিন রাত ৯টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঢাকা সেখানে তিনি মারা যান।

পুলিশ সুপার বলেন, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে নিহত শাওনের মরদেহের সুরতহাল সম্পন্ন করা হয়। ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক বিভাগে হস্তান্তর করে। ফরেনসিক বিভাগ লাশের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করতে ভিসেরা পরীক্ষা করে। ময়নাতদন্তের চূড়ান্ত প্রতিবেদনে ‘মাথায় আঘাতের কারণে শাওনের মৃত্যু হয়েছে’ বলে উল্লেখ করা হয়।

তিনি বলেন, প্রতিবেদনে আরও বলা হয়- মাথার পেছনে থেঁতলানো আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। গান শুটের কোনো আঘাত নেই। ইটের আঘাতেই শাওনের মৃত্যু হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, শাওন হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ইতোমধ্যে তদন্ত কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। শাওনের পরিবারকে ন্যায়বিচার পাইয়ে দিতে তারা বদ্ধপরিকর। শাওনের পরিবারের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হবে। প্রকৃত দোষী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা হবে।

গত ২১ সেপ্টেম্বর দুপুরে মুন্সিগঞ্জে পুলিশ ও বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে এতে পুলিশ, সাংবাদিকসহ অর্ধশতাধিক বিএনপি নেতাকর্মী আহত হন। সংঘর্ষে ১৬ পুলিশ সদস্য আহত হন। এতে গুরুতর আহত অবস্থায় যুবদলকর্মী সাওন ও জাহাঙ্গীর নামে দুজনকে ঢাকায় চিকিৎসার জন্য নেওয়া হয়। পরদিন রাতে চিকিৎসাধীন সাওনের মৃত্যু হয়।

গত ২১ সেপ্টেম্বর বিকাল ৩টার দিকে মুক্তারপুর ফেরিঘাট এলাকায় নির্ধারিত বিক্ষোভ সমাবেশ ঘিরে পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। বিএনপির নেতাকর্মীরা ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকে। এ সময় যুবদল কর্মী শাওনসহ বিএনপির অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী আহত হয়। সংঘর্ষে পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মুন্সীগঞ্জ সদর সার্কেল মিনহাজ উল ইসলাম, সদর থানার ওসি তারিকুজ্জামানসহ কমপক্ষে ২৫ জন পুলিশ আহত হয়েছেন।

বিজনেস আওয়ার/ ২৮ সেপ্টেম্বর,২০২২/এএইচএ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

গুলিতে নয়, ইটের আঘাতেই শাওনের মৃত্যু

পোস্ট হয়েছে : ০৬:০৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২২

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক: মুন্সিগঞ্জে বিএনপি-পুলিশ সংঘর্ষে যুবদলকর্মী শহিদুল ইসলাম ওরফে শাওনের মৃত্যুর বিষয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মাদ মাহফুজুর রহমান আল মামুন।

সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানা, গুলিতে নয়, যুবদলকর্মীদের ছোড়া ইটে মাথায় আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে মারা গেছেন যুবদল কর্মী শাওন।

বুধবার (২৮ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে পুলিশ সুপার কার্যালয়ের সভাকক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে শাওনের মৃত্যুর ময়নাতদন্তের চূড়ান্ত প্রতিবেদনটি প্রকাশ করেন এসপি।

তিনি বলেন, ২১ সেপ্টেম্বর পুলিশের ওপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেন বিএনপির নেতাকর্মীরা। এর একপর্যায়ে পেছন থেকে ছোড়া ঢিলে যুবদল কর্মী শাওন ও তার সঙ্গে থাকা বিএনপির অপর এক কর্মী আঘাত পান। তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়। পরদিন রাত ৯টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঢাকা সেখানে তিনি মারা যান।

পুলিশ সুপার বলেন, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে নিহত শাওনের মরদেহের সুরতহাল সম্পন্ন করা হয়। ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক বিভাগে হস্তান্তর করে। ফরেনসিক বিভাগ লাশের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করতে ভিসেরা পরীক্ষা করে। ময়নাতদন্তের চূড়ান্ত প্রতিবেদনে ‘মাথায় আঘাতের কারণে শাওনের মৃত্যু হয়েছে’ বলে উল্লেখ করা হয়।

তিনি বলেন, প্রতিবেদনে আরও বলা হয়- মাথার পেছনে থেঁতলানো আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। গান শুটের কোনো আঘাত নেই। ইটের আঘাতেই শাওনের মৃত্যু হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, শাওন হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ইতোমধ্যে তদন্ত কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। শাওনের পরিবারকে ন্যায়বিচার পাইয়ে দিতে তারা বদ্ধপরিকর। শাওনের পরিবারের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হবে। প্রকৃত দোষী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা হবে।

গত ২১ সেপ্টেম্বর দুপুরে মুন্সিগঞ্জে পুলিশ ও বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে এতে পুলিশ, সাংবাদিকসহ অর্ধশতাধিক বিএনপি নেতাকর্মী আহত হন। সংঘর্ষে ১৬ পুলিশ সদস্য আহত হন। এতে গুরুতর আহত অবস্থায় যুবদলকর্মী সাওন ও জাহাঙ্গীর নামে দুজনকে ঢাকায় চিকিৎসার জন্য নেওয়া হয়। পরদিন রাতে চিকিৎসাধীন সাওনের মৃত্যু হয়।

গত ২১ সেপ্টেম্বর বিকাল ৩টার দিকে মুক্তারপুর ফেরিঘাট এলাকায় নির্ধারিত বিক্ষোভ সমাবেশ ঘিরে পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। বিএনপির নেতাকর্মীরা ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকে। এ সময় যুবদল কর্মী শাওনসহ বিএনপির অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী আহত হয়। সংঘর্ষে পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মুন্সীগঞ্জ সদর সার্কেল মিনহাজ উল ইসলাম, সদর থানার ওসি তারিকুজ্জামানসহ কমপক্ষে ২৫ জন পুলিশ আহত হয়েছেন।

বিজনেস আওয়ার/ ২৮ সেপ্টেম্বর,২০২২/এএইচএ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: