বিনোদন ডেস্ক : রাজধানীর মিরপুরের শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন দেশের কিংবদন্তী সুরকার, সংগীত পরিচালক আলাউদ্দীন আলী। সোমবার (১০ আগস্ট) বিকেল সোয়া ৪টার দিকে তার দাফন সম্পন্ন হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেন আলাউদ্দীন আলীর জামাতা কাজী ফায়সাল আহমেদ।
এর আগে দুপুরে তার মরদেহ নিয়ে আসা হয় বিএফডিসিতে। সেখানে শিল্পীদের পাশাপাশি সাংস্কৃতিক ও সামাজিক সংগঠনের পক্ষ থেকে ফুলের শ্রদ্ধা জানিয়ে বিদায় দেয়া হয়। এফডিসিতে জানাজা শেষে মরদেহ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে শিল্পীর ঘনিষ্ঠজন ও সংগীতের কিছু মানুষের উপস্থিতিতে সমাহিত করা হয় তাকে।
তারও আগে সোমবার সকালে প্রথমে তার মৃতদেহ বারডেম হাসপাতালের হিমঘর থেকে বনশ্রীর বাসায় নেয়া হয়। সেখানে বিটিভির সহকর্মীবৃন্দ ও এলাকাবাসীর জন্য তাকে রাখা হয় সকাল সাড়ে ১১টা থেকে ১২টা অবধি। এরপর নেয়া হয় খিলগাঁওয়ে আলাউদ্দিন আলির আদি বাড়িতে। সেখানে তাকে শেষবার দেখেন শিল্পীর স্বজনরা। বাদ যোহর খিলগাঁও তালতলা মোড়ে নূর-এ-বাগ জামে মসজিদে জানাজা শেষে তাকে নিয়ে আসা হয় বিএফডিসিতে।
উল্লেখ্য, গতকাল রবিবার বিকাল ৫টা ৫০ মিনিটে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন কিংবদন্তী সংগীত পরিচালক আলাউদ্দিন আলী। তার মৃত্যুর খবরে শোক নেমে আসে দেশের শোবিজ অঙ্গনে।
আলাউদ্দিন আলী ১৯৬৮ সালে তিনি যন্ত্রশিল্পী হিসেবে চলচ্চিত্র জগতে আসেন। প্রথমে তিনি আলতাফ মাহমুদের সহযোগী হিসেবে যোগ দেন। এরপর তিনি প্রখ্যাত সুরকার আনোয়ার পারভেজসহ বিভিন্ন সুরকারের সহযোগী হিসেবে কাজ করেন। ১৯৭৫ সালে সঙ্গীত পরিচালনা করে বেশ প্রশংসিত হন আলাউদ্দিন আলী।
তিনি গোলাপী এখন ট্রেনে, সুন্দরী, কসাই এবং যোগাযোগ চলচ্চিত্রের জন্য ১৯৮৮ সালে শ্রেষ্ঠ সঙ্গীত পরিচালক হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন। এছাড়া ১৯৮৫ সালে তিনি শ্রেষ্ঠ গীতিকার হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন। আলাউদ্দিন আলী সঙ্গীত পরিচালক হিসেবে সাতবার এবং গীতিকার হিসেবে একবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন।
বিজনেস আওয়ার/১০ আগস্ট, ২০২০/এ