বিজনেস আওয়ার ডেস্ক: স্বামী বা স্ত্রী ছাড়া অন্য কোনো ব্যক্তির সঙ্গে বিবাহোত্তর বা বিবাহবহির্ভূত প্রেম, ভালোবাসা এবং যৌন সম্পর্ক তৈরি করাকে পরকীয়া বলে। পরকীয়ায় সাময়িক সুখ ও স্বস্তি মিললেও যার ভবিষ্যত কখনই ভালো হয়না।
সঙ্গীর অবৈধ লালসার কারণে কেউ হত্যাকাণ্ডের শিকার হন, কেউ আবার নিজেই নিজের জীবনকে শেষ করে ফেলেন।
মনোবিশেষজ্ঞরা তাই এমন সম্পর্ক থেকে দূরে থাকতে পরামর্শ দিয়ে থাকেন। এছাড়া, সঙ্গীর মনোভাব বুঝতে সংসারে চোখ কান খোলা রেখে চলার পরামর্শ দিয়ে থাকেন।
আসুন জেনে নেয়া যাক সে ৭টি লক্ষণ…
১. সঙ্গী যদি স্মার্ট ফোন বা ইন্টারনেটে বেশি আসক্ত হয়ে পড়ে তবে সতর্ক হোন। ফোনের পেছনে সঙ্গী কতটা সময় ব্যয় করছেন সেদিকে নজর রাখুন। একসঙ্গে বসে থেকে বা ঘুরতে গেলেও যদি সে ফোন নিয়েই ব্যস্ত থাকেন তবে খোঁজ-খবর নিন। অবশ্য কাজের প্রয়োজনে মানুষ ফোন বেশি ব্যবহার করতেই পারে। তবে ফোনালাপে কোনটা কাজের আর কোনটা শুধুই প্রেমময় সেই পার্থক্য বোঝা কঠিন কিছু নয়!
২. সঙ্গী যদি প্রিয়জন এবং পরিবারকে আগের তুলনায় সময় কম দেন তবে কারণটি জানার চেষ্টা করুন। ভালো করে সঙ্গীর প্রতিদিনের কাজকর্ম লক্ষ্য করুন। যদি বুঝতে পারেন যে আগের চাইতে সে পরিবারকে সময় কম দিচ্ছে তবে বোঝার চেষ্টা করুন সেই বাড়তি সময়টা তিনি কীভাবে ব্যয় করছেন। জানতে চাইলে যদি সঙ্গী নানা অজুহাত দেখাতে থাকেন তবে সাবধান হওয়া উচিত।
৩. সঙ্গীর মুখে ইদানিং যদি কোনো নতুন নাম ঘন ঘন শুনতে পান, তবে তাকে জিজ্ঞেস করুন এবং তার মুখের ভাব লক্ষ্য করুন। যদি তিনি প্রশ্নের উত্তর এড়িয়ে যান, কিংবা তার মুখের অভিব্যক্তি বদলে যায় তবে সচেতন হওয়ার প্রয়োজন আছে।
৪. সঙ্গীর মেজাজের পরিবর্তন ঘটছে কিনা লক্ষ্য করুন। সাধারণত পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়লে পুরনো সঙ্গীর প্রতি এক ধরনের অবজ্ঞা কিংবা ক্ষোভ কাজ করে থাকে। সঙ্গী যদি কথায় কথায় রেগে ওঠে তবে বোঝার চেষ্টা করুন সমস্যাটা কোথায়! শারীরিক কারণেও মানসিকতার হঠাৎ পরিবর্তন ঘটতে পারে। তবে খেয়াল রাখুন যে, খারাপ ব্যবহার কি সবার সঙ্গেই ঘটছে কিনা। উত্তর ‘না’ হলে সঙ্গী সম্পর্কে খোঁজ-খবর নিন।
৫. দাম্পত্য সম্পর্কে উদাসীনতাও পরকীয়ার অন্যতম ভয়াবহ লক্ষণ। সুস্থ সাভাবিক সম্পর্কে হঠাৎ করেই সঙ্গীর মধ্যে উদাসিনতা কিংবা অনিহা দেখলে জেনে নিন এর পেছনে শারীরিক কিংবা মানসিক কারণ আছে কিনা। কিংবা সঙ্গী স্রেফ নিয়ম রক্ষার্থেই দাম্পত্য সম্পর্ক বজায় রাখছেন কিনা সেদিকেও লক্ষ্য রাখুন। বিশেষজ্ঞদের মতে, অন্য কেউ সঙ্গীর চাহিদা পুষিয়ে দিলে এমনটি হতে পারে। ফলে বিষয়টি নিয়ে হুঁশিয়ার হোন।
৬. আপনার প্রতিদিনের চলাফেরা কিংবা কাজ কর্ম সম্পর্কে হঠাৎ সঙ্গী অতিরিক্ত আগ্রহ দেখালে বোঝার চেষ্টা করুন এর পেছনে কি কারণ রয়েছে। কখন বাড়িতে ফিরবেন কিংবা কোথায় কোথায় কখন যাবেন এমন প্রশ্ন শুনছেন কিনা লক্ষ্য রাখুন। সম্ভবত এর পেছনে আপনার প্রতি অতি যত্নের বদলে অন্য কিছুও লুকিয়ে থাকতে পারে।
৭. সঙ্গী হঠাৎ নিজের সৌন্দর্য সম্পর্কে অতিরিক্ত সচেতন হয়ে উঠেছেন কিনা তা লক্ষ্য রাখুন। সঙ্গী যদি হঠাৎ করেই নিজের ত্বক, সাজগোজ, শারীরিক গঠন কিংবা পোশাকের দিকে অতিরিক্ত সময় ব্যয় করতে শুরু করেন, তবে পেছনের বিষয়টি জানার চেষ্টা করুন। খেয়াল করুন যে, সঙ্গী হঠাৎ রূপ সচেতন হলেও তা শুধু আপনাকেই উপস্থাপন করছেন কিনা। জানতে চাচ্ছেন কিনা, তাকে কেমন লাগছে দেখতে, পোশাকটা মানিয়েছে কিনা ইত্যাদি। তা না হলে অন্য সম্ভাবনা উঁকি দিতেই পারে।
অবশ্য বিষয়টি এতটাই স্পর্শকাতর যে সঙ্গী সম্পর্কে কোনো তাড়াহুড়ো করে সিদ্ধান্ত নেবেন না।
বিজনেস আওয়ার/০২ অক্টোবর,২০২২/এএইচএ