ঢাকা , শুক্রবার, ৩০ মে ২০২৫, ১৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ইভিএমে আঙুলের ছাপে ভোগান্তি, আইন সংশোধন করবে ইসি

  • পোস্ট হয়েছে : ০৯:১৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩ অক্টোবর ২০২২
  • 62

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক: বিভিন্ন নির্বাচনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোট প্রদানে ভোটারের আঙুলের ছাপ না মেলায় বিরূপ অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হতে হয়েছে নির্বাচন কমিশনকে। তাই এক শতাংশ ভোটারের ভোটদানের সুযোগের বিধানটি আইনের কাঠোমোয় আসছে।

সোমবার (৩ অক্টোবর) আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে কমিশনার মো. আলমগীর এ তথ্য জানান।

তিনি জানান, নানা রকম অপব্যাখ্যা ও বিভ্রান্তি সৃষ্টির কারণে তারা এই উদ্যোগ নিয়েছেন। এ লক্ষ্যে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের (আরপিও) প্রয়োজনীয় সংশোধনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। দু-এক দিনের মধ্যে এই সংশোধনী প্রস্তাব আইন মন্ত্রণালয়ের পাঠানো হবে।

বর্তমানে এই সুযোগটি ভোটাররা পাচ্ছেন উল্লেখ করে এই কমিশনার জানান, যাদের হাতের আঙুলের ছাপ মেলে না তাদের তো ভোট দেওয়ার অধিকার রয়েছে। প্রিজাইডিং অফিসার পরীক্ষা নিরীক্ষা করে ভোটার নিশ্চিত হলে ভোট দেওয়ার সুযোগ দেন। এখানে অফিসার শুধু ভোট দেওয়ার অনুমতি দেন। ওই ভোটার গোপন কক্ষে গিয়ে নিজের ভোট নিজেই প্রদান করেন। এটার একটা সীমা আছে। ওই ভোটকেন্দ্রের সর্বোচ্চ এক শতাংশ ভোটারের ক্ষেত্রে এই সুবিধাটা দেওয়ার সুযোগ প্রিজাইডিং অফিসারের আছে। এ বিষয়টি আলাদা রেকর্ড রাখা হয়।

আইনী কাঠামোয় অন্তর্ভুক্তির যুক্তি তুলে ধরে আলমগীর বলেন, এই বিষয়টি নিয়ে যাতে কনফিউশন না হয়। যার কারণে আইনের কাঠামোতে নিয়ে আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। বিষয়টি আইনে কাঠামোতে আনার জন্য আমরা আইন মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব দেব। বিষয়টি গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিওতে) যুক্ত হচ্ছে বলেও তিনি জানান।

দু’একদিনের মধ্যে আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের একটি সংশোধনী আগেই আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছি। তার সঙ্গে নতুন এই অংশটুকু যুক্ত হবে। আইন মন্ত্রণালয় বিষয়টি পর্যালোচনা করে দেখে পরবর্তী কার্যক্রম গ্রহণ করবে।

এক শতাংশের বেশির ক্ষেত্রে বিদ্যমান ব্যবস্থার কথা তুলে ধরে আলমগীর বলেন, ‘এক শতাংশের বেশি হলে সেখানকার প্রিসাইডিং অফিসার রিটার্নিং অফিসারকে জানাবেন। এক্ষেত্রে কোন কোন ভোটার ভোট দিতে পারছে না তা জানাবেন। রিটার্নিং অফিসার তা যাচাই করে সন্তুষ্ট হলে তিনি কমিশনকে জানান এবং কমিশন সেটা ভেরিফাই করে সন্তুষ্ট হলে ওই নির্দিষ্ট ভোটারের জন্য আলাদা কোড দিয়ে ভোট প্রদানের সুযোগ দিয়ে থাকেন। এটা করতে হলে বিশেষ ব্যবস্থা করতে হয়। এক শতাংশের বিষয়টি আইনি কাঠামোতে আসলে এই বিশেষ ব্যবস্থা থাকবে না। এক্ষেত্রে এক শতাংশের বেশি হলে তারা ভোট দিতে পারবে না।’

বিজনেস আওয়ার/০৩ অক্টোবর, ২০২২/এএইচএ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

ইভিএমে আঙুলের ছাপে ভোগান্তি, আইন সংশোধন করবে ইসি

পোস্ট হয়েছে : ০৯:১৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩ অক্টোবর ২০২২

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক: বিভিন্ন নির্বাচনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোট প্রদানে ভোটারের আঙুলের ছাপ না মেলায় বিরূপ অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হতে হয়েছে নির্বাচন কমিশনকে। তাই এক শতাংশ ভোটারের ভোটদানের সুযোগের বিধানটি আইনের কাঠোমোয় আসছে।

সোমবার (৩ অক্টোবর) আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে কমিশনার মো. আলমগীর এ তথ্য জানান।

তিনি জানান, নানা রকম অপব্যাখ্যা ও বিভ্রান্তি সৃষ্টির কারণে তারা এই উদ্যোগ নিয়েছেন। এ লক্ষ্যে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের (আরপিও) প্রয়োজনীয় সংশোধনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। দু-এক দিনের মধ্যে এই সংশোধনী প্রস্তাব আইন মন্ত্রণালয়ের পাঠানো হবে।

বর্তমানে এই সুযোগটি ভোটাররা পাচ্ছেন উল্লেখ করে এই কমিশনার জানান, যাদের হাতের আঙুলের ছাপ মেলে না তাদের তো ভোট দেওয়ার অধিকার রয়েছে। প্রিজাইডিং অফিসার পরীক্ষা নিরীক্ষা করে ভোটার নিশ্চিত হলে ভোট দেওয়ার সুযোগ দেন। এখানে অফিসার শুধু ভোট দেওয়ার অনুমতি দেন। ওই ভোটার গোপন কক্ষে গিয়ে নিজের ভোট নিজেই প্রদান করেন। এটার একটা সীমা আছে। ওই ভোটকেন্দ্রের সর্বোচ্চ এক শতাংশ ভোটারের ক্ষেত্রে এই সুবিধাটা দেওয়ার সুযোগ প্রিজাইডিং অফিসারের আছে। এ বিষয়টি আলাদা রেকর্ড রাখা হয়।

আইনী কাঠামোয় অন্তর্ভুক্তির যুক্তি তুলে ধরে আলমগীর বলেন, এই বিষয়টি নিয়ে যাতে কনফিউশন না হয়। যার কারণে আইনের কাঠামোতে নিয়ে আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। বিষয়টি আইনে কাঠামোতে আনার জন্য আমরা আইন মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব দেব। বিষয়টি গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিওতে) যুক্ত হচ্ছে বলেও তিনি জানান।

দু’একদিনের মধ্যে আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের একটি সংশোধনী আগেই আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছি। তার সঙ্গে নতুন এই অংশটুকু যুক্ত হবে। আইন মন্ত্রণালয় বিষয়টি পর্যালোচনা করে দেখে পরবর্তী কার্যক্রম গ্রহণ করবে।

এক শতাংশের বেশির ক্ষেত্রে বিদ্যমান ব্যবস্থার কথা তুলে ধরে আলমগীর বলেন, ‘এক শতাংশের বেশি হলে সেখানকার প্রিসাইডিং অফিসার রিটার্নিং অফিসারকে জানাবেন। এক্ষেত্রে কোন কোন ভোটার ভোট দিতে পারছে না তা জানাবেন। রিটার্নিং অফিসার তা যাচাই করে সন্তুষ্ট হলে তিনি কমিশনকে জানান এবং কমিশন সেটা ভেরিফাই করে সন্তুষ্ট হলে ওই নির্দিষ্ট ভোটারের জন্য আলাদা কোড দিয়ে ভোট প্রদানের সুযোগ দিয়ে থাকেন। এটা করতে হলে বিশেষ ব্যবস্থা করতে হয়। এক শতাংশের বিষয়টি আইনি কাঠামোতে আসলে এই বিশেষ ব্যবস্থা থাকবে না। এক্ষেত্রে এক শতাংশের বেশি হলে তারা ভোট দিতে পারবে না।’

বিজনেস আওয়ার/০৩ অক্টোবর, ২০২২/এএইচএ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: