বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক: উৎপাদন বৃদ্ধি ও ডিম ছাড়ার সুযোগ দিতে আগামী শুক্রবার থেকে ২২ দিন ইলিশ আহরণ বন্ধ থাকবে। সরকারের পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী ৭ অক্টোবর থেকে ২৮ অক্টোবর পর্যন্ত এ সিদ্ধান্ত কার্যকর থাকবে।
এ সময় দেশব্যাপী ইলিশ আহরণ, বিপণন, ক্রয়-বিক্রয়, পরিবহণ, মজুত ও বিনিময় নিষিদ্ধ করেছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়। ইলিশ আহরণে বিরত থাকা জেলেদের খাদ্য সহায়তা দেবে ভিজিএফ।
এর আগে গত ১৫ সেপ্টেম্বর রাজধানীর মৎস্য ভবনে মৎস্য অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ইলিশ সম্পদ উন্নয়ন-সংক্রান্ত জাতীয় টাস্কফোর্স কমিটির সভায় এসব সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
মৎস ও প্রাণীসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেন, নিষিদ্ধ সময়ে যারা মাছ ধরতে নামে তারা সবাই মৎস্যজীবী নয়। তাদের নেপথ্যে অনেক ধনী ও ক্ষমতাবান ব্যক্তি থাকেন। ইলিশ সম্পদ রক্ষায় অতীতের মতো এবারও এসব অসাধু ব্যক্তিদের ছাড় দেয়া হবে না। দিনে অভিযানের পাশাপাশি এবার রাতেও অভিযান জোরদার করা হবে। ইলিশের নিরাপদ প্রজননে যা যা করা দরকার তাই করতে হবে।
তিনি বলেন, সংশ্লিষ্ট জেলা-উপজেলায় বরফ কল বন্ধে স্থানীয় প্রশাসন ব্যবস্থা নেবে। গত বছরের ন্যায় এবারও অবৈধ জাল উৎপাদনস্থলে অভিযান পরিচালনা করা হবে। অবৈধ পথে ইলিশ পাচার রোধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ইলিশ সম্পৃক্ত জেলা-উপজেলায় নদীতে ড্রেজিং বন্ধে স্থানীয় প্রশাসন ব্যবস্থা নেবে। ইলিশের নিরাপদ প্রজননের মাধ্যমে ইলিশ সম্পদ উন্নয়নে যা যা করা দরকার তা করতে হবে।
এ ২২ দিন জেলেদের খাদ্য সহায়তা দেবে সরকার। এছাড়া আইন অমান্যকারীকে অন্তত এক ও সর্বোচ্চ দুই বছর সশ্রম কারাদণ্ড অথবা পাঁচ হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানা কিংবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত করা হবে।
বিজনেস আওয়ার/০৫অক্টোবর, ২০২২/এএইচএ