বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক: নির্বাচনের যে প্রহসন এটা বিএনপির সৃষ্টি, এটা তারাই করেছে; বরং দেশে সুষ্ঠু ভোটের পরিবেশ আ.লীগেরই সৃষ্টি করেছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বৃহস্পতিবার (৬ অক্টোবর) বিকেলে গণভবনে যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্র সফর পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।
বিএনপি তাদের অতীতের কথা ভুলে গেছে। একটা মিলিটারির ডিক্টেটরের পকেট থেকে বের হওয়া একটা দল। আমরা নির্বাচনটাকে জনগণের কাছে নিয়ে গেছি। মানুষ যেন তার ভোটটা দিতে পারে, সেই পরিবেশ বা ভোট সম্পর্কে মানুষের যে সচেতনতা এটা কিন্তু আওয়ামী লীগই সৃষ্টি করেছে। ভোটার তালিকায় ছবিসহ লিস্ট হচ্ছে, স্বচ্ছ ব্যালট বাক্স দেওয়া হচ্ছে।
কিছু গণমাধ্যমের সমালোচনা করে তিনি বলেন, আমাদের কিছু কিছু পত্রিকা আছে, সবসময় নেতিবাচক চিন্তা। এরকম মানুষও আছে। তবে সেটা নিয়ে আমার মাথাব্যথা নেই। জনগণের যেন কষ্ট না হয় আমি সেদিকে দৃষ্টি দেই।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা একটানা ক্ষমতায় আছি বলেই উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হয়েছে বাংলাদেশ। ২০২০ সালে জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী ও ২০২১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে আমার লক্ষ্য ছিল। সুবর্ণজয়ন্তীতে উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছি। এখন বিদায় নেওয়ার জন্য আমি প্রস্তুত।
বিশ্বব্যাপী একটা আশঙ্কা, আগামী বছর একটা মহাসংকটের বছর হবে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সেই জন্য আগ থেকেই আমাদের প্রস্তুতি নেওয়া দরকার। খাদ্য নিরাপত্তার বিষয়টা বেশি বিবেচনা করার দরকার। আমরা এক বিলিয়ন রিজার্ভ, ৪৪ মিলিয়ন খাদ্য ঘাটতি নিয়ে ১৯৯৬ সালে সরকার গঠন করেছিলাম। তবে আমরা যখনই আসি দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাই। অর্থনীতি এখন যথেষ্ট শক্তিশালী, এটা আমি নিশ্চিত করতে পারি।
তিনি আরো বলেন, যারা স্বাধীনতাবিরোধী, যারা পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর সঙ্গে হাত মিলিয়ে এই দেশের মেয়েদের ধর্ষণ করেছে, গণহত্যা, লুটপাট করেছে পঁচাত্তরের পরে তারাই ক্ষমতায় এসেছে। তাদের সঙ্গে যারা হাত মেলাতে পারে, আর জাতির পিতাকে হত্যা করতে পারে, সেই দেশে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ রাখা কত দুরূহ, কত কঠিন সেটা নিশ্চয় সবাই বুঝতে পারেন।
দেশের বিরোধী দলের সমালোচনা করে শেখ হাসিনা বলেন, দেশের বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো অনেক হুমকি দিচ্ছে। এটাই তো তাদের কাজ। তারা যদি শক্তিশালী হতো, তাহলে অনেক কিছুই হতে পারত।
বিজনেস আওয়ার/০৬ অক্টোবর, ২০২২/এএইচএ