বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : পদ্মা নদীর পানি বিপৎসীমা ছাড়িয়ে গেছে। সেই সাথে প্রখর স্রোতের কারণে বসানো যাচ্ছে না কোনো স্প্যান। কাজের গতি থেমে গেছে। নদীতে মূল সেতুর ওপর সড়কপথের কাজও বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। মূলত বন্যা পদ্মাসেতুর কাজের গতিকে থামিয়ে দিয়েছে।
পদ্মাসেতুর প্রকৌশলীরা জানান, বছরের মাঝামাঝি সময় থেকে তিন চারমাস গত বছরও তেমন কাজ হয়নি। এ সময় পানি বেড়ে যাওয়া এবং ভাঙন সমস্যার মুখোমুখি হতে হয়। নদীর পানির গতি স্বাভাবিক পর্যায়ে থাকে না বলে স্প্যানও ওঠানো যায় না। এদিকে চলতি আগস্টেও কোনো স্প্যান উঠানোর সম্ভাবনা নেই।
পদ্মাসেতু প্রকল্প সূত্রে জানা গেছে, আগস্ট-সেপ্টেম্বরে অন্তত পাঁচটি স্প্যান উঠানোর কথা ছিল। সেখানে এখন পর্যন্ত একটি স্প্যানও উঠানো যায়নি। তবে সেপ্টেম্বর শেষে নদীর পানি কমে যাবে। তখন স্রোতের গতিও স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরবে। আর ওই সময়ই সেতুর কাজে গতি ফিরবে।
এ প্রসঙ্গে পদ্মাসেতুর প্রকল্প পরিচালক শফিকুল ইসলাম বলেন, পদ্মা নদীর প্রতিকূল ও অস্বাভাবিক পরিস্থিতির কারণে মূল সেতুর কাজের গতি কমেছে। তবে আগামী বছর সেতু চালু করতে যে ডেটলাইন রয়েছে সেই লক্ষ্যেই আমরা কাজ করার চেষ্টা করব।
করোনায় প্রথম দফায় গতি ছিল শ্লথ। আর জুলাইয়ের মধ্যে টার্গেট ছিল সব স্প্যান বসানো। কিন্তু সেটিও হয়নি। এখন ডিসেম্বরের মধ্যে সব স্প্যান উঠানো সম্ভব নাও হতে পারে। তবে বলা যেতে পারে বাস্তবে সেতুর কাজ অন্তত এক বছর পিছিয়ে যাচ্ছে।
সেতু নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান সুত্র জানায়, মাত্র ১০ স্প্যান উঠানো বাকি। কাজ সর্বোচ্চ গতিতে চললে প্রতি মাসে তিনটি স্প্যান উঠানো যায়। সে হিসেবে ডিসেম্বরের মধ্যে এই ১০টি স্প্যান খুঁটিতে উঠিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করবেন তারা।
সেতুর শরিয়তপুরের জাজিরা থেকে মাওয়া পর্যন্ত ৩১টি স্প্যান বসানো হয়েছে। বাকি রয়েছে মাওয়া অংশে ১০টি স্প্যান বসানোর কাজ। এরপর পুরো সেতু একসঙ্গে ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দেখা যাবে। আর স্প্যানের উপর সড়কপথের কাজ শরিয়পুরের জাজিরা থেকে শুরু হয়ে মাঝ নদীতে চলে এসেছে।
বিজনেস আওয়ার/১১ আগস্ট, ২০২০/এ