ঢাকা , বুধবার, ২৩ জুলাই ২০২৫, ৮ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

৩ রানে হারলো টাইগ্রেসরা

  • পোস্ট হয়েছে : ১২:৪১ অপরাহ্ন, সোমবার, ১০ অক্টোবর ২০২২
  • 66

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : নারী এশিয়া কাপের সেমিফাইনালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ম্যাচে জয়ের বিকল্প ছিলো না বাংলাদেশের। তবে বৃষ্টির কারণে কার্টেল ওভারের ম্যাচে ৭ ওভারে ৪১ রানের টার্গেট পেয়েও ৩ রানে হেরে গেলো নিগার সুলতানা জ্যোতির দল।

প্রথম ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে শ্রীলঙ্কার ইনিংসের ১৯তম ওভারে বৃষ্টির জন্য থেমে যায় মাঠের খেলা। স্কোরবোর্ডে শ্রীলঙ্কার রান তখন ৫ উইকেটে ৮৩। পরে বৃষ্টির কারণে নির্ধারিত ২০ ওভার পূর্ণ করা সম্ভব হয়নি। বৃষ্টি আইনে ৭ ওভারে জয়ের জন্য ৪১ রানের টার্গেট পায় বাংলাদেশ।

সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে শ্রীলঙ্কাকে ব্যাটিংয়ে আমন্ত্রণ জানান টাইগ্রেস অধিনায়ক জ্যোতি। দ্বিতীয় ওভারেই তার সিদ্ধান্তকে যথার্থ প্রমাণ করেন পেসার জাহানারা আলম। দ্বিতীয় ওভারের শেষ বলে লঙ্কান অধিনায়ক চামারি আথাপাথুকে বোল্ড করে ১ রানেই ফিরিয়ে দেন জাহানারা। দলীয় ৬ রানেরি প্রথম উইকেট হারায় শ্রীলঙ্কা।

তিন নাম্বারে নামা আনুশকা সঞ্জীওয়ানিকে সঙ্গে নিয়ে আরেক ওপেনার হর্ষিতা মাদাভি প্ররতিরোধ গড়ে তুললেও খুব বেশিদূর এগোতে পারেননি। অষ্টম ওভারের শেষ বলে দুজনের ২৫ রানের জুটি ভেঙে দলীয় ৩১ রানের মাথায় হর্ষিতাকে ফেরান সানজিদা মেঘলা। ফেরার আগে লঙ্কান ওপেনার করেন ৩১ বলে ১৮ রান।

পরের ওভারের প্রথম বলেই আবারও লঙ্কান শিবিরে আঘাত হানেন রুমানা আহমেদ। আনুশককে ফেরান ৮ রানে। পরপর দুই উইকেট হারিয়ে চাপে পরে যায় শ্রীলঙ্কা। চতুর্থ উইকেটে সেই চাপ সামাল দেন হাসিনি পেরেরা আর নীলাক্ষী ডি সিলভা। দুজন মিলে গড়েন ২৯ রানের জুটি। দলীয় ৬০ রানের মাথায় হাসিনিকে ফিরিয়ে শ্রীলঙ্কাকে আরেকবার ধাক্কা দেন ফাহিমা খাতুন। সাজঘরে ফেরার আগে হাসিনি করেন ১৭ বলে ১১ রান।

পঞ্চম উইকেটে কবিশা দিলহারিকে সঙ্গে নিয়েও ১৭ রানের জুটি গড়েন নীলাক্ষী। ১৮তম ওভারের তৃতীয় বলে দলের ৭৭ রানের মাথায় কবিশাকে ফেরান রুমানা।

বাংলাদেশের বোলারদের সামনে বাঁধা হয়ে দাঁড়ান এক নীলাক্ষী। ১৯তম ওভারে হঠাৎই সিলেটের আকাশজুড়ে নেমে আসে বৃষ্টি। বৃষ্টিবাধায় খেলা বন্ধ হওয়ার আগে ৩১ বলে ২৮ রান নিয়ে ক্রিজে ছিলেন নীলাক্ষী। ২ বলে ১ রান তাকে সঙ্গ দিচ্ছিলেন ওশাদি রানাসিংহে।

বৃষ্টি থামতে দেরি হওয়ায় পরে আর ব্যাটিংয়েই নামা হয়নি শ্রীলঙ্কার। ডার্ক-ওয়াথ লুইস মেথডে ৭ ওভারে ৪১ রানের লক্ষ্য নিয়ে ব্যাটিংয়ে নেমেছে বাংলাদেশ।

অল্প রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা অবশ্য একেবারেই ভালো হয়নি বাংলাদেশের। দলীয় ৪ রানেই ফিরে যান ওপেনার মুরশিদা খাতুন। তৃতীয় ওভারে দলীয় ১২ রানে আউট হয়ে সাজঘরে ফেরেন আরেক ওপেনার ফারজানা হকও। ফারজানা ফিরে যান ৬ রানে।

বাংলাদেশের অধিনায়ক নিগার সুলতানা এক প্রান্তে ভালোই এগিয়ে নিচ্ছিলেন দলকে। কিন্তু ষষ্ঠ ওভার, মুড়ির মতো পড়লো চার উইকেট। ২ ওভারে ১৪ রান দরকার ছিল, কিন্তু ওই এক ওভারের বিপর্যয়ে লণ্ডভণ্ড বাংলাদেশ। শেষ ওভারে দরকার ছিল ১১ রান। সালমা খাতুন ও রিতু মনি ছিলেন ক্রিজে। তারা পেরে ওঠেননি। বরং পঞ্চম বলে রান আউট হন সালমা (২)। শেষ বলে দরকার ছিল ৬ রান। ওয়াইড দিলে প্রয়োজন দাঁড়ায় ৫ রানের, চার মারলেই স্কোরে সমতা হতো। রিতু নেন একটি রান। ডাকওয়ার্থ লুইস পদ্ধতিতে ৩ রানে হেরে সেমিফাইনালে ওঠার আশায় বিরাট ধাক্কা খেলো তারা।

রনবিরা ২ ওভারে ৭ রান দিয়ে চার উইকেট নেন।

বিজনেস আওয়ার/১০ অক্টোবর, ২০২২/কমা

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

৩ রানে হারলো টাইগ্রেসরা

পোস্ট হয়েছে : ১২:৪১ অপরাহ্ন, সোমবার, ১০ অক্টোবর ২০২২

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : নারী এশিয়া কাপের সেমিফাইনালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ম্যাচে জয়ের বিকল্প ছিলো না বাংলাদেশের। তবে বৃষ্টির কারণে কার্টেল ওভারের ম্যাচে ৭ ওভারে ৪১ রানের টার্গেট পেয়েও ৩ রানে হেরে গেলো নিগার সুলতানা জ্যোতির দল।

প্রথম ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে শ্রীলঙ্কার ইনিংসের ১৯তম ওভারে বৃষ্টির জন্য থেমে যায় মাঠের খেলা। স্কোরবোর্ডে শ্রীলঙ্কার রান তখন ৫ উইকেটে ৮৩। পরে বৃষ্টির কারণে নির্ধারিত ২০ ওভার পূর্ণ করা সম্ভব হয়নি। বৃষ্টি আইনে ৭ ওভারে জয়ের জন্য ৪১ রানের টার্গেট পায় বাংলাদেশ।

সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে শ্রীলঙ্কাকে ব্যাটিংয়ে আমন্ত্রণ জানান টাইগ্রেস অধিনায়ক জ্যোতি। দ্বিতীয় ওভারেই তার সিদ্ধান্তকে যথার্থ প্রমাণ করেন পেসার জাহানারা আলম। দ্বিতীয় ওভারের শেষ বলে লঙ্কান অধিনায়ক চামারি আথাপাথুকে বোল্ড করে ১ রানেই ফিরিয়ে দেন জাহানারা। দলীয় ৬ রানেরি প্রথম উইকেট হারায় শ্রীলঙ্কা।

তিন নাম্বারে নামা আনুশকা সঞ্জীওয়ানিকে সঙ্গে নিয়ে আরেক ওপেনার হর্ষিতা মাদাভি প্ররতিরোধ গড়ে তুললেও খুব বেশিদূর এগোতে পারেননি। অষ্টম ওভারের শেষ বলে দুজনের ২৫ রানের জুটি ভেঙে দলীয় ৩১ রানের মাথায় হর্ষিতাকে ফেরান সানজিদা মেঘলা। ফেরার আগে লঙ্কান ওপেনার করেন ৩১ বলে ১৮ রান।

পরের ওভারের প্রথম বলেই আবারও লঙ্কান শিবিরে আঘাত হানেন রুমানা আহমেদ। আনুশককে ফেরান ৮ রানে। পরপর দুই উইকেট হারিয়ে চাপে পরে যায় শ্রীলঙ্কা। চতুর্থ উইকেটে সেই চাপ সামাল দেন হাসিনি পেরেরা আর নীলাক্ষী ডি সিলভা। দুজন মিলে গড়েন ২৯ রানের জুটি। দলীয় ৬০ রানের মাথায় হাসিনিকে ফিরিয়ে শ্রীলঙ্কাকে আরেকবার ধাক্কা দেন ফাহিমা খাতুন। সাজঘরে ফেরার আগে হাসিনি করেন ১৭ বলে ১১ রান।

পঞ্চম উইকেটে কবিশা দিলহারিকে সঙ্গে নিয়েও ১৭ রানের জুটি গড়েন নীলাক্ষী। ১৮তম ওভারের তৃতীয় বলে দলের ৭৭ রানের মাথায় কবিশাকে ফেরান রুমানা।

বাংলাদেশের বোলারদের সামনে বাঁধা হয়ে দাঁড়ান এক নীলাক্ষী। ১৯তম ওভারে হঠাৎই সিলেটের আকাশজুড়ে নেমে আসে বৃষ্টি। বৃষ্টিবাধায় খেলা বন্ধ হওয়ার আগে ৩১ বলে ২৮ রান নিয়ে ক্রিজে ছিলেন নীলাক্ষী। ২ বলে ১ রান তাকে সঙ্গ দিচ্ছিলেন ওশাদি রানাসিংহে।

বৃষ্টি থামতে দেরি হওয়ায় পরে আর ব্যাটিংয়েই নামা হয়নি শ্রীলঙ্কার। ডার্ক-ওয়াথ লুইস মেথডে ৭ ওভারে ৪১ রানের লক্ষ্য নিয়ে ব্যাটিংয়ে নেমেছে বাংলাদেশ।

অল্প রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা অবশ্য একেবারেই ভালো হয়নি বাংলাদেশের। দলীয় ৪ রানেই ফিরে যান ওপেনার মুরশিদা খাতুন। তৃতীয় ওভারে দলীয় ১২ রানে আউট হয়ে সাজঘরে ফেরেন আরেক ওপেনার ফারজানা হকও। ফারজানা ফিরে যান ৬ রানে।

বাংলাদেশের অধিনায়ক নিগার সুলতানা এক প্রান্তে ভালোই এগিয়ে নিচ্ছিলেন দলকে। কিন্তু ষষ্ঠ ওভার, মুড়ির মতো পড়লো চার উইকেট। ২ ওভারে ১৪ রান দরকার ছিল, কিন্তু ওই এক ওভারের বিপর্যয়ে লণ্ডভণ্ড বাংলাদেশ। শেষ ওভারে দরকার ছিল ১১ রান। সালমা খাতুন ও রিতু মনি ছিলেন ক্রিজে। তারা পেরে ওঠেননি। বরং পঞ্চম বলে রান আউট হন সালমা (২)। শেষ বলে দরকার ছিল ৬ রান। ওয়াইড দিলে প্রয়োজন দাঁড়ায় ৫ রানের, চার মারলেই স্কোরে সমতা হতো। রিতু নেন একটি রান। ডাকওয়ার্থ লুইস পদ্ধতিতে ৩ রানে হেরে সেমিফাইনালে ওঠার আশায় বিরাট ধাক্কা খেলো তারা।

রনবিরা ২ ওভারে ৭ রান দিয়ে চার উইকেট নেন।

বিজনেস আওয়ার/১০ অক্টোবর, ২০২২/কমা

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: