ঢাকা , সোমবার, ০৭ অক্টোবর ২০২৪, ২১ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নিউজিল্যান্ডে সৈকতে আটকা পড়ে ৫০০ তিমির মৃত্যু

  • পোস্ট হয়েছে : ০৩:২৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ অক্টোবর ২০২২
  • 34

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: নিউজিল্যান্ডের প্রত্যন্ত চ্যাথাম দ্বীপপুঞ্জে একদল পাইলট তিমি আটকে পড়ায় প্রায় পাঁচ শ’ তিমি মারা গেছে। ওই জলসীমায় ব্যাপক হাঙ্গরের উপস্থিতির কারণে উদ্ধার প্রচেষ্টা বাতিল করা হয়েছে।

স্থানীয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, নিউজিল্যান্ডের মূল ভূখণ্ড থেকে বেশ দূরে ওই দ্বীপটি। এর আগে চ্যাথাম দ্বীপে ২৫০ তিমির মৃত্যু হয়। তিনদিন পর ওই একই দ্বীপে আরও ২৪০ তিমির মৃত্যু হয়েছে।

এর আগে ২০১৭ সালে প্রায় ৭শ পাইলট তিমি সেখানে আটকা পড়ে। একসঙ্গে এত তিমি কেন সমুদ্র তীরে আটকা পড়ছে বা মারা যাচ্ছে সে বিষয়টি এখনও নিশ্চিত নয়। বিজ্ঞানীরাও এর সঠিক কারণ বের করতে পারেননি।

ওই এলাকায় প্রচুর হাঙ্গর থাকার কারণে কর্তৃপক্ষ তিমিগুলোকে সঠিক সময়ে উদ্ধার করতে পারেনি। মঙ্গলবার স্থানীয় কর্তৃপক্ষ ওই ৫শ তিমির মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে। পাইলট তিমি মূলত ডলফিন পরিবারেরই সদস্য।

তিনদিন আগেই ওই দ্বীপের সমুদ্রসৈকতে আটকা পড়ে প্রায় ২৫০ পাইলট তিমির মৃত্যু হয়। সে সময় দেশটির কনজারভেশন বিভাগ জানায়, তিমিগুলো দ্বিপটির উত্তরপশ্চিম দিকে আটকা পড়েছিল।

এক বিবৃতিতে জানানো হয়, হাঙরের আক্রমণের ঝুঁকি থাকায় এগুলো পুনরায় ভাসিয়ে দেওয়া সম্ভব হয়নি। কারণ মানুষ এবং তিমি উভয়ের জন্যই হাঙর বেশ বিপজ্জনক।

এর আগেও বহুবার চ্যাথাম দ্বীপে আটকা পড়ে অনেক তিমির মৃত্যু হয়েছে। ১৯৮১ সালে ওই দ্বীপে আনুমানিক এক হাজার তিমি আটকা পড়ে। এছাড়া মাত্র দুই সপ্তাহ আগে অস্ট্রেলিয়ার প্রত্যন্ত পশ্চিম তাসমানিয়ায় প্রায় ২শ পাইলট তিমির মৃত্যু হয়। যদিও এসময় ৪৪টিকে পানিতে ভাসিয়ে দিতে সক্ষম হয় সেখানকার কর্তৃপক্ষ।

প্রথম দিকে মনে করা হয়েছিল যে, আটকা পড়া অর্ধেক তিমিকে হয়তো বাঁচানো যাবে। কিন্তু মাত্র ৩৫টি তিমি শেষ পর্যন্ত বেঁচে গেছে। আটকে পড়া তিমিগুলোকে বাঁচিয়ে রাখতে কম্বল দিয়ে ঢেকে প্রচুর পানি ঢালতে থাকেন স্থানীয় লোকজন।

পাইলট তিমি অত্যন্ত সামাজিক স্তন্যপায়ী প্রাণী এবং দলগত ভাবে থাকার কারণে বেশ সুপরিচিত। একটি বড় দলে তারা ভ্রমণ করতে পছন্দ করে।

সরকারী পরিসংখ্যান অনুযায়ী নিউজিল্যান্ডে প্রতি বছর প্রায় তিন শ’ তিমি সমুদ্র সৈকতে এভাবে আটকা পড়ে মারা যায়।

বিজনেস আওয়ার/১১ অক্টোবর, ২০২২/এএইচএ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

নিউজিল্যান্ডে সৈকতে আটকা পড়ে ৫০০ তিমির মৃত্যু

পোস্ট হয়েছে : ০৩:২৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ অক্টোবর ২০২২

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: নিউজিল্যান্ডের প্রত্যন্ত চ্যাথাম দ্বীপপুঞ্জে একদল পাইলট তিমি আটকে পড়ায় প্রায় পাঁচ শ’ তিমি মারা গেছে। ওই জলসীমায় ব্যাপক হাঙ্গরের উপস্থিতির কারণে উদ্ধার প্রচেষ্টা বাতিল করা হয়েছে।

স্থানীয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, নিউজিল্যান্ডের মূল ভূখণ্ড থেকে বেশ দূরে ওই দ্বীপটি। এর আগে চ্যাথাম দ্বীপে ২৫০ তিমির মৃত্যু হয়। তিনদিন পর ওই একই দ্বীপে আরও ২৪০ তিমির মৃত্যু হয়েছে।

এর আগে ২০১৭ সালে প্রায় ৭শ পাইলট তিমি সেখানে আটকা পড়ে। একসঙ্গে এত তিমি কেন সমুদ্র তীরে আটকা পড়ছে বা মারা যাচ্ছে সে বিষয়টি এখনও নিশ্চিত নয়। বিজ্ঞানীরাও এর সঠিক কারণ বের করতে পারেননি।

ওই এলাকায় প্রচুর হাঙ্গর থাকার কারণে কর্তৃপক্ষ তিমিগুলোকে সঠিক সময়ে উদ্ধার করতে পারেনি। মঙ্গলবার স্থানীয় কর্তৃপক্ষ ওই ৫শ তিমির মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে। পাইলট তিমি মূলত ডলফিন পরিবারেরই সদস্য।

তিনদিন আগেই ওই দ্বীপের সমুদ্রসৈকতে আটকা পড়ে প্রায় ২৫০ পাইলট তিমির মৃত্যু হয়। সে সময় দেশটির কনজারভেশন বিভাগ জানায়, তিমিগুলো দ্বিপটির উত্তরপশ্চিম দিকে আটকা পড়েছিল।

এক বিবৃতিতে জানানো হয়, হাঙরের আক্রমণের ঝুঁকি থাকায় এগুলো পুনরায় ভাসিয়ে দেওয়া সম্ভব হয়নি। কারণ মানুষ এবং তিমি উভয়ের জন্যই হাঙর বেশ বিপজ্জনক।

এর আগেও বহুবার চ্যাথাম দ্বীপে আটকা পড়ে অনেক তিমির মৃত্যু হয়েছে। ১৯৮১ সালে ওই দ্বীপে আনুমানিক এক হাজার তিমি আটকা পড়ে। এছাড়া মাত্র দুই সপ্তাহ আগে অস্ট্রেলিয়ার প্রত্যন্ত পশ্চিম তাসমানিয়ায় প্রায় ২শ পাইলট তিমির মৃত্যু হয়। যদিও এসময় ৪৪টিকে পানিতে ভাসিয়ে দিতে সক্ষম হয় সেখানকার কর্তৃপক্ষ।

প্রথম দিকে মনে করা হয়েছিল যে, আটকা পড়া অর্ধেক তিমিকে হয়তো বাঁচানো যাবে। কিন্তু মাত্র ৩৫টি তিমি শেষ পর্যন্ত বেঁচে গেছে। আটকে পড়া তিমিগুলোকে বাঁচিয়ে রাখতে কম্বল দিয়ে ঢেকে প্রচুর পানি ঢালতে থাকেন স্থানীয় লোকজন।

পাইলট তিমি অত্যন্ত সামাজিক স্তন্যপায়ী প্রাণী এবং দলগত ভাবে থাকার কারণে বেশ সুপরিচিত। একটি বড় দলে তারা ভ্রমণ করতে পছন্দ করে।

সরকারী পরিসংখ্যান অনুযায়ী নিউজিল্যান্ডে প্রতি বছর প্রায় তিন শ’ তিমি সমুদ্র সৈকতে এভাবে আটকা পড়ে মারা যায়।

বিজনেস আওয়ার/১১ অক্টোবর, ২০২২/এএইচএ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: