বিজসেন আওয়ার প্রতিবেদক: অনিয়মের কারণে গাইবান্ধা-৫ আসনের উপনির্বাচনে ৩ কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ স্থগিত করেছে নির্বাচন কমিশন। বুধবার (১২ অক্টোবর) নির্বাচন কমিশন (ইসি) সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
বুধবার সকাল ৮টা থেকে উৎসবমুখর পরিবেশে ভোটগ্রহণ শুরু হলেও সকাল থেকে কেন্দ্রে ভোটারের উপস্থিতি কম ও গোপন কক্ষে একাধিক ব্যক্তি প্রবেশ করায় ফুলছড়ি উপজেলার ভরতখালী উচ্চ বিদ্যালয়, ফুলছড়ি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় এবং সাঘাটার রাম নগর উচ্চ বিদ্যালয়সহ ৩টি কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ স্থগিত করা হয়েছে।
কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে কেন্দ্রে কেন্দ্রে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ও নির্বাচনী সরঞ্জামাদি পাঠানো হয়েছে। ১৪৫টি ভোট কেন্দ্রে ইভিএমের মাধ্যমে হচ্ছে এই উপ-নির্বাচন। ১৩৫টি ভোট কেন্দ্রে সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে ভোটগ্রহণের কার্যক্রম সরাসরি পর্যবেক্ষণ করছেন নির্বাচন কমিশন।
নির্বাচনে আওয়ামী লীগ থেকে মাহামুদ হাসান রিপন- নৌকা প্রতীক, জাতীয় পার্টি থেকে এইচ এম গোলাম শহীদ রঞ্জু- লাঙ্গল প্রতীক, বিকল্পধারার প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলম- কুলা প্রতীক, স্বতন্ত্র প্রার্থী নাহিদুজ্জামান নিশাদ- আপেল প্রতীক ও মাহবুবুর রহমান- ট্রাক প্রতীকসহ মোট পাঁচ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতায় অংশ নিয়েছিলেন।
সাঘাটা ও ফুলছড়ি এ দুই উপজেলা নিয়ে গঠিত গাইবান্ধা-৫ আসন। এতে মোট ভোটার তিন লাখ ৩৯ হাজার ৭৪৩ জন। নির্বাচনে সাঘাটা উপজেলায় ৮৮টি এবং ফুলছড়ি উপজেলায় ৫৭টিসহ মোট ১৪৫টি কেন্দ্রের ৯৫২ বুথে ১৪৫ প্রিসাইডিং অফিসার, ৯৫২ সহকারী প্রিসাইডিং অফিসার এবং এক হাজার ৯০৪ জন পোলিং অফিসার দায়িত্বে ছিলেন।
ভোটকেন্দ্র এবং ভোটারদের নিরাপত্তার জন্য প্রায় সাড়ে তিন হাজার পুলিশ সদস্য, র্যাবের ৯টি টিম, ৪ প্লাটুন বিজিবি এবং আনসার ও ভিডিপি নিয়োজিত ছিল। এ ছাড়া সাঘাটা উপজেলায় তিনজন ও ফুলছড়ি উপজেলায় দুজন এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট সার্বক্ষণিক তদারকিতে ছিলেন।
সাবেক ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী মিয়ার মৃত্যুতে গাইবান্ধা-৫ আসনটি শূন্য হয়। এবারই প্রথম এ আসনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) মাধ্যমে ভোটগ্রহণের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছিল।
বিজসেন আওয়ার/১২ অক্টোবর, ২০২২/এএইচএ