বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক (কক্সবাজার) : কক্সবাজারের টেকনাফে মেজর (অব.) সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ হত্যা মামলার আসামিদের মধ্যে চার পুলিশসহ ৭ আসামীকে সাতদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। বুধবার (১২ আগস্ট) বেলা সোয়া ১১টার দিকে কক্সবাজার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তামান্না ফারাহ রিমান্ড আবেদন শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।
এর আগে গতকাল মঙ্গলবার মামলার আসামি এএসআই লিটন মিয়া, কনস্টেবল সাফানুর করিম, কনস্টেবল কামাল হোসেন, কনস্টেবল আবদুল্লাহ আল মামুন, সিনহা হত্যা মামলায় পুলিশের দায়ের করা মামলার তিন সাক্ষী টেকনাফের বাহারছড়ার মারিশবুনিয়ার নুরুল আমিন, নিজাম উদ্দীন ও মোহাম্মদ আইয়াস বিরুদ্ধে রিমান্ড আবেদন করেছিল র্যাব।
এর আগে গ্রেফতার সাক্ষীরা গণমাধ্যমের কাছে দাবি করেছিলেন, এ হত্যার ঘটনা তারা কেউ নিজের চোখে দেখেননি। ঘটনার পর স্থানীয় পুলিশ ফাঁড়িতে তাদের ডেকে নেয়া হয়। পরে সকালে টেকনাফ থানায় নিয়ে সাদা কাগজে স্বাক্ষর নেয়া হয়েছিল বলে দাবি করেন তারা। পরে জানতে পারেন তাদের সাক্ষী করা হয়েছে।
এরও আগে চার পুলিশ সদস্যকে কক্সবাজার জেলা কারাগার ফটকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুইদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। তাদের সেই জিজ্ঞাসাবাদ সম্পন্ন করেছে র্যাব। তবে একইদিন বাহারছড়া পুলিশ ফাঁড়ির প্রত্যাহার হওয়া ইন্সপেক্টর লিয়াকত আলী, টেকনাফ থানার প্রত্যাহার হওয়া ওসি প্রদীপ কুমার দাশ এবং এসআই নন্দ দুলাল রক্ষিতকে সাতদিনের রিমান্ড দেওয়া হলেও এখনও জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেনি র্যাব।
উল্লেখ্য, গত ৩১ জুলাই টেকনাফের বাহারছড়া পুলিশ চেকপোস্টে সাবেক সেনা কর্মকর্তা সিনহাকে পুলিশ গুলি করে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ এনে ইন্সপেক্টর লিয়াকত, ওসি প্রদীপ কুমার দাশসহ পুলিশের নয় সদস্যের বিরুদ্ধে মামলা করেন সিনহার বোন শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌস। এরপর ৬ আগস্ট বরখাস্ত ওসি প্রদীপ ও লিয়াকতসহ সাত আসামি কক্সবাজার সিনিয়র জুডিশিয়াল আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। দুজন করেননি।
বিজনেস আওয়ার/১২ আগস্ট, ২০২০/এ