ঢাকা , সোমবার, ০৭ অক্টোবর ২০২৪, ২১ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

তুরস্কে কয়লাখনিতে ভয়াবহ বিস্ফোরণ, নিহত ২৫

  • পোস্ট হয়েছে : ১১:১২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৫ অক্টোবর ২০২২
  • 32

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: তুরস্কের উত্তরাঞ্চলের একটি কয়লাখনিতে ভয়াবহ বিস্ফোরণে অন্তত ২৫ শ্রমিক নিহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। এখনো নিখোঁজ রয়েছেন কয়েক ডজন শ্রমিক। আহত বেশ কয়েকজন শ্রমিকের অবস্থাও আশঙ্কাজনক।

শুক্রবার (১৪ অক্টোবর) দেশটির বার্তিন প্রদেশের আমাসরা শহরে স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬টার (বাংলাদেশ সময় রাত ৯টা) দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। খবর-বিবিসি

আহত শ্রমিকরা জানিয়েছেন, বিস্ফোরণের সময় কমপক্ষে ১১০ জন খনিতে কাজ করছিলেন। তাদের মধ্যে প্রায় কয়েক ডজন কর্মী ভূপৃষ্ঠের ৩০০ মিটারেরও বেশি গভীরতায় ছিলেন।

খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসেন উদ্ধারকর্মীরা। খনিতে আটকে পড়াদের উদ্ধারে অভিযান চলছে বলে জানিয়েছে তুরস্কের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ। এখনো খনির ভেতর চাপা পড়ে আছেন অর্ধশত শ্রমিক। তাদের জীবিত উদ্ধারে সব রকম চেষ্টা করা হবে বলে আশ্বাস দেন তুর্কি জ্বালানি ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আলী আকবর মেহরাবিয়ান।

এ ঘটনায় শোক জানিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান।

তুরস্কের জ্বালানিমন্ত্রী বলেছেন, ফায়ারড্যাম্পের কারণে এ বিস্ফোরণ ঘটেছে বলে প্রাথমিক ইঙ্গিত পাওয়া গেছে।

ত্রুটিপূর্ণ বৈদ্যুতিক ট্রান্সফর্মারের কারণে এ বিস্ফোরণ ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছেন সংশ্লিষ্টরা।

এর আগে, তুরস্কের ইতহাসে সবচেয়ে প্রাণঘাতী খনি দুর্ঘটনা ঘটেছিল ২০১৪ সালে। ওই বছর দেশটির পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর সোমায় একটি খনিতে বিস্ফোরণে ৩০১ জন শ্রমিকের মৃত্যু হয়।

বিজসেন আওয়ার/১৫ অক্টোবর, ২০২২/এএইচএ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

তুরস্কে কয়লাখনিতে ভয়াবহ বিস্ফোরণ, নিহত ২৫

পোস্ট হয়েছে : ১১:১২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৫ অক্টোবর ২০২২

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: তুরস্কের উত্তরাঞ্চলের একটি কয়লাখনিতে ভয়াবহ বিস্ফোরণে অন্তত ২৫ শ্রমিক নিহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। এখনো নিখোঁজ রয়েছেন কয়েক ডজন শ্রমিক। আহত বেশ কয়েকজন শ্রমিকের অবস্থাও আশঙ্কাজনক।

শুক্রবার (১৪ অক্টোবর) দেশটির বার্তিন প্রদেশের আমাসরা শহরে স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬টার (বাংলাদেশ সময় রাত ৯টা) দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। খবর-বিবিসি

আহত শ্রমিকরা জানিয়েছেন, বিস্ফোরণের সময় কমপক্ষে ১১০ জন খনিতে কাজ করছিলেন। তাদের মধ্যে প্রায় কয়েক ডজন কর্মী ভূপৃষ্ঠের ৩০০ মিটারেরও বেশি গভীরতায় ছিলেন।

খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসেন উদ্ধারকর্মীরা। খনিতে আটকে পড়াদের উদ্ধারে অভিযান চলছে বলে জানিয়েছে তুরস্কের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ। এখনো খনির ভেতর চাপা পড়ে আছেন অর্ধশত শ্রমিক। তাদের জীবিত উদ্ধারে সব রকম চেষ্টা করা হবে বলে আশ্বাস দেন তুর্কি জ্বালানি ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আলী আকবর মেহরাবিয়ান।

এ ঘটনায় শোক জানিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান।

তুরস্কের জ্বালানিমন্ত্রী বলেছেন, ফায়ারড্যাম্পের কারণে এ বিস্ফোরণ ঘটেছে বলে প্রাথমিক ইঙ্গিত পাওয়া গেছে।

ত্রুটিপূর্ণ বৈদ্যুতিক ট্রান্সফর্মারের কারণে এ বিস্ফোরণ ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছেন সংশ্লিষ্টরা।

এর আগে, তুরস্কের ইতহাসে সবচেয়ে প্রাণঘাতী খনি দুর্ঘটনা ঘটেছিল ২০১৪ সালে। ওই বছর দেশটির পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর সোমায় একটি খনিতে বিস্ফোরণে ৩০১ জন শ্রমিকের মৃত্যু হয়।

বিজসেন আওয়ার/১৫ অক্টোবর, ২০২২/এএইচএ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: