আন্তর্জাতিক ডেস্ক: পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের মুলতানের নিশতার মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের মর্গের ছাদ থেকে পচা-গলা অবস্থায় শতাধিক মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
এদিকে ঘটনার ছয় সদস্যের এক তদন্তে কমিটি গঠন করেছে পাক পঞ্জাব সরকার। তিন দিনের মধ্যে কমিটিকে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
জানা গেছে, সম্প্রতি মরদেহগুলোর ছবি ও ভিডিও ইন্টারনেটে ভাইরাল হয়। কেউ বলছেন শতাধিক মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আবার অনেকে বলছেন, সেখানে অন্তত আড়াইশো মরদেহ ছিল। এদিকে দেহগুলো উদ্ধার নিয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে।
এসব মৃতদেহ ঢেকেও রাখা হয়নি। এমনকি নারীদের শরীরও ঢাকা ছিল না। হাসপাতালের চিকিৎসকরা দাবি করেন, মরদেহগুলো মেডিকেল শিক্ষার্থীদের জন্য ব্যবহার করা হয়।
পাক-পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী চৌধুরী পারভেজ ইলাহি বলেছেন, মরদেহগুলো ছাদে ফেলে রেখে অমানবিক কাজ করা হয়েছে। এ ঘটনায় দায়ী কর্মীদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তবে হাসপাতালের অ্যানাটমি বিভাগের প্রধান দাবি করেন, পরিত্যক্ত দেহগুলো ময়নাতদন্তের জন্য পুলিশ তাদের দিয়েছিল। আগে হাসপাতালের হিমাগারে ৪০টি দেহ সংরক্ষণ করা যেত। বহু বছর ধরেই ফ্রিজারগুলো অকার্যকর। পাঁচটি ফ্রিজারের মধ্যে মাত্র একটি চলে এখন। সেখানে সাত থেকে আটটি মরদেহ রাখা যায়। তাই হাসপাতালের হিমাগারের উপরের দুটি ঘরে অজ্ঞাত দেহগুলো রাখা হয়েছিল।
বিজনেস আওয়ার/১৬ অক্টোবর, ২০২২/এএইচএ