আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ইরানের কুখ্যাত কারাগার হিসেবে পরিচিত ‘ইভিন প্রিজন’ এ বড় ধরনের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এছাড়া সেখানে গোলাগুলির শব্দও পাওয়া যাচ্ছে। বিস্ফোরণ এবং আগুনের ধোঁয়া বের হতে দেখা গেছে। ইরানে পুলিশি হেফাজতে কুর্দি নারী মাহাশা আমিনির মৃত্যুর প্রতিবাদে দেশজুড়ে চলা বিক্ষোভের মধ্যেই খবরটি এলো।
পশ্চিম এশিয়ার এই দেশটির রাজনৈতিক বন্দি, সাংবাদিক এবং বিদেশি নাগরিকদের বন্দি রাখার জন্য ইরানের কুখ্যাত এই কারাগারটি পরিচিত।
রোববার (১৬ অক্টোবর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
বিবিসির প্রতিবেদক জানিয়েছেন, কুখ্যাত কারাগারটিতে কী চলছে তা এখনও স্পষ্ট হওয়া যায়নি। সরকারও এ বিষয়ে চুপ রয়েছে। মাহাশার মৃত্যুর প্রতিবাদে আন্দোলকারীদের অনেককেই ইভিন প্রিজনে রাখা হয়েছে। তারাই ভেতরে বিক্ষোভ এবং অগ্নিসংযোগ করতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, ইভিন প্রিজনে অন্যান্যদের পাশাপাশি রাজনৈতিক, সাংবাদিক, বিদেশি বন্দিদের রাখা হয়।
ইরানের সরকারবিরোধী একটি মনিটরিং গ্রুপে পোস্ট করা ভিডিওতে দেখা গেছে, কারাগারের বাইরে থেকে জোরেশোরেই সরকারবিরোধী স্লোগান শোনা যায়। আরেকটি ভিডিওতে গুলির শব্দ এবং বিস্ফোরণ শোনা গেছে।
তেহরানের গভর্নর রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনকে বলেন, এটি ছোট একটি দাঙ্গা। তবে পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক।
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত কারাগারের ভেতর থেকে আগুনের ধোঁয়া বের হওয়ার কথা জানিয়ে পরিস্থিতিকে এখনও স্বাভবিক বলছে না একাধিক আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম। বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, এখনও বিস্ফোরণের শব্দ আসছে কারাগার থেকে।
দাঙ্গা পুলিশকে ইভিন কারাগারে ঢুকতে দেখা গেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ইতোমধ্যে বিশেষ বাহিনীকে কারাগারের আশেপাশে মোতায়েন করা হয়েছে। এক প্রত্যক্ষদর্শী বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, অ্যাম্বুলেন্সেও প্রবেশ করেছে কারাগারে।
তবে কিছু বন্দির পরিবার বিবিসিকে জানিয়েছে, তারা তাদের আত্মীয়দের সাথে ফোনে যোগাযোগ করতে পারছেন না। এর আগে সাধারণত তারা সহজেই বন্দিদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারতেন। আর তাই কারাগারের চারপাশে ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়েছে বলে মনে হচ্ছে।
এছাড়া কারাগারের দিকে যাওয়ার রাস্তাও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে বিবিসি।
বিজনেস আওয়ার/১৬ অক্টোবর, ২০২২/এএইচএ