বিজনেস আওয়ার দেস্ক: শীতের আবহাওয়ায় কিংবা অতিরিক্ত বিউটি প্রোডাক্ট ব্যবহারে তা হয়ে যায় আরো রুক্ষ। এই সমস্যা সমাধানে নিয়মিত ব্যবহার করতে পারেন গোলাপজল। এটি ত্বককে প্রাকৃতিকভাবে নরম, কোমল ও মসৃণ করে তুলতে সাহায্য করে।
রোজকার রূপচর্চায় ক্লেনজিং, টোনিং, ময়েশ্চারাইজিং- এই তিনটি ধাপ বাধ্যতামূলক। গোলাপজল ত্বকের পিএইচ ভারসাম্য ঠিক রাখতে দারুণভাবে কাজ করে। এতে থাকা ‘অ্যাসট্রিনজেন্ট’ উপাদান রোমকুপের ভিতরে ঢুকে বের করে আনে তেল ও ময়লা। নিয়মিত গোলাপজলের ব্যবহার ত্বকের ব্ল্যাকহেডস, হোয়াইটহেডস ও ব্রণের মত সমস্যা কমাতে সাহায্য করে। তাই বলা গোলাপজল যেকোন রাসায়নিক উপাদান মিশ্রিত টোনারের চেয়ে বেশি উপকারী। এটি কিছুক্ষণ মুখে লাগিয়ে রাখলেই হয়।
দেখে নেওয়া যাক কীভাবে গোলাপজল ব্যবহার করবে তার কিছু টিপস-
* গোলাপজলে থাকা অ্যান্টিব্যাক্টেরিয়াল উপাদান, ত্বকে বিভিন্নভাবে তৈরি হওয়া ক্ষত এবং সেটা থেকে তৈরি দাগ মিলিয়ে দিতে কাজ করে। আবার এতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান ত্বকের প্রতিটি কোষ সচেতনভাবে সজীব ও সুস্থ রাখে সেই সাথে ত্বককে করে তোলে ঝলমলে প্রাণবন্ত।
* চোখের নিচে অনেকেরই ফোলা ভাব থাকে। চোখের নিচের চামড়া পাতলা হবার কারণে এই ফোলাভাব সহজেই বোঝা যায়। অনেক সময় ভীষন রকম ক্লান্তি ও ঘুমের ঘাটতির কারণে চোখের নিচের অংশ ফুলে যায়। এক্ষেত্রে গোলাপজলের বোতল ফ্রীজে রেখে ঠান্ডা করে নিয়ে তুলা দিয়ে ভিজিয়ে তা চোখের নিচে লাগান। এতে স্বস্তি পাবার সাথে সাথে ফোলাভাবও কমে আসবে।
* ঘামে ভেজা মিখ বা শুকনো যাইহোক না কেন যদি সামান্য গোলাপজল স্প্রে করেন তাহলেই পেয়ে যাবেন চটজলদি সমাধান।
* মেকআপ রিমুভার হিসেবেও গোলাপজল ব্যবহার করতে পারেন। এক্ষেত্রে এক চামচ নারকেল তেল বা আমন্ড অয়েলের সঙ্গে দুই টেবিল চামচ গোলাপজল মিশিয়ে ত্বকে ব্যবহার করুন। মেকআপ যত কড়াই হোক না কেন এই মিশ্রণে জব্দ হবেই। ত্বক শুষ্ক বা তৈলাক্ত যেমনই হোক না কেন ত্বককে রুক্ষ না করে এটি যত্নসহকারে মেকআপ তুলতে ভুমিকা রাখে।
* শীত বা গ্রীষ্ম যেকোন ঋতুতেই গোলাপজল ব্যবহার করা যায়। এতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ত্বককে বার্ধক্যজনিত সমস্যা থেকে রক্ষা করে থাকে।
বিজনেস আওয়ার/১৭ অক্টোবর, ২০২২/এএইচএ