ঢাকা , বুধবার, ০৬ অগাস্ট ২০২৫, ২২ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নির্বাচনে হেরে ভোটারদের কাছে টাকা ফেরত চেয়ে ফেসবুকে স্ট্যাটাস!

  • পোস্ট হয়েছে : ১১:১৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৯ অক্টোবর ২০২২
  • 215

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক: গত সোমবার (১৭ অক্টোবর) টাঙ্গাইল জেলা পরিষদে সকাল ৯টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। বিরতিহীনভাবে ভোটগ্রহণ চলে দুপুর ২টা পর্যন্ত। এতে ১১ নম্বর ওয়ার্ডে বাসাইল উপজেলা থেকে সাধারণ সদস্য প্রার্থী ছিলেন, রফিকুল ইসলাম (সংগ্রাম)। নির্বাচনে বিপুল ভোটের ব্যবধানে পরাজিত হয়।

ভোটে পরাজিত হয়ে বিতরণকৃত টাকা ফেরত চেয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছেন মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম সংগ্রাম নামে এক পরাজিত সদস্য প্রার্থী।

বুধবার (১৯ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম তার ফেরিভাইড ফেসবুক Rafiqul Islam থেকে এ স্ট্যাটাস দেন।

মুহূর্তের মধ্যেই স্ট্যাটাসটি স্থানীয়দের মাঝে ভাইরাল হয়। স্ট্যাটাসটিতে অনেকেই নেতিবাচক মতামত প্রকাশ করেন।

স্ট্যাটাসটি তুলে ধরা হলো- জেলা পরিষদ নির্বাচন (বাসাইল) সদস্য-১১। আমরা ৪ জন প্রার্থী ছিলাম। ভোটার দিল ৯৪ জন। দিন শেষে জানা গেল, প্রত্যেক প্রার্থী ৫০ থেকে ৬০ জন ভোটারকে টাকা দিয়েছে। তারমধ্যে আমাকে ৬০ জন ভোটার কথা দিলেও এর মধ্যে কম বেশি ৫৫ জন ভোটার আমার কাছ থেকে টাকা গ্রহণ করলো। ভোট দিল মাত্র ৭ জনে। এই হলো ভোটারদের আসল চরিত্র। পৃথিবীর সব কিছুই একবার দেখলে চেনা যায়, শুরু মানুষ বাদে। আমাকে যারা ভোট দেননি মনে হয় আপনাদের নামের তালিকা হওয়ার আগে আমার টাকা ফেরত দেওয়া উচিত। আপনারা না জনপ্রতিনিধি! ভোট আপনি যাকে খুশি তাকে দেন, এটা আপনাদের অধিকার, তাই বলে টাকা নিবেন চার জনের কাছ থেকে ভোট দিবেন একজনকে। এটা কেমন চরিত্র আপনাদের? আপনাদের কাছ থেকে আপনার এলাকার জনগন কি সেবা পেতে পারে। আল্লাহ তুমি আমাদের সবাইকে হেদায়েত দান করে “মানুষ হওয়ার তৌফিক দান করো”

এ বিষয়ে পরাজিত প্রার্থী রফিকুল ইসলাম সংগ্রাম বলেন, স্ট্যাটাসটি দেওয়ার পর টাকা গ্রহণকারী অনেকেই আমাকে টাকা ফেরত দিতে চেয়ে ফোন দিয়েছেন। অনেকেই আজ রাতের মধ্যেই টাকা ফেরত দেবে বলে অঙ্গিকার করেছেন। এ জন্য আমি স্ট্যাটাসটি সরিয়ে নিয়েছি।

বাসাইলের প্রিজাইটিং অফিসার মুহাম্মদ বাবুল হাছান বলেন, নির্বাচনের আগে ভোটারদের পক্ষে নিতে কেউ টাকা লেদদেন করেছেন কিনা সে বিষয় জানা নেই। গতকাল নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার আগে কেউ এ বিষয়ে কোনো অভিযোগ করেননি বলেও তিনি জানান।

উল্লেখ, টাঙ্গাইল জেলা পরিষদ নির্বাচন ১১ নম্বর ওয়ার্ড বাসাইলে মোট ভোটার ছিল ৯৪ জন। পাঁচ প্রার্থীর মধ্যে ৩ প্রার্থীরই জামানত বাজেয়াপ্ত হয়। উক্ত সদস্য পদে মো. নাছির খান ৫৫ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন, নিকটতম প্রার্থী মোহাম্মদ হোসাইন খান পেয়েছেন ২১ ভোট, মিজানুর রহমান খান পেয়েছেন ১১ ভোট, মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম পেয়েছেন ৭ ভোট ও আতিকুর রহমান কোনো ভোটই পাননি।

বিজনেস আওয়ার/১৯ অক্টোবর, ২০২২/এএইচএ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

নির্বাচনে হেরে ভোটারদের কাছে টাকা ফেরত চেয়ে ফেসবুকে স্ট্যাটাস!

পোস্ট হয়েছে : ১১:১৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৯ অক্টোবর ২০২২

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক: গত সোমবার (১৭ অক্টোবর) টাঙ্গাইল জেলা পরিষদে সকাল ৯টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। বিরতিহীনভাবে ভোটগ্রহণ চলে দুপুর ২টা পর্যন্ত। এতে ১১ নম্বর ওয়ার্ডে বাসাইল উপজেলা থেকে সাধারণ সদস্য প্রার্থী ছিলেন, রফিকুল ইসলাম (সংগ্রাম)। নির্বাচনে বিপুল ভোটের ব্যবধানে পরাজিত হয়।

ভোটে পরাজিত হয়ে বিতরণকৃত টাকা ফেরত চেয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছেন মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম সংগ্রাম নামে এক পরাজিত সদস্য প্রার্থী।

বুধবার (১৯ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম তার ফেরিভাইড ফেসবুক Rafiqul Islam থেকে এ স্ট্যাটাস দেন।

মুহূর্তের মধ্যেই স্ট্যাটাসটি স্থানীয়দের মাঝে ভাইরাল হয়। স্ট্যাটাসটিতে অনেকেই নেতিবাচক মতামত প্রকাশ করেন।

স্ট্যাটাসটি তুলে ধরা হলো- জেলা পরিষদ নির্বাচন (বাসাইল) সদস্য-১১। আমরা ৪ জন প্রার্থী ছিলাম। ভোটার দিল ৯৪ জন। দিন শেষে জানা গেল, প্রত্যেক প্রার্থী ৫০ থেকে ৬০ জন ভোটারকে টাকা দিয়েছে। তারমধ্যে আমাকে ৬০ জন ভোটার কথা দিলেও এর মধ্যে কম বেশি ৫৫ জন ভোটার আমার কাছ থেকে টাকা গ্রহণ করলো। ভোট দিল মাত্র ৭ জনে। এই হলো ভোটারদের আসল চরিত্র। পৃথিবীর সব কিছুই একবার দেখলে চেনা যায়, শুরু মানুষ বাদে। আমাকে যারা ভোট দেননি মনে হয় আপনাদের নামের তালিকা হওয়ার আগে আমার টাকা ফেরত দেওয়া উচিত। আপনারা না জনপ্রতিনিধি! ভোট আপনি যাকে খুশি তাকে দেন, এটা আপনাদের অধিকার, তাই বলে টাকা নিবেন চার জনের কাছ থেকে ভোট দিবেন একজনকে। এটা কেমন চরিত্র আপনাদের? আপনাদের কাছ থেকে আপনার এলাকার জনগন কি সেবা পেতে পারে। আল্লাহ তুমি আমাদের সবাইকে হেদায়েত দান করে “মানুষ হওয়ার তৌফিক দান করো”

এ বিষয়ে পরাজিত প্রার্থী রফিকুল ইসলাম সংগ্রাম বলেন, স্ট্যাটাসটি দেওয়ার পর টাকা গ্রহণকারী অনেকেই আমাকে টাকা ফেরত দিতে চেয়ে ফোন দিয়েছেন। অনেকেই আজ রাতের মধ্যেই টাকা ফেরত দেবে বলে অঙ্গিকার করেছেন। এ জন্য আমি স্ট্যাটাসটি সরিয়ে নিয়েছি।

বাসাইলের প্রিজাইটিং অফিসার মুহাম্মদ বাবুল হাছান বলেন, নির্বাচনের আগে ভোটারদের পক্ষে নিতে কেউ টাকা লেদদেন করেছেন কিনা সে বিষয় জানা নেই। গতকাল নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার আগে কেউ এ বিষয়ে কোনো অভিযোগ করেননি বলেও তিনি জানান।

উল্লেখ, টাঙ্গাইল জেলা পরিষদ নির্বাচন ১১ নম্বর ওয়ার্ড বাসাইলে মোট ভোটার ছিল ৯৪ জন। পাঁচ প্রার্থীর মধ্যে ৩ প্রার্থীরই জামানত বাজেয়াপ্ত হয়। উক্ত সদস্য পদে মো. নাছির খান ৫৫ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন, নিকটতম প্রার্থী মোহাম্মদ হোসাইন খান পেয়েছেন ২১ ভোট, মিজানুর রহমান খান পেয়েছেন ১১ ভোট, মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম পেয়েছেন ৭ ভোট ও আতিকুর রহমান কোনো ভোটই পাননি।

বিজনেস আওয়ার/১৯ অক্টোবর, ২০২২/এএইচএ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: