ঢাকা , সোমবার, ০৭ অক্টোবর ২০২৪, ২২ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মিয়ানমারে সঙ্গীত উৎসবে বিমান হামলা, নিহত অর্ধশতাধিক

  • পোস্ট হয়েছে : ০৩:২৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৪ অক্টোবর ২০২২
  • 34

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: মিয়ানমারের উত্তরাঞ্চলীয় রাজ্য কাচিনে একটি সঙ্গীত উৎসবে বিমান হামলা চালিয়েছে দেশটির সামরিক বাহিনী। এতে ৫০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

রোববার (২৩ অক্টোবর) কাচিনের হপাকান্ত শহরে সঙ্গীত উৎসবে জান্তা বাহিনীর বিমান হামলায় এই হতাহতের ঘটনা ঘটে। স্পেনে নির্বাসিত মিয়ানমারের একজন সাংবাদিক তার ভেরিফায়েড টুইটার অ্যাকাউন্টে কাচিনে জান্তার বিমান হামলার তথ্য জানিয়েছেন।

এছাড়া থাইল্যান্ডভিত্তিক মিয়ানমারের স্থানীয় সংবাদমাধ্যম দ্য ইরাবতি ও চীনা সংবাদমাধ্যম সিজিটিএনও এই বিমান হামলার তথ্য প্রকাশ করেছে। তবে সেখানে বিমান হামলায় মৃতের সংখ্যা ৩০ জনের বেশি বলে জানানো হয়েছে।

কাচিনের স্থানীয় সংবাদমাধ্যম কাচিন নিউজ গ্রুপের বরাত দিয়ে সিজিটিএন বলছে, কাচিন প্রদেশের হপাকান্ত শহরে অনুষ্ঠিত সঙ্গীত উৎসবে রোববার বিমান হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে কাচিন জাতিগোষ্ঠীর অনেক বিনোদনকারী ও শিল্পীসহ ৩০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন।

এদিকে টুইটারে দেওয়া এক বার্তায় বিষয়টি সামনে আনেন মিয়ানমারের নির্বাসিত সাংবাদিক মরাট কিয়াও থু। সোমবার সকালে এক টুইটে তিনি বলেন, ‘মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর বিমান হামলায় গত রাতে হপাকান্ত শহরের বিখ্যাত স্থানীয় কাচিন শিল্পী এবং কেআইএ সৈন্যসহ কমপক্ষে ৩০ জন নিহত হয়েছেন। নিহতরা কাচিন ইন্ডিপেনডেন্স অর্গানাইজেশনের ৬২তম মহড়ায় উপস্থিত ছিলেন।’

পরে আরেক টুইটে বিমান হামলায় মৃতের সংখ্যা ৫০ জনেরও বেশি বলে জানান কিয়াও থু। তিনি বলেন, ‘আপডেট: মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৫০ জনেরও বেশি হয়েছে এবং এখনও গণনা চলছে। মৃতের সংখ্যা নিয়ে কাচিন ইন্ডিপেনডেন্স অর্গানাইজেশনের (কেআইও) আনুষ্ঠানিক ঘোষণা এখনও প্রকাশিত হয়নি।’

প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের ১ ফেব্রুয়ারি অভ্যুত্থানের মাধ্যমে মিয়ানমারের ক্ষমতাসীন গণতান্ত্রিক সরকারকে হটিয়ে ক্ষমতা দখল করে দেশটির সামরিক বাহিনী। অভ্যুত্থানের পর মিয়ানমারের কাচিন, শান-সহ বেশ কিছু প্রদেশ ফের অস্থিতিশীল হয়ে উঠে।

এরপর থেকে মিয়ানমারের কাচিন প্রদেশের বিভিন্ন স্থানে প্রায়ই দেশটির সেনাবাহিনীর সঙ্গে স্থানীয় বিদ্রোহী গোষ্ঠী কাচিন ইন্ডিপেনডেন্স আর্মির (কেআইএ) ব্যাপক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটছে। কাচিন বিদ্রোহী অধ্যুষিত এসব এলাকায় মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর উপস্থিতিও বাড়ানো হয়।

বিজনেস আওয়ার/২৪ অক্টোবর, ২০২২/এএইচএ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

মিয়ানমারে সঙ্গীত উৎসবে বিমান হামলা, নিহত অর্ধশতাধিক

পোস্ট হয়েছে : ০৩:২৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৪ অক্টোবর ২০২২

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: মিয়ানমারের উত্তরাঞ্চলীয় রাজ্য কাচিনে একটি সঙ্গীত উৎসবে বিমান হামলা চালিয়েছে দেশটির সামরিক বাহিনী। এতে ৫০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

রোববার (২৩ অক্টোবর) কাচিনের হপাকান্ত শহরে সঙ্গীত উৎসবে জান্তা বাহিনীর বিমান হামলায় এই হতাহতের ঘটনা ঘটে। স্পেনে নির্বাসিত মিয়ানমারের একজন সাংবাদিক তার ভেরিফায়েড টুইটার অ্যাকাউন্টে কাচিনে জান্তার বিমান হামলার তথ্য জানিয়েছেন।

এছাড়া থাইল্যান্ডভিত্তিক মিয়ানমারের স্থানীয় সংবাদমাধ্যম দ্য ইরাবতি ও চীনা সংবাদমাধ্যম সিজিটিএনও এই বিমান হামলার তথ্য প্রকাশ করেছে। তবে সেখানে বিমান হামলায় মৃতের সংখ্যা ৩০ জনের বেশি বলে জানানো হয়েছে।

কাচিনের স্থানীয় সংবাদমাধ্যম কাচিন নিউজ গ্রুপের বরাত দিয়ে সিজিটিএন বলছে, কাচিন প্রদেশের হপাকান্ত শহরে অনুষ্ঠিত সঙ্গীত উৎসবে রোববার বিমান হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে কাচিন জাতিগোষ্ঠীর অনেক বিনোদনকারী ও শিল্পীসহ ৩০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন।

এদিকে টুইটারে দেওয়া এক বার্তায় বিষয়টি সামনে আনেন মিয়ানমারের নির্বাসিত সাংবাদিক মরাট কিয়াও থু। সোমবার সকালে এক টুইটে তিনি বলেন, ‘মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর বিমান হামলায় গত রাতে হপাকান্ত শহরের বিখ্যাত স্থানীয় কাচিন শিল্পী এবং কেআইএ সৈন্যসহ কমপক্ষে ৩০ জন নিহত হয়েছেন। নিহতরা কাচিন ইন্ডিপেনডেন্স অর্গানাইজেশনের ৬২তম মহড়ায় উপস্থিত ছিলেন।’

পরে আরেক টুইটে বিমান হামলায় মৃতের সংখ্যা ৫০ জনেরও বেশি বলে জানান কিয়াও থু। তিনি বলেন, ‘আপডেট: মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৫০ জনেরও বেশি হয়েছে এবং এখনও গণনা চলছে। মৃতের সংখ্যা নিয়ে কাচিন ইন্ডিপেনডেন্স অর্গানাইজেশনের (কেআইও) আনুষ্ঠানিক ঘোষণা এখনও প্রকাশিত হয়নি।’

প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের ১ ফেব্রুয়ারি অভ্যুত্থানের মাধ্যমে মিয়ানমারের ক্ষমতাসীন গণতান্ত্রিক সরকারকে হটিয়ে ক্ষমতা দখল করে দেশটির সামরিক বাহিনী। অভ্যুত্থানের পর মিয়ানমারের কাচিন, শান-সহ বেশ কিছু প্রদেশ ফের অস্থিতিশীল হয়ে উঠে।

এরপর থেকে মিয়ানমারের কাচিন প্রদেশের বিভিন্ন স্থানে প্রায়ই দেশটির সেনাবাহিনীর সঙ্গে স্থানীয় বিদ্রোহী গোষ্ঠী কাচিন ইন্ডিপেনডেন্স আর্মির (কেআইএ) ব্যাপক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটছে। কাচিন বিদ্রোহী অধ্যুষিত এসব এলাকায় মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর উপস্থিতিও বাড়ানো হয়।

বিজনেস আওয়ার/২৪ অক্টোবর, ২০২২/এএইচএ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: