ঢাকা , শনিবার, ২৬ জুলাই ২০২৫, ১১ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

জেলা পর্যায়ে ফুটবল নিয়ে সালাহউদ্দিনের কড়া বার্তা

  • পোস্ট হয়েছে : ০৪:০৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩০ অক্টোবর ২০২২
  • 64

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক: জেলা পর্যায়ে ফুটবল চালু না রাখলে বাতিল করা হবে কাউন্সিলরশিপ। কাজী সালাহউদ্দিনের এমন হুঁশিয়ারির মধ্য দিয়ে শেষ হলো বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) বর্তমান কার্য নির্বাহী কমিটির দ্বিতীয় বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম)। গেল অর্থ বছরের বাজেট পাস ও চলতি অর্থ বছরের বাজেট ঘোষণা করা হয় এজিএমে।

কাজী সালাহউদ্দিনের বর্তমান মেয়াদে এজিএম হচ্ছে নিয়মিত। যার ফলে কাউন্সিলরদের সঙ্গে দূরত্ব কমছে ফেডারেশনের। উন্নতি ঘটছে তৃণমূল ফুটবলে। এরপরও যারা স্থানীয় পর্যায়ে খেলা আয়োজনে ব্যর্থ তাদের জন্য কড়া বার্তা বাফুফে প্রধানের। নিজেদের দায়িত্ব পালন না করে, জেলাগুলো বাফুফের দিকে তাকিয়ে থাকে বলে তিনি হতাশ।

রোবাবর (৩০ অক্টোবর) রাজধানীর একটি হোটেলে বাফুফে সভাপতি বলেন, ‘সবচেয়ে বড় সমস্যা জেলা নিয়ে। আমরা যে লিগ করি, এটা করতে ফিফা কিন্তু আমাকে বাধ্য করে না। তারপরও আমি এটা আয়োজন করি। এটাই আমার কাজ। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে, অনেকে নিজেদের জেলায় লিগ করেন না, উনারা তাকিয়ে থাকে আমাদের দিকে, আমরা কীভাবে সাহায্য করব, সেদিকে।

কাউন্সিলরসের সাধারণ সভায় স্বতস্ফূর্ত অংশ থাকলেও দাবি-দাওয়া উপস্থাপন নিয়ে ছিল মিশ্র প্রতিক্রিয়া। তাদের দাবি, সামগ্রিকভাবে ফুটবলের উন্নয়ন করতে গেলে প্রাধান্য দিতে হবে তাদের মতামত।

তারা বলছেন, ডেলিগেটদের বক্তব্য আগের রাতেই নির্ধারণ হয়ে গেছে। ফুটবল নিয়ে যাদের কিছু বলার কথা, তাদেরকে কোনো সুযোগই দেয়া হয়নি। এতে আমাদের ফুটবলের মানোন্নয়নের বিষয়গুলো উত্থাপন করা হয়নি। এজন্য আমরা ক্ষুব্ধ। শতাধিক কাউন্সিলর এখানে উপস্থিত ছিলেন। তাদের কাছ থেকে ক্লিয়ারেন্স নেয়া এবং এই এক বছরের কী করা হলো না হলো, সব কিছু বলা এবং তাদের কাছ থেকে কোনো ফিডব্যাক থাকলে, সেগুলো নেয়ার প্রয়োজন ছিল।

বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে নিয়ে বাফুফে বলছে ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও সময় স্বল্পতার জন্য সবার মত প্রকাশের সুযোগ তৈরি করে দেয়া সম্ভব হয়নি।

বাফুফে সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম সোহাগ বলেন, সময় স্বল্পতার কারণে যারা কথা বলতে পারেননি, তাদেরকে ভবিষ্যতে সুযোগ করে দেয়া হবে।

এজিএমে ১৪৭ কাউন্সিলের মধ্যে ছিলেন ১২৬। তাদের উপস্থিতিতে পাস হয়েছে গেল বছরের ৩৩ কোটি টাকার বাজেট এবং উত্থাপিত হয়েছে প্রায় ৫০ কোটি টাকার আগামী অর্থ বছরের খরচ।

বিজনেস আওয়ার/৩০ অক্টোবর, ২০২২/এএইচএ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

জেলা পর্যায়ে ফুটবল নিয়ে সালাহউদ্দিনের কড়া বার্তা

পোস্ট হয়েছে : ০৪:০৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩০ অক্টোবর ২০২২

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক: জেলা পর্যায়ে ফুটবল চালু না রাখলে বাতিল করা হবে কাউন্সিলরশিপ। কাজী সালাহউদ্দিনের এমন হুঁশিয়ারির মধ্য দিয়ে শেষ হলো বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) বর্তমান কার্য নির্বাহী কমিটির দ্বিতীয় বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম)। গেল অর্থ বছরের বাজেট পাস ও চলতি অর্থ বছরের বাজেট ঘোষণা করা হয় এজিএমে।

কাজী সালাহউদ্দিনের বর্তমান মেয়াদে এজিএম হচ্ছে নিয়মিত। যার ফলে কাউন্সিলরদের সঙ্গে দূরত্ব কমছে ফেডারেশনের। উন্নতি ঘটছে তৃণমূল ফুটবলে। এরপরও যারা স্থানীয় পর্যায়ে খেলা আয়োজনে ব্যর্থ তাদের জন্য কড়া বার্তা বাফুফে প্রধানের। নিজেদের দায়িত্ব পালন না করে, জেলাগুলো বাফুফের দিকে তাকিয়ে থাকে বলে তিনি হতাশ।

রোবাবর (৩০ অক্টোবর) রাজধানীর একটি হোটেলে বাফুফে সভাপতি বলেন, ‘সবচেয়ে বড় সমস্যা জেলা নিয়ে। আমরা যে লিগ করি, এটা করতে ফিফা কিন্তু আমাকে বাধ্য করে না। তারপরও আমি এটা আয়োজন করি। এটাই আমার কাজ। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে, অনেকে নিজেদের জেলায় লিগ করেন না, উনারা তাকিয়ে থাকে আমাদের দিকে, আমরা কীভাবে সাহায্য করব, সেদিকে।

কাউন্সিলরসের সাধারণ সভায় স্বতস্ফূর্ত অংশ থাকলেও দাবি-দাওয়া উপস্থাপন নিয়ে ছিল মিশ্র প্রতিক্রিয়া। তাদের দাবি, সামগ্রিকভাবে ফুটবলের উন্নয়ন করতে গেলে প্রাধান্য দিতে হবে তাদের মতামত।

তারা বলছেন, ডেলিগেটদের বক্তব্য আগের রাতেই নির্ধারণ হয়ে গেছে। ফুটবল নিয়ে যাদের কিছু বলার কথা, তাদেরকে কোনো সুযোগই দেয়া হয়নি। এতে আমাদের ফুটবলের মানোন্নয়নের বিষয়গুলো উত্থাপন করা হয়নি। এজন্য আমরা ক্ষুব্ধ। শতাধিক কাউন্সিলর এখানে উপস্থিত ছিলেন। তাদের কাছ থেকে ক্লিয়ারেন্স নেয়া এবং এই এক বছরের কী করা হলো না হলো, সব কিছু বলা এবং তাদের কাছ থেকে কোনো ফিডব্যাক থাকলে, সেগুলো নেয়ার প্রয়োজন ছিল।

বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে নিয়ে বাফুফে বলছে ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও সময় স্বল্পতার জন্য সবার মত প্রকাশের সুযোগ তৈরি করে দেয়া সম্ভব হয়নি।

বাফুফে সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম সোহাগ বলেন, সময় স্বল্পতার কারণে যারা কথা বলতে পারেননি, তাদেরকে ভবিষ্যতে সুযোগ করে দেয়া হবে।

এজিএমে ১৪৭ কাউন্সিলের মধ্যে ছিলেন ১২৬। তাদের উপস্থিতিতে পাস হয়েছে গেল বছরের ৩৩ কোটি টাকার বাজেট এবং উত্থাপিত হয়েছে প্রায় ৫০ কোটি টাকার আগামী অর্থ বছরের খরচ।

বিজনেস আওয়ার/৩০ অক্টোবর, ২০২২/এএইচএ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: