ঢাকা , মঙ্গলবার, ০৫ অগাস্ট ২০২৫, ২০ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

দুর্নীতির অভিযোগে পদ হারালেন ইউপি চেয়ারম্যান

  • পোস্ট হয়েছে : ১২:৩৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১ নভেম্বর ২০২২
  • 96

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক: দিনাজপুরের বিরামপুর উপজেলার দিওড় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যানের পদ শূন্য ঘোষণা করা হয়েছে। ইউপি চেয়ারম্যানে আব্দুল মালেকের বিরুদ্ধে সরকারি চাল আত্মসাৎ, অনৈতিকভাবে উপকারভোগীদের কাছ থেকে টাকা আদায়সহ বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ প্রমাণ হওয়ায় এসিদ্ধান্ত নিয়েছে স্থায়ীয় সরকার।

একই সঙ্গে স্থায়ীয় সরকার আইন মোতাবেক চেয়ারম্যানের পদটি শূন্যের গ্রেজেট প্রকাশ করতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

সোমবার (৩১ অক্টোবর) স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব জেসমীন প্রধানের সই করা এক চিঠির মাধ্যমে দিওড় ইউপির চেয়ারম্যানের পদ শূন্য ঘোষণা করা হয়।

ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল মালেক ২০২১ সালের নভেম্বর মাসে অনুষ্ঠিত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করে বিজয়ী হন।

এর আগে ওই ইউনিয়ন পরিষদের ৯ ইউপি সদস্য চেয়ারম্যান মালেকের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়মের ব্যবস্থা নিতে স্থানীয় সরকার বরাবর অনাস্থা প্রস্তাব করেন। এছাড়া একই সময় চেয়ারম্যানের অপসারণ চেয়ে সাবেক দুই ইউপি চেয়ারম্যানসহ ওই ইউনিয়নের ১ হাজারের বেশি জনগণ উপজেলা পরিষদের সামনে মানববন্ধন করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মাধ্যমে স্বারকলিপি দেন।

জেসমীন প্রধান স্বাক্ষরিত চিঠিতে বলা হয়, দিওড় ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল মালেক মিয়ার বিরুদ্ধে ইউনিয়ন পরিষদের সভার কার্যবিবরণী লেখা, সাধারণ সদস্য ও সংরক্ষিত আসনের সদস্যদের ছাড়াই স্থায়ী কমিটির সভা করা, প্রকল্প কমিটির সভা ও এলজিএসপি সভাসহ অন্যান্য সভা আহ্বান না করা, বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা ও মাতৃত্বকালীন ভাতা দেওয়ার সুপারিশের ক্ষেত্রে উপকারভোগীদের কাছ থেকে টাকা নেওয়া, পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর উপহার, ভিজিডি ও ভিজিএফের ৫৭ বস্তা চাল বিতরণ না করে আত্মসাতের উদ্দেশ্যে রেখে দেওয়াসহ বেশ কিছু অভিযোগের ভিত্তিতে ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব করা হয়েছিল।

এতে আরও বলা হয়, ওই ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলো প্রমাণিত হওয়ায় জেলা প্রশাসকের কাছে পাঠানো অনাস্থা প্রস্তাবটি অনুমোদিত হয়েছে। সেক্ষেত্রে চেয়ারম্যান আবদুল মালেক মিয়ার পদটি স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইন অনুযায়ী শূন্য ঘোষণা করা হলো।

দিওড় ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল মালেকের কাছে মোবাইলফোনে বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে ইউপি সদস্য কর্তৃক আনীত অভিযোগ মিথ্যা ও উদ্দেশ্যপ্রণোদি ’ আমি ঢাকায় আছি। পদ শূন্যের বিষয়ে হাইকোর্টে রিট করছি।

বিরামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) পরিমল কুমার সরকার বলেন, বিধি মোতাবেক দিওড় ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের পদটি শূন্য ঘোষণা করেছে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়। দ্রুত গেজের প্রকাশ করতে মন্ত্রণালয়ের চিঠিতে সুপারিশ করা হবে।

বিজনেস আওয়ার/০১ নভেম্বর, ২০২২/এএইচএ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

দুর্নীতির অভিযোগে পদ হারালেন ইউপি চেয়ারম্যান

পোস্ট হয়েছে : ১২:৩৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১ নভেম্বর ২০২২

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক: দিনাজপুরের বিরামপুর উপজেলার দিওড় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যানের পদ শূন্য ঘোষণা করা হয়েছে। ইউপি চেয়ারম্যানে আব্দুল মালেকের বিরুদ্ধে সরকারি চাল আত্মসাৎ, অনৈতিকভাবে উপকারভোগীদের কাছ থেকে টাকা আদায়সহ বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ প্রমাণ হওয়ায় এসিদ্ধান্ত নিয়েছে স্থায়ীয় সরকার।

একই সঙ্গে স্থায়ীয় সরকার আইন মোতাবেক চেয়ারম্যানের পদটি শূন্যের গ্রেজেট প্রকাশ করতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

সোমবার (৩১ অক্টোবর) স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব জেসমীন প্রধানের সই করা এক চিঠির মাধ্যমে দিওড় ইউপির চেয়ারম্যানের পদ শূন্য ঘোষণা করা হয়।

ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল মালেক ২০২১ সালের নভেম্বর মাসে অনুষ্ঠিত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করে বিজয়ী হন।

এর আগে ওই ইউনিয়ন পরিষদের ৯ ইউপি সদস্য চেয়ারম্যান মালেকের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়মের ব্যবস্থা নিতে স্থানীয় সরকার বরাবর অনাস্থা প্রস্তাব করেন। এছাড়া একই সময় চেয়ারম্যানের অপসারণ চেয়ে সাবেক দুই ইউপি চেয়ারম্যানসহ ওই ইউনিয়নের ১ হাজারের বেশি জনগণ উপজেলা পরিষদের সামনে মানববন্ধন করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মাধ্যমে স্বারকলিপি দেন।

জেসমীন প্রধান স্বাক্ষরিত চিঠিতে বলা হয়, দিওড় ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল মালেক মিয়ার বিরুদ্ধে ইউনিয়ন পরিষদের সভার কার্যবিবরণী লেখা, সাধারণ সদস্য ও সংরক্ষিত আসনের সদস্যদের ছাড়াই স্থায়ী কমিটির সভা করা, প্রকল্প কমিটির সভা ও এলজিএসপি সভাসহ অন্যান্য সভা আহ্বান না করা, বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা ও মাতৃত্বকালীন ভাতা দেওয়ার সুপারিশের ক্ষেত্রে উপকারভোগীদের কাছ থেকে টাকা নেওয়া, পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর উপহার, ভিজিডি ও ভিজিএফের ৫৭ বস্তা চাল বিতরণ না করে আত্মসাতের উদ্দেশ্যে রেখে দেওয়াসহ বেশ কিছু অভিযোগের ভিত্তিতে ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব করা হয়েছিল।

এতে আরও বলা হয়, ওই ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলো প্রমাণিত হওয়ায় জেলা প্রশাসকের কাছে পাঠানো অনাস্থা প্রস্তাবটি অনুমোদিত হয়েছে। সেক্ষেত্রে চেয়ারম্যান আবদুল মালেক মিয়ার পদটি স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইন অনুযায়ী শূন্য ঘোষণা করা হলো।

দিওড় ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল মালেকের কাছে মোবাইলফোনে বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে ইউপি সদস্য কর্তৃক আনীত অভিযোগ মিথ্যা ও উদ্দেশ্যপ্রণোদি ’ আমি ঢাকায় আছি। পদ শূন্যের বিষয়ে হাইকোর্টে রিট করছি।

বিরামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) পরিমল কুমার সরকার বলেন, বিধি মোতাবেক দিওড় ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের পদটি শূন্য ঘোষণা করেছে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়। দ্রুত গেজের প্রকাশ করতে মন্ত্রণালয়ের চিঠিতে সুপারিশ করা হবে।

বিজনেস আওয়ার/০১ নভেম্বর, ২০২২/এএইচএ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: