ঢাকা , মঙ্গলবার, ০৫ অগাস্ট ২০২৫, ২০ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

স্ত্রীর স্বীকৃতি পেতে স্বামীর বাড়িতে তরুণীর অনশন

  • পোস্ট হয়েছে : ০৪:২৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ২ নভেম্বর ২০২২
  • 87

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক: লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলার কাকিনাতে পারিবারিক ভাবে স্ত্রীর স্বীকৃতি পেতে এক শিক্ষার্থী স্বামীর বাড়িতে পাঁচদিন ধরে অনশন করছেন বলে জানা গেছে।

তাদের দীর্ঘ পাঁচ বছরের প্রেম পরিণয়ে প্রেমিক যুগলের গোপনে করা বিয়ের পারিবারিক স্বীকৃতি দিচ্ছেন না বলে জানিয়েছেন অনশন রত তরুণী জেরিন সীমা সোহেলী (১৯)।

স্বামী নাঈম ইসলাম লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলার কাকিনা উত্তর বাংলা কলেজগেট এলাকার প্রভাবশালী পলাশ মিয়ার ছেলে।

স্থানীয়রা ও মেয়েটির পরিবার জানায়, দীর্ঘ পাঁচ বছর আগে নাঈম ইসলাম (২৫) একই এলাকার কাঞ্চনশ্বর গ্রামের হতদরিদ্র গাড়িচালক সাইদুল ইসলামের মেয়ে জেরিন সীমা সোহেলীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন। বিভিন্ন স্থানে ঘুরতে গিয়ে একপর্যয়ে তা শারীরিক সম্পর্কে রূপ নিলে বিয়ের জন্য চাপ দেন প্রেমিকা। প্রেমিকার দাবি পূরণে গত ৭ মাস আগে লালমনিরহাট নোটারী পাবলিকের এফিডেভিট মূলে গোপনে বিয়ে করেন তারা। এরপর থেকে স্বামী-স্ত্রীর পরিচয়ে বিভিন্ন স্থানে ঘোরাফেরা করেন।

গোপনে করা বিয়েকে পারিবারিক ও সামাজিকভাবে স্বীকৃতি দিয়ে তাকে ঘরে তুলে নিতে স্বামী নাঈমকে চাপ দেন জেরিন সীমা। সেটা নিয়েও টালবাহনা শুরু করেন স্বামী নাঈম। আজ-কাল বলে সময় ক্ষেপণ করেন। এরই মাঝে বিষয়টি জানাজানি হলে স্বামী নাঈম ইসলাম তার পরিবারের চাপে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন।

অবশেষে বাধ্য হয়ে নোটারী পাবলিকের বিয়ের কাগজসহ স্ত্রীর দাবি নিয়ে গত ২৮ অক্টোবর স্বামী নাঈমের বাড়িতে ওঠেন স্ত্রী জেরিন সীমা। নাঈমের পরিবারের সদস্যরা এ বিয়ে প্রত্যাখ্যান করে সীমার ওপর মানসিক নির্যাতন করে বাড়ির উঠানে আটকে রাখেন। বাহিরের গেটে তালা দিয়ে কারও সঙ্গে যোগাযোগ করতে দেননি তারা। সেখানেই স্ত্রীর দাবিতে গত পাঁচদিন ধরে অনশন করছেন সীমা।

জেরিন সীমার বাবা সাইদুল ইসলাম বলেন, আমার দারিদ্রতার সুযোগ নিয়ে আমার মেয়েকে স্ত্রীর মর্যাদা দিতে অস্বীকৃতি জানায় নাঈম। আমার মেয়ে শুক্রবার থেকে নাঈমের বাড়িতে অবস্থায় অনশন করছে। আমি এ ঘটনার সু-বিচার কামনা করছি।

কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এটিএম গোলাম রসুল বলেন, দুই পরিবারের সঙ্গে কথা হচ্ছে। মেয়েটির দাবিও যৌক্তিক। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা দুই পরিবারকে নিয়ে আপস করতে চেয়েছেন। তারা চেষ্টাও করছেন। তবে বিষয়টি পুলিশের নজরে রয়েছে।

বিজনেস আওয়ার/০২ নভেম্বর, ২০২২/এএইচএ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

স্ত্রীর স্বীকৃতি পেতে স্বামীর বাড়িতে তরুণীর অনশন

পোস্ট হয়েছে : ০৪:২৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ২ নভেম্বর ২০২২

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক: লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলার কাকিনাতে পারিবারিক ভাবে স্ত্রীর স্বীকৃতি পেতে এক শিক্ষার্থী স্বামীর বাড়িতে পাঁচদিন ধরে অনশন করছেন বলে জানা গেছে।

তাদের দীর্ঘ পাঁচ বছরের প্রেম পরিণয়ে প্রেমিক যুগলের গোপনে করা বিয়ের পারিবারিক স্বীকৃতি দিচ্ছেন না বলে জানিয়েছেন অনশন রত তরুণী জেরিন সীমা সোহেলী (১৯)।

স্বামী নাঈম ইসলাম লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলার কাকিনা উত্তর বাংলা কলেজগেট এলাকার প্রভাবশালী পলাশ মিয়ার ছেলে।

স্থানীয়রা ও মেয়েটির পরিবার জানায়, দীর্ঘ পাঁচ বছর আগে নাঈম ইসলাম (২৫) একই এলাকার কাঞ্চনশ্বর গ্রামের হতদরিদ্র গাড়িচালক সাইদুল ইসলামের মেয়ে জেরিন সীমা সোহেলীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন। বিভিন্ন স্থানে ঘুরতে গিয়ে একপর্যয়ে তা শারীরিক সম্পর্কে রূপ নিলে বিয়ের জন্য চাপ দেন প্রেমিকা। প্রেমিকার দাবি পূরণে গত ৭ মাস আগে লালমনিরহাট নোটারী পাবলিকের এফিডেভিট মূলে গোপনে বিয়ে করেন তারা। এরপর থেকে স্বামী-স্ত্রীর পরিচয়ে বিভিন্ন স্থানে ঘোরাফেরা করেন।

গোপনে করা বিয়েকে পারিবারিক ও সামাজিকভাবে স্বীকৃতি দিয়ে তাকে ঘরে তুলে নিতে স্বামী নাঈমকে চাপ দেন জেরিন সীমা। সেটা নিয়েও টালবাহনা শুরু করেন স্বামী নাঈম। আজ-কাল বলে সময় ক্ষেপণ করেন। এরই মাঝে বিষয়টি জানাজানি হলে স্বামী নাঈম ইসলাম তার পরিবারের চাপে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন।

অবশেষে বাধ্য হয়ে নোটারী পাবলিকের বিয়ের কাগজসহ স্ত্রীর দাবি নিয়ে গত ২৮ অক্টোবর স্বামী নাঈমের বাড়িতে ওঠেন স্ত্রী জেরিন সীমা। নাঈমের পরিবারের সদস্যরা এ বিয়ে প্রত্যাখ্যান করে সীমার ওপর মানসিক নির্যাতন করে বাড়ির উঠানে আটকে রাখেন। বাহিরের গেটে তালা দিয়ে কারও সঙ্গে যোগাযোগ করতে দেননি তারা। সেখানেই স্ত্রীর দাবিতে গত পাঁচদিন ধরে অনশন করছেন সীমা।

জেরিন সীমার বাবা সাইদুল ইসলাম বলেন, আমার দারিদ্রতার সুযোগ নিয়ে আমার মেয়েকে স্ত্রীর মর্যাদা দিতে অস্বীকৃতি জানায় নাঈম। আমার মেয়ে শুক্রবার থেকে নাঈমের বাড়িতে অবস্থায় অনশন করছে। আমি এ ঘটনার সু-বিচার কামনা করছি।

কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এটিএম গোলাম রসুল বলেন, দুই পরিবারের সঙ্গে কথা হচ্ছে। মেয়েটির দাবিও যৌক্তিক। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা দুই পরিবারকে নিয়ে আপস করতে চেয়েছেন। তারা চেষ্টাও করছেন। তবে বিষয়টি পুলিশের নজরে রয়েছে।

বিজনেস আওয়ার/০২ নভেম্বর, ২০২২/এএইচএ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: