আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বৃহস্পতিবার (১০ নভেম্বর) বলেছেন, ইউক্রেনের সেনারা দেশটির দক্ষিণাঞ্চলের ৪১টিরও বেশি শহর ও গ্রাম আবার নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে। মস্কো কৌশলগত দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ নগরী খেরসন থেকে তাদের সৈন্য প্রত্যাহার করে নেয়ার ইঙ্গিত দেয়ার পর ইউক্রেনের সৈন্যরা এসব গ্রাম ও শহরের নিয়ন্ত্রণ নিল। খবর এএফপির।
জাতির উদ্দেশে দেয়া প্রতিদিনের ভাষণে জেলেনস্কি বলেন, ‘আজ আমরা দক্ষিণাঞ্চল থেকে ভালো খবর পেয়েছি।’ তিনি বলেন, ‘চলমান প্রতিরক্ষা অভিযানের অংশ হিসেবে তাদের দেশের সেনারা ইউক্রেনের অনেক এলাকার নিয়ন্ত্রণ আবার গ্রহণ করে সেখানে দেশের পতাকা উড়িয়েছে। এসব এলাকা রাশিয়ার সেনারা নিজেদের দখলে রেখেছিল।’
জেলেনস্কি বলেন, রাশিয়ার দখলদারিত্ব থেকে ৪১টি শহর ও গ্রাম ‘মুক্ত’ করা হয়েছে।
ইউক্রেনের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, রুশ বাহিনী এসব শহরে বহু স্থল মাইন পুঁতে রেখে গেছে। এসব সরাতে বহু বছর সময় লেগে যেতে পারে।
ইউক্রেনের একজন সামরিক বিশ্লেষক ও মিডিয়া ভাষ্যকার বলেন, ইউক্রেনের সেনারা খেরসন শহরের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে বলে বৃহস্পতিবার রাতে ইঙ্গিত পাওয়া গেছে।
এদিকে ইউক্রেনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ওলেক্সি রেজনিকভ বৃহস্পতিবার বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, খেরসন শহর ছাড়তে রুশ বাহিনীর অন্তত এক সপ্তাহ সময় লাগবে।
তিনি জানান, এখনও ওই অঞ্চলে রাশিয়ার ৪০ হাজার সেনা আছে এবং গোয়েন্দা তথ্যে দেখা গেছে তাদের সেনারা শহরটিতে ও এর আশপাশে অবস্থান করছে।
এক ঘোষণায় বুধবার (৯ নভেম্বর) রাশিয়া জানিয়েছে, তারা খেরসনসহ নিপ্রো নদীর পশ্চিম তীর থেকে তাদের বাহিনীগুলো প্রত্যাহার করে নিচ্ছে।
এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্র কিয়েভের জন্য নতুন নিরাপত্তা সহায়তা প্যাকেজের অংশ হিসেবে ইউক্রেনকে ৪০ কোটি ডলার দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে। এ সহায়তা প্যাকেজে বিভিন্ন প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ও ভূমি থেকে আকাশে নিক্ষেপযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্রসহ বিভিন্ন অস্ত্র ও গোলাবারুদ রয়েছে। সম্প্রতি ইউক্রেনের গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন স্থাপনা লক্ষ্য করে রাশিয়া ব্যাপক হামলা চালানোর প্রেক্ষাপটে এ সহায়তা প্যাকেজের ঘোষণা দেয়া হলো।
বিজনেস আওয়ার/১১ নভেম্বর, ২০২২/এএইচএ