বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক: বাগেরহাটে জেলা স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নুরে আলম তানু ভূঁইয়াকে (৩৭) গুলি করে হত্যা করা হয়েছে।
শুক্রবার (১১ নভেম্বর) দিবাগত রাত সোয়া ৯টার দিকে শহরের বাসাবাটি পদ্মপুকুরের মোড় এলাকায় গুলিবিদ্ধ হন তিনি। পরে বাগেরহাট ২৫০ শয্যা জেলা হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নুরে আলম তানু ভূঁইয়া বাগেরহাট শহরের বাসাবাটি এলাকার মৃত আব্দুর রউফ ভুইয়ার ছেলে। তিনি বাগেরহাট জেলা ছাত্র দলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এবং স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক।
পরিবারের অভিযোগ আধিপত্য বিস্তার ও পূর্ব শত্রুতার জেরে প্রতিপক্ষের গুলিতে নিহত হয়েছেন স্বেচ্ছাসেবক দলের এই নেতা। তানুকে গুলি করার অভিযোগে স্থানীয় টুটুল শেখের ছেলে একাধিক মামলার আসামি ফরিদ শেখকে খুঁজছে পুলিশ।
তানুর বড় ভাই আবুল কাশেম সেলিম ভূঁইয়া বলেন, রাত ৯টার দিকে বাড়ি থেকে বের হয়ে বগা ক্লিনিকের দিকে যায় আমার ভাই তানু। কিছুক্ষণ পরই পরপর চারটা গুলির শব্দ পাই। পরে হাসপাতালে নিলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। আমাদের রাজনৈতিক প্রতিপক্ষরা এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে। আমার ভাইকে কৌশলে ডেকে নিয়ে ফরিদ গুলি করে মেরে ফেলেছে।
তানু ভূঁইয়া আন্দোলন সংগ্রামে রাজপথে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। তাই পরিকল্পিতভাবে তাকে হত্যা করা হয়েছে বলে দাবি করেন জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি এম এ সালাম।
বাগেরহাট জেলা পুলিশের গণমাধ্যম শাখার সমন্বয়ক পরিদর্শক এস এম আশরাফুল আলম বলেন, তানু ভুইয়া বিএনপি নেতা এবং চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী ছিলেন। তাঁর নামে মাদক, বিস্ফোরক ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে আটটি মামলা রয়েছে।
তিনি বলেন, ফরিদ নামের এক ব্যক্তির গুলিতে তানু ভূঁইয়া নিহত হয়েছেন। ফরিদকে আটক করতে পুলিশের একাধিক দল কাজ করছে। ফরিদের নামে হত্যাসহ বিভিন্ন অপরাধে পাঁচটি মামলা রয়েছে।
বিজনেস আওয়ার/ ১২ নভেম্বর, ২০২২/এএইচএ