ঢাকা , মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবর ২০২৪, ৭ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রাজধানীর সবকিছু যেন স্বাভাবিক!

  • পোস্ট হয়েছে : ০৫:৪৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৭ অগাস্ট ২০২০
  • 50

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক: প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাস নামে কিছু একটা যে আছে তা আর আলাদা করে প্রভাব ফেলছে না জনমনে। ভাবনাটা এমন, তারা হয়তো আক্রান্ত হয়েছেন অথবা হবেন। এটা নিয়ে আলাদা করে চিন্তার কী আছে! চিত্র বলে দেয় রাজধানীর জীবনযাত্রা এবং সার্বিক পরিবেশ এখন বেশ স্বাভাবিক।

মার্চের শুরুতে দেশে করোনা সংক্রমণের পর সতর্কতা অবলম্বন করার যে প্রবণতা দেখা গিয়েছিল তা আর নেই। সময়ের পরিক্রমায় অর্থনীতির চাকাকে সচল রাখতে গতিশীল করা হয়েছে সবকিছুকে। নেই সাধারণ ছুটি, খুলে দেওয়া হয়েছে শপিং মল, রেস্তোরাঁ, আবাসিক হোটেল। চলতে শুরু করেছে গণপরিবহন।

আগের মতো ব্যস্ত হয়ে উঠেছে বিভিন্ন অফিস এবং কলকারখানাগুলো। গেল সপ্তাহে সচিবালয়সহ সব সরকারি দপ্তরে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিয়মিতভাবে অফিস করতে বলা হয়েছে। বেসরকারি প্রতিষ্ঠান বিশেষ করে প্রযুক্তি নির্ভর প্রতিষ্ঠান ছাড়া আর কোথাও তেমন একটা হচ্ছে না হোম অফিস।

রাজধানীর সড়ক, ফুটপাত এমনকি ফুটওভার ব্রিজগুলোতে দেখা যায় সেই চিরচেনা ভিড়। অফিস, কলকারখানা খুলে যাওয়ায় রাজধানীতে কর্মমুখী মানুষের ভিড় বাড়তে শুরু করেছে। বাসের জন্য অপেক্ষমান যাত্রীদের দীর্ঘ সারি দেখা যায়। আর গণপরিবহনে যে শারীরিক দূরত্ব মানার কথা ছিল সেটাও যেন এক মরীচিকা।

শপিং মলগুলোতে এখন আর সেভাবে দেখা যায় না স্বাস্থ্যবিধি তথা শারীরিক দূরত্ব মানার প্রবণতা। হোটেল, রেস্তোরাঁগুলোর অবস্থাও একই। গেটের বাইরে ন্যূনতম হ্যান্ড স্যানিটাইজার অথবা জীবাণুনাশকও এখন আর প্রয়োগ হচ্ছে না অনেক স্থানেই। টং দোকানগুলো আবারও সেই আগের মতো চায়ের কাপে ঝড় উঠছে।

পথচারীরা জানান, করোনাকে নিয়েই যে জীবনের চাকা চালিয়ে যেতে হবে সেটা তারা একরকম বুঝে গেছেন। আর তাই সেভাবেই নিজেদের মানিয়ে নিতে চেষ্টা করছেন। এভাবেই এখন থেকে চলতে হবে। অফিস তো করতে হবে। এই করোনা নিয়েই চলতে হবে।

একটি বেসরকারি ব্যাংকের কর্মকর্তা বলেন, আগে অফিসে সবাই পিপিই, গ্লাভস, মাস্ক পরে আসতো। আমি নিজেও যেতাম। এখন শুধু মাস্ক পরি আমরা। কেউ কেউ হয়তো গ্লাভস আর ফেস শিল্ড পরে। কিন্তু সতর্কতা আর স্বাস্থ্যবিধি মানার বিষয়টি এখন আর সেভাবে নেই।

রাজধানীর এক হোটেল ব্যবসায়ী বলেন, করোনার কারণে এতদিন রেস্টুরেন্ট বন্ধ ছিল। দুই তিন সপ্তাহ হলো আবার চালু করেছি। রেস্টুরেন্ট চালু করার আগে চিন্তায় ছিলাম। মানুষ এখন আবার তাদের নিয়মিত জীবনে ফিরে যাচ্ছে। মনে হচ্ছে সবকিছুই স্বাভাবিক হয়ে যাচ্ছে। করোনাকে সঙ্গি করে এভাবেই চলতে হবে।

বিজনেস আওয়ার/১৭ আগস্ট, ২০২০/এ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

রাজধানীর সবকিছু যেন স্বাভাবিক!

পোস্ট হয়েছে : ০৫:৪৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৭ অগাস্ট ২০২০

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক: প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাস নামে কিছু একটা যে আছে তা আর আলাদা করে প্রভাব ফেলছে না জনমনে। ভাবনাটা এমন, তারা হয়তো আক্রান্ত হয়েছেন অথবা হবেন। এটা নিয়ে আলাদা করে চিন্তার কী আছে! চিত্র বলে দেয় রাজধানীর জীবনযাত্রা এবং সার্বিক পরিবেশ এখন বেশ স্বাভাবিক।

মার্চের শুরুতে দেশে করোনা সংক্রমণের পর সতর্কতা অবলম্বন করার যে প্রবণতা দেখা গিয়েছিল তা আর নেই। সময়ের পরিক্রমায় অর্থনীতির চাকাকে সচল রাখতে গতিশীল করা হয়েছে সবকিছুকে। নেই সাধারণ ছুটি, খুলে দেওয়া হয়েছে শপিং মল, রেস্তোরাঁ, আবাসিক হোটেল। চলতে শুরু করেছে গণপরিবহন।

আগের মতো ব্যস্ত হয়ে উঠেছে বিভিন্ন অফিস এবং কলকারখানাগুলো। গেল সপ্তাহে সচিবালয়সহ সব সরকারি দপ্তরে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিয়মিতভাবে অফিস করতে বলা হয়েছে। বেসরকারি প্রতিষ্ঠান বিশেষ করে প্রযুক্তি নির্ভর প্রতিষ্ঠান ছাড়া আর কোথাও তেমন একটা হচ্ছে না হোম অফিস।

রাজধানীর সড়ক, ফুটপাত এমনকি ফুটওভার ব্রিজগুলোতে দেখা যায় সেই চিরচেনা ভিড়। অফিস, কলকারখানা খুলে যাওয়ায় রাজধানীতে কর্মমুখী মানুষের ভিড় বাড়তে শুরু করেছে। বাসের জন্য অপেক্ষমান যাত্রীদের দীর্ঘ সারি দেখা যায়। আর গণপরিবহনে যে শারীরিক দূরত্ব মানার কথা ছিল সেটাও যেন এক মরীচিকা।

শপিং মলগুলোতে এখন আর সেভাবে দেখা যায় না স্বাস্থ্যবিধি তথা শারীরিক দূরত্ব মানার প্রবণতা। হোটেল, রেস্তোরাঁগুলোর অবস্থাও একই। গেটের বাইরে ন্যূনতম হ্যান্ড স্যানিটাইজার অথবা জীবাণুনাশকও এখন আর প্রয়োগ হচ্ছে না অনেক স্থানেই। টং দোকানগুলো আবারও সেই আগের মতো চায়ের কাপে ঝড় উঠছে।

পথচারীরা জানান, করোনাকে নিয়েই যে জীবনের চাকা চালিয়ে যেতে হবে সেটা তারা একরকম বুঝে গেছেন। আর তাই সেভাবেই নিজেদের মানিয়ে নিতে চেষ্টা করছেন। এভাবেই এখন থেকে চলতে হবে। অফিস তো করতে হবে। এই করোনা নিয়েই চলতে হবে।

একটি বেসরকারি ব্যাংকের কর্মকর্তা বলেন, আগে অফিসে সবাই পিপিই, গ্লাভস, মাস্ক পরে আসতো। আমি নিজেও যেতাম। এখন শুধু মাস্ক পরি আমরা। কেউ কেউ হয়তো গ্লাভস আর ফেস শিল্ড পরে। কিন্তু সতর্কতা আর স্বাস্থ্যবিধি মানার বিষয়টি এখন আর সেভাবে নেই।

রাজধানীর এক হোটেল ব্যবসায়ী বলেন, করোনার কারণে এতদিন রেস্টুরেন্ট বন্ধ ছিল। দুই তিন সপ্তাহ হলো আবার চালু করেছি। রেস্টুরেন্ট চালু করার আগে চিন্তায় ছিলাম। মানুষ এখন আবার তাদের নিয়মিত জীবনে ফিরে যাচ্ছে। মনে হচ্ছে সবকিছুই স্বাভাবিক হয়ে যাচ্ছে। করোনাকে সঙ্গি করে এভাবেই চলতে হবে।

বিজনেস আওয়ার/১৭ আগস্ট, ২০২০/এ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: