ঢাকা , সোমবার, ০৮ জুলাই ২০২৪, ২৪ আষাঢ় ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আত্মসাতের মামলায় চীনা নাগরিকসহ ছয়জনের সাজার আদেশ

  • পোস্ট হয়েছে : ১২:২৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৬ নভেম্বর ২০২২
  • 14

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : দুদকের দায়ের করা অর্থ আত্মসাতের মামলায় চীনা নাগরিক দি সিনফা নিটার্স লিমিটেড এর চেয়ারম্যান ইয়াং ওয়াং চুং ও এমডি খসরু আল রহমানকে পৃথক তিন ধারায় ১৩ বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। বুধবার (১৬ নভেম্বর) ঢাকার বিশেষ দায়রা জজ আদালত-৫ এর বিচারক মো. ইকবাল হোসেনের আদালত এ রায় ঘোষণা করেন।

মামলার অপর ৪ আসামিকেও কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

এক ধারায় ইয়াং ওয়াং চুং ও খসরু আল রহমানকে ১০ বছর কারাদণ্ড ও ২ কোটি ৫৯ লাখ ৪০ হাজার ১৪৮ টাকা অর্থদণ্ড করা হয়েছে। আরেক ধারায় ২ বছরের কারাদণ্ডের পাশাপাশি এক লাখ টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে তাদের ৩ মাস কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। অন্য একটি ধারায় ১ বছর কারাদণ্ড, ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে তাদের আরও তিন মাস কারাভোগ করতে হবে।

প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক মনসুরুল হক ও গোলাম মোস্তফাকে ১০ বছর করে কারাদণ্ড এবং ২ কোটি ৫৯ লাখ ৪০ হাজার ১৪৮ টাকা অর্থদণ্ড করা হয়েছে।

ন্যাশনাল ব্যাংক লি. দিলকুশা শাখার তৎকালীন সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট (এক্সপোর্ট) আব্দুল ওয়াদুদ খান ও তৎকালীন এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট শাহাবুদ্দিন চৌধুরীকে এক ধারায় ৫ বছরের কারাদণ্ডের পাশাপাশি ২ কোটি ৫৯ লাখ ৪০ হাজার ১৪৮ টাকা অর্থদণ্ড করা হয়েছে। আরেক ধারায় এক বছর কারাদণ্ড, ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে তাদের আরও তিন মাস কারাভোগ করতে হবে।

আসামিদের সব ধারার সাজা একত্রে চলবে। এক্ষেত্রে তাদের সর্বোচ্চ সাজা ভোগ করতে হবে বলে আদেশে উল্লেখ করেন আদালত।

আসামিদের মধ্যে শেষের তিন জন জামিনে আছেন। রায় ঘোষণা শেষে সাজা পরোয়ানা দিয়ে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়। অন্য তিন আসামি পলাতক রয়েছেন।

জানা যায়, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে প্রতারণা ও জাল জালিয়াতির মাধ্যমে একটি জাল দলিল তৈরি করে তা খাঁটি হিসেবে ব্যাংকে বন্ধক রাখে। দীর্ঘদিন ব্যাংকের কাছ থেকে ব্যাক টু ব্যাক এলসি খোলার নিশ্চয়তা নিয়ে ব্যবসা পরিচালনা করেন। ব্যাংকের দায় দেনা বাবদ ২ কোটি ৫৯ লাখ ৪০ হাজার ১৪৮ টাকা পরিশোধ না করে গা ঢাকা দিয়ে থাকেন। যাতে ব্যাংক জাল জালিয়াতির কাগজপত্র দিয়ে গ্রহণকৃত বন্ধকী জমি বিক্রি করে তাদের টাকা উদ্ধার করতে না পারে। তাদেরও কোনও হদিস করতে না পারে। আর এর ফলে প্রকৃত জমির মালিক হয়রানির শিকার হন।

এ ঘটনায় দুদকের উপ-পরিচালক জাহাঙ্গীর হোসেন ২০১৭ সালের ১৭ জানুয়ারি মতিঝিল থানায় মামলা করেন। একই কর্মকর্তা মামলাটি তদন্ত করে ৬ জনকে অভিযুক্ত করে ২০১৮ সালের ২৪ জুন চার্জশিট দাখিল করেন। ২০১৯ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জগঠন করেন আদালত। ১৩ জন সাক্ষীর মধ্যে ১১ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়।

বিজনেস আওয়ার/১৬ নভেম্বর, ২০২২/কমা

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

আত্মসাতের মামলায় চীনা নাগরিকসহ ছয়জনের সাজার আদেশ

পোস্ট হয়েছে : ১২:২৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৬ নভেম্বর ২০২২

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : দুদকের দায়ের করা অর্থ আত্মসাতের মামলায় চীনা নাগরিক দি সিনফা নিটার্স লিমিটেড এর চেয়ারম্যান ইয়াং ওয়াং চুং ও এমডি খসরু আল রহমানকে পৃথক তিন ধারায় ১৩ বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। বুধবার (১৬ নভেম্বর) ঢাকার বিশেষ দায়রা জজ আদালত-৫ এর বিচারক মো. ইকবাল হোসেনের আদালত এ রায় ঘোষণা করেন।

মামলার অপর ৪ আসামিকেও কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

এক ধারায় ইয়াং ওয়াং চুং ও খসরু আল রহমানকে ১০ বছর কারাদণ্ড ও ২ কোটি ৫৯ লাখ ৪০ হাজার ১৪৮ টাকা অর্থদণ্ড করা হয়েছে। আরেক ধারায় ২ বছরের কারাদণ্ডের পাশাপাশি এক লাখ টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে তাদের ৩ মাস কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। অন্য একটি ধারায় ১ বছর কারাদণ্ড, ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে তাদের আরও তিন মাস কারাভোগ করতে হবে।

প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক মনসুরুল হক ও গোলাম মোস্তফাকে ১০ বছর করে কারাদণ্ড এবং ২ কোটি ৫৯ লাখ ৪০ হাজার ১৪৮ টাকা অর্থদণ্ড করা হয়েছে।

ন্যাশনাল ব্যাংক লি. দিলকুশা শাখার তৎকালীন সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট (এক্সপোর্ট) আব্দুল ওয়াদুদ খান ও তৎকালীন এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট শাহাবুদ্দিন চৌধুরীকে এক ধারায় ৫ বছরের কারাদণ্ডের পাশাপাশি ২ কোটি ৫৯ লাখ ৪০ হাজার ১৪৮ টাকা অর্থদণ্ড করা হয়েছে। আরেক ধারায় এক বছর কারাদণ্ড, ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে তাদের আরও তিন মাস কারাভোগ করতে হবে।

আসামিদের সব ধারার সাজা একত্রে চলবে। এক্ষেত্রে তাদের সর্বোচ্চ সাজা ভোগ করতে হবে বলে আদেশে উল্লেখ করেন আদালত।

আসামিদের মধ্যে শেষের তিন জন জামিনে আছেন। রায় ঘোষণা শেষে সাজা পরোয়ানা দিয়ে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়। অন্য তিন আসামি পলাতক রয়েছেন।

জানা যায়, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে প্রতারণা ও জাল জালিয়াতির মাধ্যমে একটি জাল দলিল তৈরি করে তা খাঁটি হিসেবে ব্যাংকে বন্ধক রাখে। দীর্ঘদিন ব্যাংকের কাছ থেকে ব্যাক টু ব্যাক এলসি খোলার নিশ্চয়তা নিয়ে ব্যবসা পরিচালনা করেন। ব্যাংকের দায় দেনা বাবদ ২ কোটি ৫৯ লাখ ৪০ হাজার ১৪৮ টাকা পরিশোধ না করে গা ঢাকা দিয়ে থাকেন। যাতে ব্যাংক জাল জালিয়াতির কাগজপত্র দিয়ে গ্রহণকৃত বন্ধকী জমি বিক্রি করে তাদের টাকা উদ্ধার করতে না পারে। তাদেরও কোনও হদিস করতে না পারে। আর এর ফলে প্রকৃত জমির মালিক হয়রানির শিকার হন।

এ ঘটনায় দুদকের উপ-পরিচালক জাহাঙ্গীর হোসেন ২০১৭ সালের ১৭ জানুয়ারি মতিঝিল থানায় মামলা করেন। একই কর্মকর্তা মামলাটি তদন্ত করে ৬ জনকে অভিযুক্ত করে ২০১৮ সালের ২৪ জুন চার্জশিট দাখিল করেন। ২০১৯ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জগঠন করেন আদালত। ১৩ জন সাক্ষীর মধ্যে ১১ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়।

বিজনেস আওয়ার/১৬ নভেম্বর, ২০২২/কমা

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: