ঢাকা , শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মুসলিম উম্মাহর ‘পানি পানে ১০ সুন্নত’

  • পোস্ট হয়েছে : ০৪:২৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৬ নভেম্বর ২০২২
  • 80

বিজনেস আওয়ার ডেস্ক: মানবজীবনে পানির গুরুত্ব অপরিসীম। সুস্থ, সুন্দর ও নিরাপদ জীবনযাপনে নিয়মিত পানি পান করা অপরিহার্য। এ পানি পানের রয়েছে বেশি কিছু সুন্নত কাজ। যা হাদিসের বিভিন্ন বর্ণনায় ওঠে এসেছে। পানি পানের নিয়মিত সুন্নত কাজগুলো পালনে জীবন হয়ে ওঠবে সুস্থ, সুন্দর ও নিরাপদ। হাদিসে পানি পান করার সুন্নত বর্ণিত হয়েছে। নিম্নে তা উল্লেখ করা হলো।

১. শুরুতে বিসমিল্লাহ বলা
হজরত জাবির বিন আবদুল্লাহ রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেছেন, নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে বলতে শুনেছেন যে, যখন কোন ব্যক্তি তার ঘরে প্রবেশের এবং খাবার গ্রহণের সময় আল্লাহর নাম স্মরণ করে, তখন শয়তান হতাশ হয়ে (তার সঙ্গীদের) বলে- তোমাদের (এখানে) রাতযাপনও নেই, খাওয়াও নেই। আর যখন সে প্রবেশ করে এবং প্রবেশকালে আল্লাহর নাম স্মরণ না করে, তখন শয়তান বলে, তোমরা থাকার স্থান পেয়ে গেলে। আর যখন সে খাবারের সময় আল্লাহর নাম স্মরণ না করে, তখন সে (শয়তান) বলে, তোমাদের রাতযাপন ও রাতের খাওয়ার আয়োজন হলো।’ (মুসলিম ২০১৮)

২. ডান হাতে পান করা
নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের স্ত্রী হাফসাহ রাদিয়াল্লাহু আনহা বর্ণনা করেছেন, নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম খাদ্য গ্রহণ, পানীয় পান ও পোশাক পরিধানের কাজ ডান হাতে করতেন। এছাড়া অন্যান্য কাজ বাম হাতে করতেন।’ (আবু দাউদ ৩২)

৩. পানির পাত্রে নিঃশ্বাস না ফেলা
হজরত ইবনু আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেছেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম (পানি/খাবারের) পাত্রে নিঃশ্বাস ফেলতে এবং তাতে ফু দিতে নিষেধ করেছেন।’ (তিরমিজি ১৮৮৮)

৪. তিন নিঃশ্বাসে পানি পান করা
হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেছেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিন নিঃশ্বাসে পানি পান করতেন। পাত্র মুখের কাছে আনলে (শুরুতে) বিসমিল্লাহ পড়তেন। আবার সরিয়ে নিলে (শেষে) আলহামদুলিল্লাহ পড়তেন। এভাবে তিনি তিনবার করতেন।’ (তাবারানি ৮৪৭)

৫. বসে পানি পান করা
হজরত আনাস রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেছেন, নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম দাঁড়িয়ে (পানীয়) পান করা থেকে শাসন করেছেন।
হজরত আনাস রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে অন্য বর্ণনায় এসেছে, নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কোনো লোককে দাঁড়িয়ে (পানি) পান করতে নিষেধ করেছেন। হজরত কাতাদাহ বলেন, আমরা বললাম, তবে খাবারের ব্যাপারে (আদেশ কি)? তিনি বললেন, সেটা তো আরো নিকৃষ্ট, আরো জঘন্য।’ (মুসলিম ২০২৪)

৬. জমজমের পানি দাঁড়িয়ে পান করা
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম জমজমের পানি দাঁড়িয়ে পান করেছেন। হাদিসে এসেছে-
হজরত ইবনু আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেছেন, নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম দাঁড়ানো অবস্থায় জমজমের পানি পান করেছেন।’ (বুখারি ৫৬১৭)

৭. পাত্রের মধ্যে মুখ দিয়ে পান না করা
বড় পাত্রের মধ্যে মুখ (ডুবিয়ে) দিয়ে পান করা ঠিক নয়। হাদিসে এভাবে পানি পান করাকে নিষেধ করা হয়েছে। হাদিসে এসেছে-
হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেছেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বড় পাত্রের মুখে পানি পান করতে নিষেধ করেছেন এবং প্রতিবেশীকে তার ঘরের দেয়ালের ওপর খুঁটি গাড়তে নিষেধ করেছেন।’

৮. সোনা ও রুপার পাত্রে পান না করা
হজরত ইবনু আবু লাইলা রাহমাতুল্লাহি আলাইহি হজরত হুজাইফা রাদিয়াল্লাহু আহু থেকে বর্ণনা করেছেন, হুযাইফা রাদিয়াল্লাহু আনহু মাদায়েন অঞ্চলে অবস্থান করছিলেন। এ সময় তিনি পানি পান করতে চাইলেন। তখন এক গ্রামবাসী তাকে একটি রূপার পাত্রে পানি এনে দিল। তিনি পানিসহ পেয়ালাটি ছুঁড়ে মারলেন।

এরপর তিনি বললেন, ‘আমি এটি ছুঁড়ে ফেলতাম না, কিন্তু আমি তাকে নিষেধ করার পরও সে তা থেকে বিরত হয়নি। অথচ নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাদের নিষেধ করেছেন মোটা ও পাতলা রেশমের কাপড় পরতে, স্বর্ণ ও রৌপ্যের পান-পাত্র ব্যবহার করতে। তিনি আরো বলেছেন, উল্লেখিত বস্তুগুলো হলো দুনিয়াতে কাফের সম্প্রদায়ের জন্য; আর পরকালে তোমাদের জন্য।’ (বুখারি ৫৬৩২)

৯. রাতে পান পাত্র ঢেকে রাখা
হজরত জাবির রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেছেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘তোমরা পাত্রগুলো ঢেকে রেখো, পান করার পাত্রগুলো বন্ধ করে রেখো, ঘরের দরজাগুলো বন্ধ করে রেখো আর সাঁঝের বেলায় তোমাদের বাচ্চাদেরকে ঘরে আটকে রেখো। কারণ এ সময় জ্বিনেরা ছড়িয়ে পড়ে এবং কোন কিছুকে দ্রুত পাকড়াও করে। আর নিদ্রাকালে বাতিগুলো নিভিয়ে দেবে। কেননা অনেক সময় ছোট ছোট ক্ষতিকারক ইঁদুর প্রজ্জ্বলিত সলতেযুক্ত বাতি টেনে নিয়ে যায় এবং গৃহবাসীকে জ্বালিয়ে পুড়িয়ে দেয়।’ (বুখারি ৩৩১৬)

১০. আল্লাহর প্রশংসা করা
পানি পান করার পর আল্লাহর প্রশংসা করা সুন্নত। শুরুতে বিসমিল্লাহ আর শেষে আলহামদুলিল্লাহ পড়া। আর আলহামদুলিল্লাহ তো মহান আল্লাহর প্রশংসা। হাদিসে এসেছে-
হজরত আনাস রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেছেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘আল্লাহ ওই বান্দার প্রতি সন্তুষ্ট হন যে খাবার গ্রহণের পর তাঁর প্রশংসা করে কিংবা পান করার পর তাঁর প্রশংসা করে। ’ (মুসলিম)

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে পানি পানের উল্লেখিত ১০টি সুন্নত যথাযথভাবে মেনে চলার তাওফিক দান করুন। আমিন।

বিজনেস আওয়ার/১৬ নভেম্বর, ২০২২/এএইচএ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

মুসলিম উম্মাহর ‘পানি পানে ১০ সুন্নত’

পোস্ট হয়েছে : ০৪:২৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৬ নভেম্বর ২০২২

বিজনেস আওয়ার ডেস্ক: মানবজীবনে পানির গুরুত্ব অপরিসীম। সুস্থ, সুন্দর ও নিরাপদ জীবনযাপনে নিয়মিত পানি পান করা অপরিহার্য। এ পানি পানের রয়েছে বেশি কিছু সুন্নত কাজ। যা হাদিসের বিভিন্ন বর্ণনায় ওঠে এসেছে। পানি পানের নিয়মিত সুন্নত কাজগুলো পালনে জীবন হয়ে ওঠবে সুস্থ, সুন্দর ও নিরাপদ। হাদিসে পানি পান করার সুন্নত বর্ণিত হয়েছে। নিম্নে তা উল্লেখ করা হলো।

১. শুরুতে বিসমিল্লাহ বলা
হজরত জাবির বিন আবদুল্লাহ রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেছেন, নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে বলতে শুনেছেন যে, যখন কোন ব্যক্তি তার ঘরে প্রবেশের এবং খাবার গ্রহণের সময় আল্লাহর নাম স্মরণ করে, তখন শয়তান হতাশ হয়ে (তার সঙ্গীদের) বলে- তোমাদের (এখানে) রাতযাপনও নেই, খাওয়াও নেই। আর যখন সে প্রবেশ করে এবং প্রবেশকালে আল্লাহর নাম স্মরণ না করে, তখন শয়তান বলে, তোমরা থাকার স্থান পেয়ে গেলে। আর যখন সে খাবারের সময় আল্লাহর নাম স্মরণ না করে, তখন সে (শয়তান) বলে, তোমাদের রাতযাপন ও রাতের খাওয়ার আয়োজন হলো।’ (মুসলিম ২০১৮)

২. ডান হাতে পান করা
নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের স্ত্রী হাফসাহ রাদিয়াল্লাহু আনহা বর্ণনা করেছেন, নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম খাদ্য গ্রহণ, পানীয় পান ও পোশাক পরিধানের কাজ ডান হাতে করতেন। এছাড়া অন্যান্য কাজ বাম হাতে করতেন।’ (আবু দাউদ ৩২)

৩. পানির পাত্রে নিঃশ্বাস না ফেলা
হজরত ইবনু আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেছেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম (পানি/খাবারের) পাত্রে নিঃশ্বাস ফেলতে এবং তাতে ফু দিতে নিষেধ করেছেন।’ (তিরমিজি ১৮৮৮)

৪. তিন নিঃশ্বাসে পানি পান করা
হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেছেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিন নিঃশ্বাসে পানি পান করতেন। পাত্র মুখের কাছে আনলে (শুরুতে) বিসমিল্লাহ পড়তেন। আবার সরিয়ে নিলে (শেষে) আলহামদুলিল্লাহ পড়তেন। এভাবে তিনি তিনবার করতেন।’ (তাবারানি ৮৪৭)

৫. বসে পানি পান করা
হজরত আনাস রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেছেন, নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম দাঁড়িয়ে (পানীয়) পান করা থেকে শাসন করেছেন।
হজরত আনাস রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে অন্য বর্ণনায় এসেছে, নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কোনো লোককে দাঁড়িয়ে (পানি) পান করতে নিষেধ করেছেন। হজরত কাতাদাহ বলেন, আমরা বললাম, তবে খাবারের ব্যাপারে (আদেশ কি)? তিনি বললেন, সেটা তো আরো নিকৃষ্ট, আরো জঘন্য।’ (মুসলিম ২০২৪)

৬. জমজমের পানি দাঁড়িয়ে পান করা
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম জমজমের পানি দাঁড়িয়ে পান করেছেন। হাদিসে এসেছে-
হজরত ইবনু আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেছেন, নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম দাঁড়ানো অবস্থায় জমজমের পানি পান করেছেন।’ (বুখারি ৫৬১৭)

৭. পাত্রের মধ্যে মুখ দিয়ে পান না করা
বড় পাত্রের মধ্যে মুখ (ডুবিয়ে) দিয়ে পান করা ঠিক নয়। হাদিসে এভাবে পানি পান করাকে নিষেধ করা হয়েছে। হাদিসে এসেছে-
হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেছেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বড় পাত্রের মুখে পানি পান করতে নিষেধ করেছেন এবং প্রতিবেশীকে তার ঘরের দেয়ালের ওপর খুঁটি গাড়তে নিষেধ করেছেন।’

৮. সোনা ও রুপার পাত্রে পান না করা
হজরত ইবনু আবু লাইলা রাহমাতুল্লাহি আলাইহি হজরত হুজাইফা রাদিয়াল্লাহু আহু থেকে বর্ণনা করেছেন, হুযাইফা রাদিয়াল্লাহু আনহু মাদায়েন অঞ্চলে অবস্থান করছিলেন। এ সময় তিনি পানি পান করতে চাইলেন। তখন এক গ্রামবাসী তাকে একটি রূপার পাত্রে পানি এনে দিল। তিনি পানিসহ পেয়ালাটি ছুঁড়ে মারলেন।

এরপর তিনি বললেন, ‘আমি এটি ছুঁড়ে ফেলতাম না, কিন্তু আমি তাকে নিষেধ করার পরও সে তা থেকে বিরত হয়নি। অথচ নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাদের নিষেধ করেছেন মোটা ও পাতলা রেশমের কাপড় পরতে, স্বর্ণ ও রৌপ্যের পান-পাত্র ব্যবহার করতে। তিনি আরো বলেছেন, উল্লেখিত বস্তুগুলো হলো দুনিয়াতে কাফের সম্প্রদায়ের জন্য; আর পরকালে তোমাদের জন্য।’ (বুখারি ৫৬৩২)

৯. রাতে পান পাত্র ঢেকে রাখা
হজরত জাবির রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেছেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘তোমরা পাত্রগুলো ঢেকে রেখো, পান করার পাত্রগুলো বন্ধ করে রেখো, ঘরের দরজাগুলো বন্ধ করে রেখো আর সাঁঝের বেলায় তোমাদের বাচ্চাদেরকে ঘরে আটকে রেখো। কারণ এ সময় জ্বিনেরা ছড়িয়ে পড়ে এবং কোন কিছুকে দ্রুত পাকড়াও করে। আর নিদ্রাকালে বাতিগুলো নিভিয়ে দেবে। কেননা অনেক সময় ছোট ছোট ক্ষতিকারক ইঁদুর প্রজ্জ্বলিত সলতেযুক্ত বাতি টেনে নিয়ে যায় এবং গৃহবাসীকে জ্বালিয়ে পুড়িয়ে দেয়।’ (বুখারি ৩৩১৬)

১০. আল্লাহর প্রশংসা করা
পানি পান করার পর আল্লাহর প্রশংসা করা সুন্নত। শুরুতে বিসমিল্লাহ আর শেষে আলহামদুলিল্লাহ পড়া। আর আলহামদুলিল্লাহ তো মহান আল্লাহর প্রশংসা। হাদিসে এসেছে-
হজরত আনাস রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেছেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘আল্লাহ ওই বান্দার প্রতি সন্তুষ্ট হন যে খাবার গ্রহণের পর তাঁর প্রশংসা করে কিংবা পান করার পর তাঁর প্রশংসা করে। ’ (মুসলিম)

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে পানি পানের উল্লেখিত ১০টি সুন্নত যথাযথভাবে মেনে চলার তাওফিক দান করুন। আমিন।

বিজনেস আওয়ার/১৬ নভেম্বর, ২০২২/এএইচএ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: